ঢাকা,শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪

করোনা পরিস্থিতিতেও

চকরিয়ায় ঈদ বাজারে সবশ্রেণীর ক্রেতাদের ভিড়, বাড়ছে বেচাকেনা

এম.জিয়াবুল হক, চকরিয়া :: মুসলমানদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল ফিতর বা রোজার ঈদকে ঘিরে কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলা সদরের শপিংমল গুলো বেচাকেনায় সরগরম হয়ে উঠেছে। প্রতিদিন সকাল থেকে রাত অবদি দোকানে দোকানে বাড়ছে ক্রেতাসাধারণের ভিড়। করোনা পরিস্থিতি চলমান থাকলেও ঈদ উৎযাপনের প্রস্তুতি হিসেবে বেশিরভাগ শপিংমলে কেনাকাটা সেরে নিচ্ছেন লোকজন।

সরেজমিনে জানা গেছে, ১৫ রমজানের পর থেকে উপজেলা সদরে অবস্থিত অন্তত ১২টি শপিংমলে বেশ ক্রেতা সমাগম ঘটছে। বিশেষ করে শাড়ির দোকান, লেডিস, জেন্টস ও জুতার শোরুমে করোনা পরিস্থিতিতেও বেড়েছে বেচাকেনার ধুম। দোকানে দোকানে বেচাকেনা বেড়ে যাওয়ায় হিমশিম খাচ্ছে বিক্রেতারা। অভিযোগ উঠেছে, শপিংমলে হাতে গোনা কিছু দোকানে স্বাস্থ্যবিধি মেনে বেচাকেনা হলেও বেশিরভাগ দোকানে স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছেনা। অনেক দোকানে হ্যান্ড স্যানিটাইজারও ব্যবহার করছেনা।

উপজেলা সদরে অবস্থিত চকরিয়া নিউ মার্কেট, সুপার মার্কেট, আনোয়ার শপিং কমপ্লেক্স, ছিদ্দিক প্লাজা, ওয়েস্টান প্লাজা, রওশন মার্কেট, হক সুপার মার্কেট, চকরিয়া সিটি সেন্টার, রুপজাহান প্লাজা, ওশান সিটি সেন্টার, বাবু মিয়া বাজার শপিংমলে দেখা যায়, প্রায় কাপড়ের দোকানে তিল ধারণের ঠাই নেই। নতুন নতুন কালেকশনের পছন্দ অপছন্দ নিয়ে ব্যস্ত শপিং করতে আসা ক্রেতারা।

চকরিয়া ওয়েস্টান প্লাজা মার্কেটের হৃদয় ফ্যাশন মালিক জাহেদুল ইসলাম বলেন, রোজার ঈদে বরাবরের মতো মার্কেটে ক্রেতা সমাগম ঘটে। এবছর করোনা পরিস্থিতি থাকলেও বেশিরভাগ ক্রেতা শিশুদের জন্য নিত্য নতুন ঈদের কাপড় কালেকশনের জন্য মার্কেটে এসেছে। সাধ্যের মধ্যে সবাই হাসিমুখে বাজার করছে। দোকানীও অল্প পরিমাণ মুনাফা ধরে ঈদবস্ত্র বিক্রি করছেন।

চকরিয়া ওশান সেন্টার দোকান মালিক সমিতির সভাপতি এম নুরুস শফি ও চকরিয়া ওয়েস্টান প্লাজা দোকান মালিক সমিতির সভাপতি আজিজুল হক বলেন, লকডাউন থাকলেও রোজার ঈদে শপিংমল খোলার অনুমতি দেওয়ায় সরকারের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ। আমরা চেষ্ঠা করছি, সরকারি নির্দেশনার আলোকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সকল মার্কেটে বেচাকেনা নিশ্চিত করতে। সেইজন্য আগে থেকে দোকান মালিক ও ব্যবসায়ী সবাইকে সর্তক করে দেওয়া হয়েছে।

চকরিয়া শহরের ছিদ্দিক প্লাজার অভিজাত কাপড়ের দোকান লিমন ফেব্রিক্সের স্বত্বাধিকারী তৌহিদুল ইসলাম লিমন বলেন, আমার দোকানে কেনাকাটা করতে আসা ক্রেতাদের স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিতে প্রথমে যাদের মুখে মাস্ক নেই তাদের বিনামূল্যে মাস্ক দেওয়া হচ্ছে।

আবার দোকানে প্রবেশের সময় ক্রেতাসাধারণ সবাইকে হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করানো হচ্ছে। আমরা চেষ্ঠা করছি ব্যবসার আগে ক্রেতাদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে উদ্বুদ্ধ করতে।

চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সৈয়দ সামসুল তাবরীজ বলেন, সরকারি নির্দেশনার আলোকে মার্কেট গুলোতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে বেচাবিক্রির জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এব্যাপারে মার্কেট মালিক ও ব্যবসায়ী সমিতির নেতৃবৃন্দকে কঠোর বার্তা দেওয়া হয়েছে উপজেলা প্রশাসন থেকে। সেই আলোকে ঈদ বাজার চলছে কী না তা নিশ্চিতে ভ্রাম্যমান আদালত পর্যবেক্ষনে রয়েছে।

 

পাঠকের মতামত: