ঢাকা,বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪

এক শিক্ষকের কান্ড ! লামায়

মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, লামা (বান্দরবান) প্রতিনিধি ::

বান্দরবানের লামায় ভূমি বিরোধের জের ধরে এক শিক্ষকের সন্ত্রাসী কর্মকান্ড সবাইকে হতবাক করেছে। প্রকাশ্যে লোকজন নিয়ে অন্যের জমিতে হানা দিয়ে তার চলাচলের রাস্তার ক্ষতি ও মাটি খুঁড়ে ফেলার অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে। নিজেই আইন না মেনে প্রতিপক্ষকে মামলা দিয়ে হয়রাণীর অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে। স্থানীয়রা জানান, কেউ ওই শিক্ষকের অন্যায়ের বিষয়ে বললে তাকে মামলা মোকাদ্দমায় জড়িয়ে আইনী হয়রাণী করছে সে। বলছিলাম লামার চিংকুম পাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও লামা বাজারের বাসিন্দা সুভাষ কান্তি মজুমদারের কথা।

জানা যায়, লামা পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ড কুড়ালিয়া টেক এলাকায় জনৈক তছলিম উদ্দিন হতে ১৮০ নং হোল্ডিংয়ের ৪২ নং খতিয়ানের ৩০ শতক ১ম শ্রেণী জমি বসতবাড়ির জন্য ক্রয় করে একই ওয়ার্ডের কলিঙ্গাবিল গ্রামের মো. ছারওয়ার। উক্ত জায়গার পাশর্^বর্তী ৩০ শতক জায়গার মালিক সুভাষ কান্তি মজুমদার। ইতিমধ্যে স্থানীয় গণমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে ও সার্ভেয়ারের মাধ্যমে মেপে উভয়ের জায়গার সীমানা নির্ধারণ করা হয়। নির্ধারিত জায়গায় চলাচলের রাস্তা করতে মাটি ফেলে মো. ছারওয়ার। এই বিষয়ে কাউকে কিছু না বলে উক্ত জায়গা নিজের দাবী করে ছারওয়ারের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করে ওই শিক্ষক। আদালক বিষয়টি তদন্তের জন্য লামা থানাকে দায়িত্ব দেয়। নিজেই মামলা করে এবং মামলার তদন্তকালীন সময়ে ৩০ মে বৃহস্পতিবার সকালে ভাড়াটিয়া লোকজন নিয়ে গিয়ে মো. ছারওয়ার এর রাস্তার মাটি খুঁড়ে ফেলে দেয় ওই শিক্ষক। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় জনমনে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। একজন শিক্ষকের এমন কর্মকান্ড মানুষকে হতবাক করেছে।

পাশর্^বর্তী জায়গার মালিক মো. জাফর আলী (৬০) বলেন, উভয়ের সীমানা আগে থেকে নির্ধারণ করা আছে। নিজের জায়গার মাটি ফেলেছে মো. ছারওয়ার। সুভাষ মাষ্টার সেই জায়গা তার দাবী করে মামলা করেছে। আবার লোকজন নিয়ে এসে মাটি খুঁড়ে বস্তা গুলো তুলে ফেলে দিয়েছে।

রাজবাড়ি গ্রামের সর্দ্দার আব্দুর রহিম বলেন, সুভাষ মাষ্টার আমাদের এলাকা সহ আরো অনেক স্থানে জায়গা কিনেছে। সব জায়গায় তার সাথে মানুষের বিরোধ রয়েছে।

অভিযোগে বিষয়ে সুভাষ কান্তি মজুমদার বলেন, মো. ছারওয়ার যেখানে মাটি ফেলেছে সেটা আমার জায়গা। তাই আমি বাধা দিয়েছি।

এই বিষয়ে লামা থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক আহসান হাবিব বলেন, আমি ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। নিজেই মামলা করে আরেকজনের রাস্তার মাটি খুঁড়ে ফেলার বিষয়টি সুন্দর হয়নি।

পাঠকের মতামত: