ঢাকা,শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪

গণপরিবহনে যৌন হয়রানি বন্ধ হবে কবে?

প্রতিনিয়তই গণপরিবহনে বাড়ছে যৌন হয়রানির মতো নেক্কারজনক ঘটনা।  তীব্রভাবে প্রকট আকার ধারণ করা এই বিষয়টি সমাজে নারীর প্রতি পুরুষের দৃষ্টিভঙ্গি স্পষ্টভাবে ফুটিয়ে তুলছে।

ক্রমবর্ধিত জনসংখ্যার দেশ বাংলাদেশের শহর পর্যায়ে এমনকি উপজেলা এবং জেলা পর্যায়ে গণপরিবহনে  জনসাধারণের ওপর নেমে আসছে অস্তোষজনক যৌন হয়রানি এবং যৌন নিগ্রহ।

গত বছর ঢাকা-টাংগাইল মহাসড়কে রূপা নামের এক যুবতীকে ধর্ষণের পর হত্যা করে বাসের চালক ও হেলপারেরা।  আর এই বছর এরকমই একটি ঘটনা ঘটে একই মহাসড়কে।  সম্প্রতি গণপরিবহনে এক প্রতিবন্ধী কিশোরীকে ধর্ষণের চেষ্টায় গ্রেফতার হয়েছে বাসের চালক এবং হেলপার। প্রশ্ন হচ্ছে প্রশাসন যদি এদের ধরে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি-সাঁজা প্রদান করতো তাহলে এমন জঘন্য ও নেক্কারজনক কাজ সংঘটিত করার সময় তারা কয়েকবার ভাবতো।  দৃষ্টান্তমূলক শাস্তিই পারে তাদের এই ধরনের নিকৃষ্ট কাজ থেকে দূরে রাখতে।  গণপরিবহনে যেসব মহিলারা যায় তারা অধিকাংশ মধ্যবিত্ত এবং অস্বচ্ছল পরিবারের, এদের কেউ আমাদের মা সম্পর্কের,  কেউ আমাদের বোন সম্পর্কের। সুতরাং গণপরিবহনে তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা আমাদের নৈতিক দায়িত্বের মধ্যে পড়ে।  বারংবার এই ধরণের কর্মকান্ড আমাদের দেশ, সমাজ এবং নিজেদের ভাবমূর্তি নষ্ট করে। তাই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আমার আকুল আবেদন যারা গণপরিবহনে যৌন হয়রানি করে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা এবং নারীদের জন্য আলাদা গণপরিবহনের ব্যবস্থা করা।

মো.ওসমান গনি শুভ

শিক্ষার্থী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

পাঠকের মতামত: