করোনা ভাইরাস ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে মরুর দেশ সৌদি আরবেও। এখানেও প্রায় প্রতিদিনই আগের দিনের রেকর্ড ভেঙে বাড়ছে মৃত্যু-আক্রান্ত সংখ্যা। দেশটিতে এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ১০ হাজার ৪৮৪ জন। এরমধ্যে মৃত্যু হয়েছে ১০৩ জনের। এরমধ্যে আবার ৩৪ জনই বাংলাদেশি নাগরিক।
মঙ্গলবার (২১ এপ্রিল) সৌদি আরবের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে স্থানীয়সহ বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়।
মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত সৌদি আরবের পশ্চিমাঞ্চল জেদ্দায় ৩২ জন এবং পূর্বাঞ্চলে দুইজন বাংলাদেশি নাগরিক মারা যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। দূতাবাস ও কনস্যুলেট থেকে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হালনাগাদ তালিকা থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
বাংলাদেশ দূতাবাস রিয়াদ এবং বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল জেদ্দা থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, সৌদি আরবের বিভিন্ন শহরে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া বাংলাদেশিরা হলেন, সাভারের কোরবান, নড়াইলের ডাক্তার আফাক হোসেন মোল্লা, চট্টগ্রামের মোহাম্মদ হাসান, চট্টগ্রামের মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন, ভোলার মোহাম্মদ হোসেন, পাবনার আব্দুল মোতালেব, মানিকগঞ্জের মান্নান মিয়া, চট্টগ্রামের মোহাম্মদ রহিম উল্লাহ, নরসিংদীর খোকা মিয়া, চট্টগ্রামের নাসির উদ্দিন, বরগুনার রুস্তম খন্দকার, চাঁদপুরের মোহাম্মদ জাহিদ, আজিবর, সাইফ উদ্দিন টুটুল, চট্টগ্রামের মোহাম্মদ শফিউল আলম, শেখ মোহাম্মদ আলী, আহমেদ হোসাইন, মোহাম্মদ জমির উদ্দিন, মোহাম্মদ ইসলাম।
ঢাকার মো. দেলোয়ার হোসেন, কুমিল্লার মাহবুবুল হক, চট্টগ্রামের মো. মোরশেদুল আলম, বরিশালের মো. হারুন ভূঁইয়া, নোয়াখালীর ফিরোজ, কক্সবাজারের আমান উল্লাহ, জিয়াউর রহমান, চাঁদপুরের সিরাজুল ইসলাম, চট্টগ্রামের উবায়দুর রহমান চৌধুরী জুয়েল, নুরুল ইসলাম, রাশেদুল আলম তালুকদারসহ আরও চারজন।
প্রবাসী বাংলাদেশিসহ বিদেশিদের সৌদির আরবের স্থানীয় আইন মেনে ঘরে থাকার পরামর্শ দিচ্ছে মিশনগুলো। বড় বড় শপিংমলের সামনে করোনা থেকে বাঁচার বিভিন্ন উপায় সংবলিত রোল আপ স্ট্যান্ড লাগানো হয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে আলোচনা-সমালোচনা চলছে, প্রবাসী বাংলাদেশিরা খুব বেশি আইন মানছেন না করোনার। এ বিষয়ে তারা বলছেন, কিছু কিছু এলাকায় কিছু অতি উৎসাহী বাংলাদেশির কারণের সৌদি আরবে বসবাসরত অন্যান্য বাংলাদেশি বড় ধরনের সমস্যায় পড়তে পারেন।
পাঠকের মতামত: