ঢাকা,বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪

রামুর দঃ মিঠাছড়ির কাঠিরমাথা বাজারে অগ্নিকান্ডে দশ দোকান ভষ্মিভুত

নীতিশ বড়ুয়া, রামু :: কক্সবাজারের রামু উপজেলার দক্ষিণ মিঠাছড়ি ইউনিয়নের কাঠিরমাথা বাজারে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে ১০টি দোকানঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। অগ্নিকান্ডের এ ঘটনায় দোকানের মালামাল ও আসবাবপত্রসহ দশ লক্ষাধিক টাকা ক্ষতি হয়েছে বলে জানান ভুক্তভোগিরা। ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার (২৯ মার্চ) ভোর ৫টার দিকে। দুপুরে কক্সবাজার-০৩ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব সাইমুম সরওয়ার কমল অগ্নিকান্ডস্থল পরিদর্শন করেন।

জানা গেছে, রবিবার ভোরে কাঠির মাথা বাজারের একটি দোকানে আগুনের সুত্রপাত হয়ে মুহুর্তে ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয়রা আগুন নিয়ন্ত্রনে আনার চেষ্টা চালায়। খবর পেয়ে দক্ষিণ মিঠাছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ইউনুচ ভুট্টো ঘটনাস্থলে যান এবং ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্সকে খবর দেয়। ফায়ার সার্ভিসের কক্সবাজার ও রামুর দমকল বাহিনী দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনে। ততক্ষনে আগুনের লেলিহান শিখা ছড়িয়ে পড়ে বাজারের এটি মুদির দোকানসহ ১০টি দোকান পুড়ে দশ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়। বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট অথবা গ্যাস সিলিন্ডার থেকে আগুনের সুত্রপাত হতে পারে বলে ধারনা করছে স্থানীয়রা। ### ###

##########

করোনা ঃ রামুতে সাংবাদিকদের সাথে ফতেখাঁরকুলের চেয়ারম্যান ফরিদুল আলমের মতবিনিময়

নীতিশ বড়ুয়া, রামু ::

করোনা ভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় করলেন, রামুর সদর ফতেখাঁরকুল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফরিদুল আলম। রবিবার (২৯ মার্চ) বিকাল ৩টায় ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে আয়োজিত এ মতবিনিময় সভায় চেয়ারম্যান ফরিদুল আলম জানান, রামুর সবচেয়ে জনগুরুত্বপূর্ণ এ ইউনিয়নে চলমান করোনা পরিস্থিতির কারণে অসংখ্য মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েছে। এ ইউনিয়নে অতি ক্ষুদ্র ব্যবসায়ি, পরিবহন চালক-শ্রমিক, রিক্সা-টমটম চালক, দিনমুজর সহ নানা পেশার নারী-পুরুষ অনেক বেশী। এ কারনে ইউনিয়নজুড়ে কর্মহীন অনেক পরিবার এখন খাদ্য সংকটে পড়েছে।

তিনি আরো জানান, করোনা পরিস্থিতির শুরু থেকেই ব্যক্তিগত উদ্যোগে তিনি মাইকিং, জীবানুনাশক স্প্রে, মসজিদ-মন্দিরে সচেতনতামূলক প্রচারনা চালিয়ে আসছেন। এছাড়া ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডে জীবানুনাশক স্প্রে করা হচ্ছে। অন্যান্য ওয়ার্ডগুলোতেও পর্যায়ক্রমে কয়েকদিনের মধ্যে জীবানুনাশক স্প্রে করার কাজ শুরু হবে। বিগত জুমার নামাজে পরিষদের সদস্য ও চৌকিদাররা বিভিন্ন মসজিদে নামাজে সচেতনতামূলক বক্তব্য রেখেছেন। যা সামনেও অব্যাহত থাকবে। এছাড়া দোকান-পাটে বা সড়কে লোকজনের সমাগম বন্ধেও তিনি কাজ করছেন।

চেয়ারম্যান ফরিদুল আলম বলেন, করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলা এবং কর্মহীন মানুষের জন্য এ পর্যন্ত কোন বরাদ্ধ ইউনিয়ন পরিষদ পায়নি। অথচ দ্রুত খাদ্য, মাস্ক ও গ্লাভস সরবরাহ প্রয়োজন হয়ে পড়েছে। তবে উপজেলা প্রশাসনের চাহিদার প্রেক্ষিতে কর্মহীন ও দরিদ্র নারী-পুরুষের একটি তালিকা প্রশাসনের কাছে জমা দিয়েছেন। এছাড়া ব্যক্তিগত তহবিল এবং পরিষদের নিয়মিত ভিজিড়ি-ভিজিএফ সহ অন্যান্য কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে তিনি সংকট মোকাবেলায় সাধ্যমতো চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন বলে জানান।

চলমান করোনা পরিস্থিতিসহ রামুতে অতীতে বিভিন্ন প্রাকৃতিক দূর্যোগকালীন সময়ে সাংবাদিকদের অবদানের কথা স্বীকার করে তিনি ভবিষ্যতেও এ সকল সংকটময় মূহুর্তে দেশ ও জণকল্যানে সাংবাদিকদের লেখনী অব্যাহত রাখার অনুরোধ জানান।

মতবিনিময়কালে ফতেখাঁরকুল ইউনিয়ন পরিষদের সচিব নিরোধ বরণ পাল, ইউপি সদস্য আবুল বশর, কর্মরত সাংবাদিকদের মধ্যে খালেদ শহীদ (দৈনিক সমকাল, দৈনিক রূপসীগ্রাম), নীতিশ বড়ুয়া (দৈনিক পূর্বকোণ, দৈনিক সকালের কক্সবাজার), সোয়েব সাঈদ (দৈনিক আমাদের সময়, দৈনিক পূর্বদেশ, দৈনিক কক্সবাজার), খালেদ হোসেন টাপু (দৈনিক বাঁকখালী), আল মাহমুদ ভুট্টো (দৈনিক মানবজমিন, দৈনিক আজকের দেশবিদেশ), ওবাইদুল হক নোমান (দৈনিক হিমছড়ি), হাসান তারেক মুকিম (দৈনিক আপনকন্ঠ, কক্সবাজার খবর২৪ ডটকম), আবুল কাশেম (দৈনিক দৈনন্দিন), আবুল কাশেম সাগর (দৈনিক সমুদ্রকন্ঠ), মো. নাছির উদ্দিন (দৈনিক কক্সবাজার প্রতিদিন), আবু বক্কর ছিদ্দিক (দৈনিক দিনকাল) প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।

পাঠকের মতামত: