ঢাকা,বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪

আওয়ামী লীগই বাংলাদেশ

পাকিস্তান মুসলিম লীগ সরকারের দুঃশাসন, নির্যাতন, শোষণ ও বঞ্চনার বিরুদ্ধে বাঙালির অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আওয়ামী লীগের জন্ম। আর জন্মলগ্ন থেকেই গণমানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা ও তাদের অর্থনৈতিক মুক্তির সংগ্রামে কাজ করছে আওয়ামী লীগ। মহান ভাষা আন্দোলন, স্বাধীনতা সংগ্রামসহ দেশের সব গণতান্ত্রিক অন্দোলন ও মহৎ অর্জনের অর্জন এসেছে আওয়ামী লীগের হাত ধরেই। তাই আওয়ামী লীগই বাংলাদেশ।

দেশের প্রাচীনতম রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের ৭২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তারা এ কথা বলেন।

সভায় বক্তারা আরো বলেন, ৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট জাতির পিতাকে হত্যার পর দেশে হত্যা ও লুটপাটের রাজনীতি শুরু হয়। যা দীর্ঘ ২১টি বছর বাংলাদেশের উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করে। এসময় ৭১ এ পরাজিত শক্তি জামাত শিবির বিএনপি ও জাতীয় পার্টির সাথে মিশে দেশকে পাকিস্তান বানানোর অপচেষ্টায় লিপ্ত ছিল। পরবর্তীতে খালেদা জিয়ার শাসনামলে তাঁর পুত্র তারেক জিয়ার দুর্নীতির কারণে দেশ কয়েকবার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল।

সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) এড. ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী। প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পৌর মেয়র মুজিবুর রহমান।

সভায় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) এড. ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ইতিহাস ও ঐতিহ্যের অপর নাম বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। মহান ভাষা আন্দোলন, স্বাধীনতা সংগ্রামসহ দেশের সব গণতান্ত্রিক অন্দোলন এবং মহৎ অর্জনের সঙ্গে জড়িয়ে আছে আওয়ামী লীগ ও বঙ্গবন্ধুর নাম। শুধু আন্দোলন-সংগ্রামের মাধ্যমে গণমানুষের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠাই নয়, তাদের অর্থনৈতিক মুক্তি ও সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই দলটির মূল লক্ষ্য।

তিনি আরও বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর আদর্শের পথ ধরেই তার কন্যা শেখ হাসিনা দেশকে নিয়ে যাচ্ছেন উন্নয়নের মহাসড়কে। ২১ ফেব্রুয়ারির মাতৃভাষা দিবসের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি, স্বল্পোন্নত রাষ্ট্র থেকে বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল রাষ্ট্রে পরিণত করা, সমুদ্রসীমা জয়, ছিট মহল সমস্যার সমাধান, স্যাটলাইটের নিজস্ব মালিকানা, নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মাসেতু নির্মাণসহ বহু মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন, দারিদ্র্য বিমোচন, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ দমন, বিচারহীনতার সংস্কৃতি দূরীকরণসহ সুদূরপ্রসারী সাহসী নেতৃত্বদানে বিশ্বের হাতে গোনা কয়েকজন রাষ্ট্রনায়কের মধ্যে শেখ হাসিনা অন্যতম।

জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পৌর মেয়র মুজিবুর রহমান বলেন, শুধু অর্থনৈতিক উন্নয়নই নয়, সাধারণ মানুষের জীবনের মান উন্নয়ন, তাদের মৌলিক চাহিদা পূরণ, অসহায় ও ছিন্নমূল মানুষকে সামাজিক বেষ্টনীর আওতায় আনতে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের গৃহীত সব কর্মসূচি আজ দেশি ও আন্তর্জাতিক বিশ্বে স্বীকৃত।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের শেকড় বাংলাদেশের মাটির অনেক গভীরে। শত ষড়যন্ত্র আওয়ামী লীগকে মাটি ও মানুষ থেকে বিচ্ছিন্ন করতে পারেনি, ইনশাল্লাহ ভবিষ্যতেও পারবে না। বঙ্গবন্ধু থেকে শেখ হাসিনা, আমরা সেই ঐতিহ্য বহন করছি। সংগ্রাম, সাফল্য, গৌরব, অর্জন-উন্নয়নের যে ঐতিহ্য আমরা বহন করে চলেছি সেই ধারা অব্যাহত থাকবে।

পৌর মেয়র মুজিবুর রহমান বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী সাম্প্রদায়িক শক্তির মূলোৎপাটন করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণ আওয়ামী লীগের ৭২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অঙ্গীকার।

জেলা আওয়ামী লীগের উপ-প্রচার সম্পাদক এম এ মনজুরের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সালাহ উদ্দিন সিআইপি, সাবেক সাংসদ অধ্যাপিকা এথিন রাখাইন, সহ-সভাপতি এড. বদিউল আলম সিকদার, রেজাউল করিম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আশেক উল্লাহ রফিক এমপি, মাহবুবুল হক মুকুল, এড. রনজিত দাশ, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কানিজ ফাতেমা মোস্তাক, ইউনুস বাঙালি, ইঞ্চিনিয়ার বদিউল আলম, এড. তাপস রক্ষিত, কাজী মোস্তাক আহমদ শামীম, এটিএম জিয়া উদ্দিন, নজিবুল ইসলাম, কায়সারুল হক জুয়েল, জহিরুল ইসলাম, সোহেল আহমদ বাহাদুর, শহীদুল হক সোহেল, রহিম উদ্দিন, হামিদা তাহের, শফি উল্লাহ আনসারী, আয়েশা সিরাজ, তাহমিনা চৌধুরী লুনা, জাকারিয়া চৌধুরী, এস,এম সাদ্দাম হোসেন, মারুফ আদনান, আসিফুল মওলা, ডা. পরিমল কান্তি দাশ প্রমুখ।

অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন এড. আয়াছুর রহমান, হেলাল উদ্দিন কবির, খালেদ মাহমুদ, ডক্টর নুরুল আবছার, এড. সুলতানুল আলম, জিএম আবুল কাশেম, আমিনুর রশীদ দুলাল, বদরুল হাসান মিলকী, উম্মে কুলসুম মিনু, মিজানুর রহমান, টিপু সুলতান চেয়ারম্যান, জসিমউদদীন চেয়ারম্যান, হাজী এনামুল হক, নাজমুল হোসেন নাজিম, সাইফুল ইসলাম চৌধুরী, সেলিম নেওয়াজ, শাহ নেওয়াজ, মিজানুর রহমান, এবি ছিদ্দিক খোকন, সাহেদ আলী, আতিক উল্লাহ কোম্পানি, রফিক মাহমুদ, জানে আলম পুতু, জহিরুল কাদের, নজরুল ইসলাম, দুলাল দাশ, ওয়াহিদ মুরাদ সুমন, আবদুল মজিদ সুমন, মেজবাহ উদ্দিন কবির, তাজউদ্দীন, মোহাম্মদ ইয়াহিয়া, মোহাম্মদ ইলিয়াস, শাহেনা আক্তার পাখি, রেবেকা সুলতানা আইরিন,

এর আগে সকালে জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। পরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ করা হয়।

 

পাঠকের মতামত: