ঢাকা,বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪

স্বাধীনতার ৪৬ বছর পরেও গোমাতলীর ২০ হাজার মানুষের দুঃখ মুচছেনা

gomaসেলিম উদ্দিন, ঈদগাঁও (কক্সবাজার) প্রতিনিধি, কক্সবাজার সদর উপজেলার পোকখালী ইউনিয়নের গোমাতলী-রাজঘাট সড়ক স্বাধীনতার ৪৬ বছর পরেও বেহাল অবস্থার কারণে যোগাযোগ ব্যবস্থা নিয়ে দুশ্চিন্তায় থাকা ২০ হাজার মানুষের দুঃখ মুচছেনা। সম্প্রতি ঈদগাঁও-পূর্ব গোমাতলী পর্যন্ত যোগাযোগের প্রধান সড়কের মেরামত করে চলাচলের উপযোগী করার উদ্যোগ নেওয়ায় ইউনিয়নের এসব বাসিন্দারা বেশ উৎফুল্ল। তাছাড়া সড়কটি পুরোপুরি সচল হলে পার্শ্ববর্তী ঈদগাঁও, ইসলামপুর, জালালাবাদ, চৌফলদন্ডী ও সদর উপজেলার সঙ্গে নির্বিঘেœ যাতায়াত করতে পারবে, সাথে সাশ্রয় হবে সময় ও অর্থ।

জানা গেছে, সড়কটির ১৫ কিলোমিটারের মধ্যে প্রথম দফায় ইসলামাবাদ থেকে পূর্ব গোমাতলী পর্যন্ত প্রায় ১০ কি:মি: এর নির্মাণ কাজ গত এক মাস থেকে শুরু করা হয়েছে। তবে পশ্চিম গোমাতলী থেকে উত্তর গোমাতলী রাজঘাট পর্যন্ত বাকি ৫ কি:মিটারের কাজ সম্পন্ন করা হচ্ছেনা। কারন পাউবো বেড়িবাধেঁর বিশাল ভাঙন বাধা না হলে বাকী সড়কের কাজ ভেস্তে যাওয়ার আশংকা রয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, গোমাতলীর সাথে ঈদগাঁও-উপজেলা সদরের যোগাযোগের মাধ্যম একমাত্র সড়কটি দীর্ঘ বছর ধরে কোন ধরনের মেরামত না হওয়ায় এলাকাবাসী চরম ঝুকিঁ নিয়ে চলাচল করেন।

এ বিষয়ে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) কক্সবাজারের নির্বাহী প্রকৌশলী মনজুরুল আলম সিদ্দিকী বলেন, জনগুরুত্বপূর্ণ এই সড়কটির পুরোটাই প্রথম ধাপেই মেরামত করে চলাচলের উপযোগী করা হচ্ছে। কিন্তু বেড়িবাঁধ ভাঙার কারনে দুই ধাপে কাজ সম্পন্ন করা করা হবে। তিনি আরো বলেন, সড়কটি নিয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে ভুক্তভোগী মানুষের দুঃখ দূর্দশার চিত্র বেশ ফলাও করে ফুটে উঠেছিল। এসব প্রতিবেদনের গুরুত্ব উপলব্ধি করে এই সড়কের জন্য অর্থ বরাদ্দ এনে নির্মাণের দরপত্র আহবান করেছি। এখন সড়কটির নির্মাণ কাজ বাস্তবায়নের পথে। একইসাথে সড়কের কাজের মান খারাপ হলে কোন ছাড় দেওয়া হবে না বলেও সাফ জানিয়ে দেন তিনি।

জানা গেছে, গোমাতলীর সাথে ঈদগাঁও-উপজেলা সদরের জনগণের চলাচলের প্রধান মাধ্যম এ সড়ক। কিন্তু দীর্ঘ বছর ধরে জনগুরুত্বপূর্ণ এই সড়কটির কোন সংস্কার হয়নি বলইে চলে। এই অবস্থায় ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ সড়ক থেকে পূর্ব গোমাতলী পর্যন্ত ১০ কিলোমিটার অংশ কাজ শুরু করা হয়েছে। বর্ষায় বিধ্বস্থ হয়ে সড়কটির বেশিরভাগ অংশ চলাচল বিচ্ছিন্ন থাকলেও সেটি নির্মাণে ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বা স্থানীয়দের কোন উদ্যোগ ছিলনা। এতে যোগাযোগ ব্যবস্থায় মারাত্মক অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়।

স্থানীয় শিক্ষানুরাগী আতাউল গনি উসমানী বলেন, জনগুরুত্বপূর্ণ গোমাতলী সড়কটির নির্মাণ কাজ যাতে দ্রুত শেষ করা হয় এর জন্য জোর দাবি জানাচ্ছি। তিনি আরো বলেন, সড়কটি নিয়ে ইতোপূর্বে বিভিন্ন পত্রিকায় একাধিক সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। এসব সচিত্র প্রতিবেদন সংশ্লিষ্টদের দৃষ্টি কেড়েছে।

এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা আলম বলেন, ইতোমধ্যে প্রাথমিক কাজ শুরু করা হয়েছে। বর্তমান সড়কের ওপর নতুন কার্পেটিং করা হচ্ছে। কাজ শেষ হতে আরো কিছু দিন সময় লাগবে।

এলজিইডির সদর উপজেলা প্রকৌশলী বলেন, কার্যাদেশ অনুযায়ী সড়কটির পুরনো কার্পেটিং তুলে খোয়া বিছিয়ে নতুন করে কার্পেটিং করা হচ্ছে। অনেক বছর পরে সড়কটির কাজ শুরু করায় আমরাও যথাযথ তদারকি করবো, যাতে সড়কটির স্থায়িত্ব থাকে। প্রথম অংশের কাজ কয়েক দিনের মধ্যেই সম্পন্ন হবে।

goma

পাঠকের মতামত: