ঢাকা,শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

পেকুয়া বাজার বণিক সমিতির নির্বাচনে দুর্ণীতিবাজ সমবায় কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠেছে সদস্যরা

পেকুয়া প্রতিনিধি :: পেকুয়ায় ভোট বর্জনের ঘোষনা দিল ব্যবসায়ীরা। পুন:তফসিলে বণিক সমিতিতে নির্বাচন চান কবির আহমদ চৌধুরী বাজারের ব্যবসায়ী ও ভোটার প্রতিনিধিরা।

পেকুয়া বাজার ব্যবসায়ী কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন লি: এর ত্রি-বার্ষিক নির্বাচন ও ভোট গ্রহনকে কেন্দ্র করে গোলযোগপূর্ন অবস্থা দেখা দিয়েছে। বণিক সমিতি নির্বাচনে ভোট গ্রহন অনুষ্টানের জন্য গত বছরের ১১ ডিসেম্বর তফসিল ঘোষনা করে। চলতি বছরের ১৯ জানুয়ারী ভোট গ্রহনের দিনক্ষন চুড়ান্ত করেন উপজেলা সমবায় অফিসার ও প্রধান নির্বাচন কমিশনার।

ত্রি-বার্ষিক নির্বাচনকে ঘিরে উপজেলার বাণিজ্যিক কেন্দ্র পেকুয়া বাজারে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছিল। প্রতিদ্বন্ধী প্রার্থীরা ভোটে প্রচার প্রচারনা গণসংযোগে মেতেছিল। ভোট গ্রহনের ১ দিন আগে নির্বাচন স্থগিত হয়েছে। ভোটার তালিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে। সভাপতি-সম্পাদকসহ বণিক সমিতিতে দায়িত্বপ্রাপ্তদের বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতা অনিয়ম দুর্ণীতি ও একপেশে নির্বাচন আখ্যায়িত করে বাজার সমিতির সদস্য হাজী গিয়াস উদ্দিন এ সংক্রান্ত বিষয়ে হাইকোর্টে রিট আবেদন দায়ের করেন। যার নং ৩৯০/২০। উচ্চ আদালত বাদীর রিটের প্রেক্ষিতে গত ১৬ জানুয়ারী ৬ মাসের জন্য নির্বাচন স্থগিত করেন।

ঘোষিত তারিখে ভোট গ্রহন অনুষ্টিত হয়নি। পূর্বের কমিটিতে স্থলাভিষিক্তদের দায়িত্বের পরিসমাপ্তি ঘটে ২২ জানুয়ারী। অর্ন্তবর্তীকালীন দায়িত্ব পালনের জন্য একটি এডহক কমিটি গঠিত হয়। সমবায় আইন ২০ (২) ধারা ও সমবায় সমিতি ২০০৪ এর ২২(৩) বিধিমোতাবেক ৩ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির মেয়াদকাল ১ মাস।

চকরিয়া উপজেলা সমবায় অফিসার মো: জাহাঙ্গীর আলমকে সভাপতি করে ৩ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি করে ১ মাসের জন্য কমিটি গঠন করে। বর্তমানে ওই কমিটির মেয়াদ শেষ হয়ে গেলেও জেলা সমবায় অফিসার মো: ইমরান হোসেন দুর্ণীতির আশ্রয় নিয়ে বিভিন্ন কলা কৌশলে সমবায় সমিতি আইন ২০০১ এর ১৮(৫) ধারা মতে কমিটি গঠন করেননি। যার কারনে বর্তমানে পেকুয়া বাজার ব্যবসায়ী কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন লি: এর ব্যবস্থাপনা কমিটির শূন্যতা বিরাজ করছে।

পক্ষান্তরে অলৌকিকভাবে সম্পূর্ণ গোপনীয়তায় ১০ মার্চ রাতে পেকুয়া উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা মো: কামাল পাশা স্বাক্ষরিত প্রেস নোট থেকে ওই নির্বাচনের ভোট গ্রহনের দিনক্ষন ঘোষনা করে। নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে আগামী ১৫ মার্চ বাজার ব্যবসায়ী সমিতির ভোট গ্রহন অনুষ্টিত হইবে। তবে সমবায় কর্মকর্তার এমন ঘোষনায় হতবাক হয়েছেন পেকুয়া বাজারের ব্যবসায়ী ও সাধারন সদস্যরা।

পেকুয়া বাজার ব্যবসায়ী মঈন উদ্দিন, ডা: জাফর আলম, মুজিবুল হক, মুস্তাফিজুর রহমান, বাদশাহসহ আরো সাধারন সদস্যরা জানান, পেকুয়া উপজেলা সমবায় অফিসার কামাল পাশা বড় ধরনের দুর্ণীতির মাধ্যমে সমবায় আইন লঙ্গন করে জেলা সমবায় অফিসার ইমরান হোসাইনের সহযোগিতায় একটি পাতানো নির্বাচনের দিকে এগুচ্ছে।

এ দিকে সাধারন সদস্যগণ দুর্ণীতিবাজ সমবায় অফিসারদের অপসারণ ও শাস্তি দাবী করছে। পুন:তফসিলে নির্বাচন চাই আমরা। তবে ভোটবিহীন নির্বাচন হলে আমরা তা মেনে নেবনা। পুন:তফসিল ব্যতীত এ নির্বাচন অবৈধ। আমরা ১৫ মার্চের নির্বাচন বন্ধের আহবান করছি। না হয় ভোটাধিকার প্রয়োগের জন্য আমরা রাস্তায় নামতে বাধ্য হব। দুর্ণীতিবাজদের বিরুদ্ধে ব্যবসায়ীরা ঐক্যবদ্ধ থাকব।

এ বিষয়ে জানতে যুগ্ম নিবন্ধক চট্টগ্রাম আশিষ বড়ুয়ার মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হয়। তিনি জানান, আসলে বিষয় সম্পর্কে আমি ওয়াকিফহাল নয়। জেলা সমবায় কর্মকর্তার সাথে কথা বলতে বলেন।

জেলা সমবায় কর্মকর্তা ইমরান হোসেনের মুঠোফোন ০১৯৯৩-২২০২১১ এ নাম্বারে বার বার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও সংযোগ না পাওয়ায় বক্তব্য নেওয়া যায়নি। উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা মো: কামাল পাশা জানান, আমি গাড়ীতে আছি। গাড়ী থেকে নেমে পরে কথা বলব।

পাঠকের মতামত: