ঢাকা,শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

ভারতে হাসপাতাল ব্যবসায় ধস বাংলাদেশি রোগীর অভাবে

নিউজ ডেস্ক : কোনো ভিড় নেই কলকাতার আরএন টেগোর, পিয়ারলেস কিংবা অ্যাপোলোর মতো বেসরকারি হাসপাতালে। একই চিত্র ত্রিপুরার আইএলএস হাসপাতাল বা অন্যান্য নামী হাসপাতালেও। কলকাতা, চেন্নাই কিংবা আগরতলা—সর্বত্রই রোগীর অভাব প্রকট। এতে মন্দা চলছে ভারতের বেসরকারি হাসপাতালগুলোর ব্যবসায়। মূলত বাংলাদেশি রোগী না পেয়েই এই হাল।

ব্যবসায় মন্দার তথ্য উঠে এসেছে কলকাতার পিয়ারলেস হাসপাতালের ম্যানেজার (অপারেশন) পীযূষ দত্তের বক্তব্যে। তিনি বলেন, ‘আগে প্রচুর বাংলাদেশি রোগী এলেও এখন নেই বললেই চলে। তবে বাংলাদেশি রোগীরা এলে আমরা সব রকম সাহায্য করি।’ আগরতলা স্থলবন্দরের ম্যানেজার দেবাশিস নন্দী জানান, বাংলাদেশেও করোনার বিধিনিষেধ চালু হওয়ায় রোগী আসছে কম। আগে আগরতলা হয়ে ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে রোগীরা যেত। এখন সেটাও বন্ধ।

অ্যাপোলো বা আরএন টেগোর তরফ থেকেও জানানো হয়, বাংলাদেশি রোগী এখন খুবই কম পাচ্ছে তারা।

আইএলএস হাসপাতালের ভাইস প্রেসিডেন্ট দেবাশীষ ধর বলেন, ‘আগরতলায় এখন দু-একজন রোগী এলেও কলকাতায় জরুরি প্রয়োজন না হলে আমরাই রোগীদের আসতে বারণ করছি।’

আগে বনগাঁ দিয়ে দিনে ১০-১২ হাজার মানুষ শুধু চিকিৎসার কারণেই যাতায়াত করত। এখন সেটা দিনে ১০০–ও হয় না। জানালেন বেনাপোল সীমান্তে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের সঙ্গে যুক্ত কার্তিক চক্রবর্তী।

করোনার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় স্থল বন্দরগুলোতে গত বৃহস্পতিবার থেকে জারি হয়েছে নতুন বিধিনিষেধ। ১৪ জুলাই পর্যন্ত শুধু রোবি, মঙ্গল ও বৃহস্পতিবার খোলা থাকবে ভারত-বাংলাদেশ যাতায়াতের জন্য পশ্চিমবঙ্গের বেনাপোল, দর্শনা, হিলি, বুড়িমারী ও ত্রিপুরার সঙ্গে সংযোগকারী আখাউড়া স্থলবন্দর। এ অবস্থায় বাংলাদেশ থেকে রোগী আসার সংখ্যা আরও কমে গেছে।

কলকাতায় নিযুক্ত বাংলাদেশের ডেপুটি হাইকমিশনার তৌফিক হাসান জানান, গত ২৬ এপ্রিল থেকে স্থলবন্দর দিয়ে যাতায়াত নিয়ন্ত্রিত। বাংলাদেশ সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এনওসি নিয়ে জরুরি চিকিৎসার জন্য ভারতে আসতে পারছেন বাংলাদেশি রোগীরা। চিকিৎসা করতে ভারতে এসে আটকে পড়া মানুষদের দেশে ফেরার জন্য অনলাইনে অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এ পর্যন্ত ১০ হাজার বাংলাদেশি লকডাউনের সময় দেশে ফিরেছেন বলেও জানান তিনি।

দিল্লি থেকে হাইকমিশনের মিনিস্টার (প্রেস) শাবান মাহমুদ জানান, ভারতে চিকিৎসা করতে আসা বাংলাদেশিদের যাতে কোনো সমস্যা না হয়, সে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। কলকাতায় বাংলাদেশ উপহাইকমিশনের প্রথম সচিব (প্রেস) মোহাম্মদ মোফাকখারুল ইকবাল জানিয়েছেন, ভারতে কোনো বাংলাদেশিই আটকে নেই।

 

পাঠকের মতামত: