ঢাকা,শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪

পেকুয়ায় তিন নৈশপ্রহরীকে বেঁধে রেখে ৬ দোকানে দুর্ধর্ষ চুরি

স্টাফ রিপোর্টার. পেকুয়া :: কক্সবাজারের পেকুয়ায় তিন নৈশপ্রহরীকে বেঁধে রেখে একই বাজারের ৬টি দোকানে দুর্ধর্ষ চুরি সংঘটিত হয়েছে। এ সময় চোরেরা ওই বাজারের ৬টি দোকান থেকে নগদ টাকা, টমটম ব্যাটারিসহ বিপুল পরিমাণ মালামাল লুট করে নিয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

বৃহষ্পতিবার দিনগত মধ্যরাতে উপজেলার সদর ইউপির সাবেকগুলদী স্টেশনে এ চুরির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পর থেকে ওই এলাকার মানুষের মাঝে চুরি আতঙ্ক বিরাজ করছে।

স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানান, উপজেলার সদর সাবেকগুলদী স্টেশন বাজারে ফার্মেসী, মুদির দোকান, টমটম গ্যারেজ, ফেক্সিলোডসহ বিভিন্ন ধরনের প্রায় ৫০টির অধিক দোকান রয়েছে। ওই বাজারে রাতে পাহারা দেওয়ার জন্য বাজার কমিটির পক্ষ থেকে বশিরসহ আরো দুইজন নৈশপ্রহরী প্রতিদিন রাতে বাজারের দোকানগুলো পাহারা দিয়ে থাকেন।
প্রতিদিনের ন্যায় বৃহষ্পতিবার রাতে বাজারের ব্যবসায়ীরা দোকান বন্ধ করে বাড়িতে চলে যায়। শুক্রবার ভোরে কিছু ব্যবসায়ী দোকানে এসে দেখেন নৈশপ্রহরী বশিরসহ অপর দুইজনের হাত ও মুখ রশি দিয়ে বাধা। ওই সময় ব্যবসায়ীরা দ্রুত তাদের দোকানে গিয়ে তালা কাটা দেখেন। নগদ টাকা ও মালামাল লুট করে নিয়ে যাওয়ায় তারা নিঃশ্ব হয়ে পড়েন।

ভুক্তভোগী জসিম বলেন, ঋণ করে ব্যবসা শুরু করি। চোরের দল নগদ টাকাসহ মালামাল লুট করে নিয়ে যাওয়ায় আমাকে নিঃশ্ব করে দিয়েছে।

ভুক্তভোগী মোজাম্মেল বলেন, একটি দোকান ভাড়া নিয়ে মাসিক ভাড়ায় টমটম রাখেন মালিক ও চালকেরা। গ্যারেজ থেকে ২০টির অধিক ব্যাটারী চুরি করে নিয়ে গেছে।

সাবেকগুলদী স্টেশনের এক ব্যবসায়ী নেতা বলেন, পেকুয়া সদরে আশঙ্খাজনকহারে চুরির ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে। সর্বশেষ আমাদের স্টেশনের বেশ কয়েকটি দোকানের নগদ টাকা ও মালামাল লুট করে নিয়ে গেছে। প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ চোরের তালিকা করে দ্রুত অভিযান পরিচালনা করা হউক।

এ ব্যাপারে পেকুয়া থানার ওসি ফরহাদ আলী বলেন, ঘটনাটি শোনার সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে কাজ শুরু করেছি। চোর সিন্ডিকেট এর ব্যাপারে তালিকা করে দ্রুত অভিযান পরিচালনা করা হবে।

পাঠকের মতামত: