ঢাকা,বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪

সরকারি গণশৌচাগার ও নলকূপ দখল করে স্থাপনা!

আতিকুর রহমান মানিক ::  ঈদগাঁও উপজেলার ইসলামাবাদে এলজিএসপি’র অধীনে সরকারী অর্থায়নে নির্মিত গণশৌচাগার ও গভীর নলকূপ দখলে নিয়েছে দুস্কৃতিকারীরা। ২ নং ওয়ার্ডের পাঁহাশিয়াখালী বাজারে সরকারী প্রায় সাড়ে চার লাখ টাকায় নির্মিত এ স্থাপনা দিনদুপুরে উচ্ছেদ করায় জনভোগান্তি চরম পর্যায়ে উঠেছে ।

সরেজমিনে জানা যায়, ২০১২-১৩ অর্থ বছরে পাহাঁশিয়াখালী বাজারের ব্যবসায়ী ও আগত জনগণের দুর্ভোগের কথা চিন্তা করে ইউনিয়ন পরিষদ কতৃপক্ষ ব্যক্তিমালিকানাধীন জায়গার উপর তাদের অনুমতি সাপেক্ষে প্রায় সাড়ে চার লক্ষ টাকা ব্যায়ে একটি গণশৌচাগার ও গভীর নলকূপ স্থাপন করে।
এতদিন শৌচাগার এবং নলকূপ উভয়টি সম্পুর্ন চালুবস্থায় ছিল।
কিন্তু সম্প্রতি হঠাৎ জমির মালিক দাবীদার মনির আহমদ মুন্সিগং সরকারের সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া প্রকাশ্যে সেফটি ট্যাংকসহ নির্মিত সরকারি গণশৌচাগার ও গভীর নলকূপটি উচ্ছেদ করে ও তাতে স্থাপনা নির্মাণ শুরু করে দেয়।
এতে বাজারে আগত হাজারো জনগণ এবং ব্যবসায়ীরা চরম দূর্ভোগের শিকার হচ্ছে বলে তারা অভিযোগ উঠেছে।
তাদের দাবি ব্যাক্তি মালিকানাধীন জায়গায় সরকারি স্থাপনা গড়ে উঠলে তা সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া উচ্ছেদ করা যায়না।

অপরদিকে নলকূপ ও শৌচাগার দখলে জড়িত মনির আহমদের সাথে যোগাযোগ করা হলে জানান, তিনি কক্সবাজার শহরে থাকেন, তাদের মালিকানাধীন জায়গায় হওয়ায় হয়ত ভাইয়েরা তা উচ্ছেদ করেছে।

ওয়ার্ড মেম্বার আবদুর রাজ্জাকের সাথে যোগাযোগ করা হলে জানান,এসব সরকারি সম্পদ উচ্ছেদের ঘটনা সত্য, তবে জায়গাটি ব্যাক্তি মালিকানায় হওয়ায় উচ্ছেদের পূর্বে কতৃপক্ষ থেকে অনুমতি নিয়ে বিকল্প ব্যবস্থা করে দিলে জনগণ এ প্রশ্নটি তুলতনা।ইসলামাবাদ চেয়ারম্যান নুর সিদ্দিক নলকূপ ও শৌচাগার উচ্ছেদের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ব্যাপারটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিল্টন রায় বলেন, সরকারি স্থাপনা ব্যাক্তি মালিকানাধীন জায়গায় গড়ে উঠেনা। কিন্তু কোনভাবে যদি সরকারি স্থাপনা ব্যক্তিমালিকানাধীন জায়গায় গড়ে উঠে, তখন কিন্ত সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া উচ্ছেদ করা যায়না। এ বিষয়ে তিনি স্থানীয় চেয়ারম্যানের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে বলেও জানান তিনি।

পাঠকের মতামত: