ঢাকা,বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪

স্যারে ম্যাডামরে শুধু আপ্পা দেয়

CHUMOমোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, লামা (বান্দরবান) প্রতিনিধি ঃ

শিক্ষকরা জাতি গড়ার কারিগর। স্কুল কলেজের সকল শিক্ষার্থীর প্রিয় বা আদর্শ মানুষ কে এমন প্রশ্নের উত্তরে যে কোন ছাত্র-ছাত্রী তাদের কোন না কোন শিক্ষকের নাম বলবে। শিক্ষকরা আদর্শ হবেন এটাই স্বাভাবিক। তবে সেই শিক্ষক যদি হয় নৈতিক আদর্শ ভ্রষ্ট, চারিত্রিক ত্রুটি সম্পন্ন, নারী লোভী ও দুর্নীতিবাজ তাহলে তাকে কিভাবে শিক্ষক বলে মেনে নেবে কোমল মতি শিক্ষার্থীরা ? বান্দরবানের লামা উপজেলার মেওলাচর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক মুহাম্মদ ওমর ফারুক এর নীতি বিবর্জিত কার্যক্রমে অতিষ্ট হয়ে পড়েছে স্কুলের শিক্ষার্থী, অভিভাবক, সহকর্মী ও এলাকাবাসি।

বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি মো. নুরুজ্জামান বলেন, দীর্ঘদিন যাবৎ উক্ত স্কুলের সহকারী শিক্ষিকার সাথে শিক্ষক ওমর ফারুকের অবৈধ সম্পর্ক, প্রেম ভালবাসা সহ নানান অনৈতিক কাজের কারণে দুই শিক্ষককে এলাকার প্রবেশ সহ বিদ্যালয়ে আসবে কড়া নিষেধ করেছেন এলাকাবাসি। বেশ কয়েকবার তাদের অপকর্ম হাতেনাতে ধরেছে এলাকাবাসি এবং বিচার হয়েছে। শতবার সতর্ক করা শর্তেও তারা দু’জন সংশোধন হয়নি। আমরা পরিচালনা কমিটি ও অভিভাবকরা মিলে বিদ্যালয়ে মিটিং করে রেজুলেশন দিয়ে উপজেলা শিক্ষা অফিসকে বিষয়টি জানিয়েছি।

স্কুলের একাধিক অভিভাবকরা বলেন, ওমর ফারুক মাষ্টার সরকারী বই চুরি করে বিক্রি করার কারণে দীর্ঘদিন যাবৎ চাকুরী থেকে বরখাস্ত ছিল। তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা হয়েছে।

স্কুলের শিক্ষার্থী কাউছার, জামাল, আকলিমা, আবুল ও রফিকুল জানায়, প্রায় সময় ফারুক স্যার ও ম্যাডাম শিশু শ্রেণীর দরজা জানালা বন্ধ করে ভিতরে বসে থাকেন। ক্লাসে বেঞ্চে ম্যাডাম শুয়ে থাকলে ফারুক তার বাহির থেকে এসে শরীরের উপর শুয়ে পড়ে। স্কুলে হাঁটা চলার সময় একজন অন্যের সামনে পড়লে ফারুক স্যার ম্যাডামকে আপ্পা (চুমু) দেয়। আমাদের এইসব দেখলে লজ্জা লাগে।

শিক্ষক দু’জনের অনৈতিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত আছেন মর্মে লামা উপজেলা শিক্ষা অফিসার যতীন্দ্র মোহন মন্ডল বলেন, আমরা স্কুলের পরিচালনা কমিটি ও অভিভাবকদের কর্তৃক অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি জেলা শিক্ষা অফিসারকে অবহিত করা হয়েছে। এখনো কোন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি।

পাঠকের মতামত: