:: এম.আর মাহমুদ ::
সারাদেশে মানুষ ডেঙ্গু আতঙ্কে ভুগছে। ইতিমধ্যে দেশের ৬৪ জেলার প্রায় উপজেলায় ডেঙ্গু ছড়িয়ে পড়েছে। প্রতিদিনই আক্রান্তের সংখ্যা হু হু করে বাড়ছে। প্রশাসন ডেঙ্গু থেকে নিস্তার পাওয়ার জন্য গণসচেতনতামূলক কর্মসূচীও পালন করে যাচ্ছে। কিন্তু থামানো যাচ্ছে না ডেঙ্গু। এ রোগে আক্রান্ত হয়ে ডাক্তার, শিক্ষক, পুলিশ, ছাত্র, ব্যবসায়ীসহ অনেক সাধারণ মানুষ মৃত্যু বরণ করেছে। ঢাকা সিটি কর্পোরেশন এলাকায় ডেঙ্গু রোগের ঔষধ ছিটিয়েও ডেঙ্গু মশা তাড়াতে পারছে না। কারণ ঔষধের মান নিয়ে ইতিমধ্যে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। আমার এক প্রতিবেশী স্ত্রীর সাথে রাগ করে বাজার থেকে বিষ ক্রয় এনে পান করছিল আত্মহত্যার উদ্দেশ্যে। কিন্তু সফল হয়নি। পরে সে দুঃখ করে বলতে শুনেছি, কি বিষ পান করলাম, মরলাম না। মনে আজকাল বিষেও ভেজাল। সরকারি হাসপাতালে এ রোগের বিনা পয়সায় পরীক্ষা নিরীক্ষা করছে। এছাড়া বেসরকারি হাসপাতাল গুলোকে ডেঙ্গু রোগের পরীক্ষার ক্ষেত্রে মূল্য নির্ধারণ করে দিয়েছে। এতে সাধারণ মানুষ উপকৃত হচ্ছে। কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলায় বিভিন্ন এলাকায় ইতিমধ্যে ৬/৭ জন ডেঙ্গু রোগীর সন্ধান পাওয়া গেছে। সঙ্গতি সম্পন্ন রোগীরা ঢাকা, চট্টগ্রামে চিকিৎসা নিচ্ছে। বেশিরভাগ মানুষ ডেঙ্গু রোগ থেকে বাঁচার জন্য রাতে মশারি টাঙ্গিয়ে ঘুমাচ্ছে। কিন্তু হতভাগা গরুর মালিকেরা ঠিকমত ঘুমাতেও পারছে না। রাতের আঁধারে একটি প্রভাবশালী গরু চোর সিন্ডিকেট, হতদরিদ্র কৃষকদের পালিত গরু চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে। পবিত্র ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে চকরিয়ায় গরু চুরি বেড়েছে। গত শুক্রবার ভোর রাতে চকরিয়ার একটি আলোচিত গরু চোর সিন্ডিকেট প্রধানের নেতৃত্বে বি.এম.চর ইউনিয়নের খনার জুম এলাকার আলী মদন ও প্রবাসী জয়নাল আবদীনের ৪টি গরু চুরি করে নিয়ে গেছে। পরে ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে গরুর মালিক পক্ষের লোকজন সাহারবিল ইউনিয়নের কোরালখালীস্থ গরু চোরের আস্তানা থেকে ২টি গরু উদ্ধার করে। ওই ২টি গরুর মালিকের পুত্র কফিল উদ্দিন পুলিশের উপ-পরিদর্শক। হয়তো তার পরিচয় জেনে ২টি গরু মালিক পক্ষকে হস্তান্তর করেছে। তবে এ দুটি গরু উদ্ধার করতে গিয়ে গরুর মালিক চোরের দলের হাতে আক্রান্ত হয়েছে। পরে অপর ২টি গরু সাবেক চেয়ারম্যানের মধ্যস্থতায় মামলা না করার শর্তে মালিক পক্ষকে হস্তান্তর করেছে। গরু চুরির কাজে ব্যবহৃত একটি মোটর সাইকেল পুলিশ জব্ধ করেছে। বহু কাঠ খড় পুড়িয়ে থানায় মামলা হয়েছে। তবে আসামীর কলামে লেখা হয়েছে অজ্ঞাতনামা আসামীরা। চকরিয়া থানার পুলিশ দাবী করেছে চোর চিহ্নিত হয়েছে। কিন্তু অজ্ঞাতনামা আসামী দেখিয়ে মামলাটি রেকর্ড করার পেছনে কোন রহস্য রয়েছে বলে বিজ্ঞজনদের অভিমত। কথায় আছে “চোরের মানসম্মান আছে”। না হয় চোর সিন্ডিকেটের কোমরে এত শক্তি আসল কোত্থেকে? যুগে যুগে সৃষ্টিকর্তা জালেমদের শাস্তি দিয়েছে। কিন্তু আমরা শিক্ষা গ্রহণ করিনি। যেমন- নমরুদকে শাস্তি দিয়েছে একটি প্রতিবন্ধী মশা দিয়ে। সে মশার তান্ডব থেকে নমরুদের শেষ রক্ষা হয়নি। গরু চোর সিন্ডিকেটের অর্থের কাছে জনপ্রতিনিধি, প্রশাসন হয়তো পা ভাঙ্গা মুরগির মত হয়ে গেছে। এর পরিণতি একদিন সকলকে ভুগতে হবে। অতএব মন্তব্য নি®প্রয়োজন। চকরিয়ার মানুষ গরু চুরি ও ডেঙ্গুর তান্ডব থেকে নিস্তার পেতে মহান আল্লাহর দরবারে আর্তনাদ করে যাচ্ছি। অনেকে বলতে শোনা গেছে, “কারে বুঝাব মনের দুঃখ গো বুক ছিড়িয়ে”।
পাঠকের মতামত: