ঢাকা,মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪

পেকুয়া এবিসি আঞ্চলিক মহাসড়ক সংস্কারে সীমাহীন অনিয়ম-দূর্নীতি! মসৃণ সড়কেই দেওয়া হচ্ছে প্রলেপ

মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন, পেকুয়া-কুতুবদিয়া প্রতিনিধি ::

কক্সবাজার জেলার পেকুয়া উপকূলীয় এবিসি মহাসড়কের ঈদমনী ব্রীজ থেকে টইটং বাজার পর্যন্ত সড়কের অংশে প্রলেপ (ওভার লে) দিচ্ছে সড়ক ও জনপথ বিভাগ (সওজ)। সম্প্রতি সওজ বিভাগ থেকে পেকুয়া এবিসি সড়ক সংষ্কারের জন্য অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। তবে স্থানীয় লোকজন বলছে, মসৃণ এই আঞ্চলিক মহাসড়কে প্রলেপের প্রয়োজন ছিল না। আবার সওজের শিডিউল অনুযায়ী প্রলেপ দেওয়া হচ্ছে না। স্থানীয়রা মনে করছে, সওজ ও কার্যাদেশপ্র্রাপ্ত ঠিকাদার এবিসি সড়ক সংস্কারে নামে অনিয়ম-দূর্নীতির আশ্রয় নিয়েছে।

সওজ সূত্র জানায়, চকরিয়া উপজেলার ঈদমনী ব্রীজ থেকে পেকুয়া উপজেলার টইটং পর্যন্ত সড়কে ভাঙ্গা গর্ত মেরামতের কাজ বাস্তবায়ন চলছে। ঠিকাদার নিয়োগ করে উক্ত কাজ করানো হচ্ছে।

গত সোমবার পেকুয়া এবিসি মহাসড়কের টইটং দফদার রশিদের বাড়ির পয়েন্টের সামনে গিয়ে দেখা যায়, রাস্তায় কোনো খানাখন্দ নেই। প্রলেপের কোনো প্রয়োজন নেই। অথচ ঝকঝকে রাস্তার ওপর সওজের ঠিকাদারের নিযুক্ত শ্রমিকরা প্রলেপ দিচ্ছে। আর পাথর ও বিটুমিনের যে ঢালাই দেওয়া হচ্ছে, তা ৩৫ মিলিমিটারের বেশি হবে না। পাথর ও বালির যে ঢালাই দেওয়া হচ্ছে, তা প্রতি বর্গফুটে দুই কেজির বেশি হবে না।

স্থানীয়রা জানান, কক্সবাজার ও চকরিয়া সড়ক বিভাগের অধীন পেকুয়া এবিসি আঞ্চলিক মহাসড়কের বেশ কিছু পয়েন্টে গত বর্ষা মৌসুমে খানাখন্দ সৃষ্টি হয়েছে। সেখানে কাজ করার অজুহাত দেখিয়ে সড়কের ভাল অংশেও প্রলেপ দিয়ে লুটপাটে নেমে সওজ ও ঠিকাদার! এবিসি সড়কের বিভিন্ন অংশে প্রলেপ দেওয়া হচ্ছে। সওজ কর্মকর্তাদের যোগসাজশে এবিসি সড়ক সংস্কারের নামে যেন সরকারী টাকা লুটের মহা আয়োজন চলছে।

স্থানীয় লোকজনের দাবি, এবিসি (আনোয়ারা-বাঁশখালী-চকরিয়া) আঞ্চলিক মহাসড়কের পেকুয়ার যেসব অংশে প্রলেপ দেওয়া হচ্ছে ওই সব স্থানে এ ধরনের কাজ করার কোনো প্রয়োজন ছিল না। কেননা সড়কের এই অংশে প্রলেপ দেওয়ার মতো অবস্থা এখনো সৃষ্টি হয়নি। সর্বশেষ ২০১৬ সালে ওই সড়কটি টইটং থেকে ঈদমনী ব্রীজ পর্যন্ত কোটি কোটি ব্যয় করে সংষ্কার করা হয়েছিল। যা এখনো ঝকঝকে রয়েছে। তা ছাড়া সড়কের অন্য অংশে যেভাবে খানাখন্দ রয়েছে, সেখানে সড়কের কোনো উন্নয়ন করা হচ্ছে না। শুধু লুটপাটের জন্য সরকারি টাকা এভাবে নষ্ট হচ্ছে।

এ বিষয়ে জানতে সড়ক ও জনপথ বিভাগের চকরিয়া সার্কেল অফিসের শাখা কর্মকর্তা (এসও) আবু আহসান মো: আজিজুল মোস্তাফার সাথে মুঠোফোনে (০১৭১৭৭৪৬২৮৬) এ প্রতিবেদক ১১ মার্চ বিকালে বার বার ফোন করলেও তিনি রিসিভ না করায় বক্তব্য সংযোজন করা সম্ভব হয়নি।

সওজ কক্সবাজারের নির্বাহী প্রকৌশলী পিন্টু চাকমা বলেন, ঠিকাদার যাতে যথাযথভাবে কাজ সম্পন্ন করেন, সে জন্য সড়ক বিভাগ তদারকি করছে। অনিয়ম হলে ঠিকাদারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করার কথা জানিয়ে তিনি আরো বলেন, এবিসি আঞ্চলিক মহাসড়ক সংষ্কার কাজে কোন অনিয়ম হয়েছে কিনা তিনি বিষয়টি সরেজমিনে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।

পাঠকের মতামত: