ঢাকা,মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪

২০ লাখ টাকা উদ্ধার

গ্রাহকের টাকা আত্মসাৎ করতে ব্যাংকারের অপহরণ নাটক

টেকনাফ প্রতিনিধি :: এক ব্যবসায়ী গ্রাহকের ২৪ লাখ টাকা আত্মসাৎ করতে নিজেই অপহরণ নাটক সাজিয়েছিলেন এজেন্ট ব্যাংকার হামিদ হোসেন। কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার কুতুপালং আল আরাফাহ ইসলামী এজেন্ট ব্যাংকিং শাখার ক্যাশিয়ার হামিদ হোসেন এমন নাটক সাজান। তিনি টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নের কাঞ্জরপাড়া গ্রামের খাইরুল আলমের ছেলে। তবে পুলিশি তৎপরতায় ব্যবসায়ীর ২০ লাখ টাকা উদ্ধার হয়েছে।
জানা যায়, কুতুপালংয়ের বালুখালী এলাকার মো. আয়ুবের ছেলে ব্যবসায়ী মো. ইকবাল গত ৩০ জুন ব্যাংকে রাখতে ক্যাশিয়ার হামিদ হোসেনকে ২৪ লাখ টাকা দেন। হামিদ এ টাকা ব্যাংকে না দিয়ে গা ঢাকা দেন। এর তিনদিন পর শুক্রবার রাত ১১ টার দিকে বাড়ি ফেরেন হামিদ এবং জানান তাঁকে অপহরণ করা হয়েছিল। ২ জুলাই অপহরণকারীরা তাঁকে বালুখালী ১৩ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মরা আমগাছতলায় রেখে যায়। অপহরণকারীরা তাঁর কাছ থেকে প্রায় ২০ লাখ টাকা লুট করে নিয়েছে বলেও প্রচার করতে থাকেন। এদিকে, হামিদ হোসেন নিখোঁজের দিনই বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম পুলিশ ফাঁড়িতে সাড়ে ২৪ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ দায়ের করেন ব্যবসায়ী মো. ইকবাল। হামিদ ফিরে এসেছে শুনে গতকাল শনিবার রাতেই পুলিশ অভিযান চালিয়ে হামিদকে আটক করে। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের পর জাহাঙ্গীর নামের একজনের বাড়ি থেকে ২০ লাখ টাকা উদ্ধার করে ঘুমধুম ফাঁড়ি পুলিশ।
নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম ফাঁড়ি পুলিশের এসআই আল আমিন বলেন,‘ইকবাল একজন ফার্মেসি ব্যবসায়ী। তাঁর সঙ্গে হামিদের আগে থেকে পরিচয় ছিল। সেই সুবাদে ব্যাংকে জমা দেওয়ার জন্য সাড়ে ২৪ লাখ টাকা দেন। হামিদ অপহরণের নাটক সাজিয়ে টাকাগুলো আত্মসাৎ করার চেষ্টা করে এমন অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে ২০ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। বাকি টাকাও উদ্ধারের প্রক্রিয়া চলছে।’ এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে বলেও তিনি জানান।
টেকনাফের হোয়াইক্যং ফাঁড়ি পুলিশের ইনচার্জ এসআই মাহমুদুল হাসান জানান, ‘হামিদের পরিচিত জাহাঙ্গীর নামের একজনের বাড়ি থেকে ২০ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।’
এলাকার সচেতন মহলের দাবি, ছোট ব্যবসায়ী মো. ইকবাল। এত টাকা কোথায় পেলেন ? ব্যাংক শাখা উখিয়া উপজেলার কুতুপালং কিন্তু অভিযোগ কেন বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায়। তাই টাকার উৎস খতিয়ে দেখার দাবি তাদের।

পাঠকের মতামত: