ঢাকা,শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে সৈকতে ভিড়

নিউজ ডেস্ক :: লকডাউনে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে কক্সবাজারে সাগরতীরে ভিড় করছেন দর্শনার্থীরা। তাদের অনেকেই স্বাস্থ্যবিধিও মানছেন না। দর্শনার্থীরা বলছেন, ঈদ আনন্দ উপভোগে সৈকতে ছুটে এসেছেন। তবে টুরিস্ট পুলিশ বলছে, কড়াকড়ি না করে সৈকতে প্রবেশে নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে।

কক্সবাজার সৈকতের কবিতা চত্বর থেকে ডায়াবেটিক পয়েন্টে ঈদের দিন চোখে পড়ে উপচেপড়া ভিড়। লকডাউনের কারণে সৈকতে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও তা মানছেন না কেউ।

সৈকতের লাবণী, সুগন্ধা ও কলাতলী পয়েন্টে রয়েছে বিচ কর্মী ও টুরিস্ট পুলিশের কড়া পাহারা। অনেক দর্শনার্থী এই পাহারা অমান্য করে সৈকতে নেমে পড়ার চেষ্টা করছেন। আর যেসব পয়েন্টে নজরদারি নেই সেসব পয়েন্টে অবাধে যাতায়াত করছেন। তার ওপর মাস্ক ব্যবহার কিংবা সামাজিক দূরত্বের তোয়াক্কা করছেন না অনেকেই।

এক পর্যটক বলেন, ‘ঈদের সময় একটু বাড়তি আনন্দের জন্য কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে আসলাম। তবে আমরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে সৈকতে বেড়াচ্ছি।’
আরেক পর্যটক বলেন, ‘অনেক দিন ধরে বাচ্চাদের নিয়ে কোথাও বের হওয়া যাচ্ছিল না। বাচ্চারাও কান্না করতেছে। তাই বাচ্চাদের নিয়ে সৈকতে বেড়াতে আসলাম।’

দর্শনার্থীদের সৈকতে নামতে নিরুৎসাহিত করার পাশাপাশি প্রতিটি পয়েন্টে টহল বাড়ানো হয়েছে বলে জানালেন কক্সবাজার টুরিস্ট পুলিশের পরিদর্শক মো. গোলাম কিবরিয়া।

এদিকে কক্সবাজার জেলা প্রসাশনের পর্যটন ও প্রটোকল শাকার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ মুরাদ ইসলাম নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জানালেন, সৈকতে কেউ যাতে প্রবেশ করতে না পারে তার জন্য সমন্বয়ের মাধ্যমে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।

করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ে পহেলা এপ্রিল ফের লকডাউন আসে, এরপর বন্ধ হয়ে যায় সমুদ্রসৈকতসহ কক্সবাজারের পর্যটন কেন্দ্রগুলো।

পাঠকের মতামত: