ঢাকা,শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪

মাধ্যমিকের বিনামূল্যের বই ভাঙারির দোকানে

মহেশখালী প্রতিনিধি :: মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে বিনামূল্যে বিতরণের জন্য দেয়া সরকারি বই স্কুল-মাদ্রাসায় পৌঁছানোর আগে রাতের আঁধারে পাওয়া গেল ভাঙারির দোকানে।

১৬ জানুয়ারি দিবাগত রাতে কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার বড় মহেশখালীর একটি ভাঙারির দোকানে পাওয়া এসব বই প্রথমে স্থানীয় গ্রাম পুলিশের হেফাজতে নেওয়ার পর গতকাল সোমবার ঘটনাস্থলে গিয়ে আনুমানিক ২ হাজার বই জব্দ করে থানায় নিয়ে আসে মহেশখালী থানা পুলিশ।

মহেশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল হাই জানান, বড় মহেশখালী ফকিরাঘোনা কমিউনিটি ক্লিনিকের পাশের জনৈক মোহাম্মদ ছিদ্দিকের মালিকানাধীন একটি ভাঙারির দোকানে আনুমানিক ২ হাজার নতুন বই মজুদ করা হয় রাতের আঁধারে।

রুবেল নামে একজন খুচরা ভাঙারি পণ্য বিক্রেতা ওই দোকানের মালিকের কাছে বিক্রি করার জন্য বইগুলো নিয়ে আসে। এ অবস্থায় নতুন বই দেখে দোকান মালিক ও ভাঙারি ব্যবসায়ীর সন্দেহ হলে বিষয়টি স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদে জানান। পরে ইউনিয়ন পরিষদের কয়েকজন গ্রাম পুলিশ সদস্য ওই দোকানে গিয়ে বিপুল সংখ্যক নতুন বইয়ের মজুদ দেখতে পান। মজুদ বইগুলো চলতি শিক্ষাবর্ষের এবং সেখানে ৬ষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণীর বই রয়েছে। পরে বইগুলো গ্রাম পুলিশের সদস্যরা নিজেদের জিম্মায় রাখেন। বইগুলো জব্দ করে বর্তমান থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে। পরবরর্তীতে প্রকৃত অপরাধীকে শনাক্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

গ্রাম পুলিশ সদস্য মোহাম্মদ সোলাইমান চকরিয়া নিউজকে জানান, ভাঙারির দোকানে প্রায় ২ হাজার কপির মতো নতুন বই পাওয়া গেছে। দোকান মালিক মোহাম্মদ ছিদ্দিক আহমদ জানান, বড় মহেশখালীর কুলাল পাড়া এলাকার জনৈক মনজুরের পুত্র মোহাম্মদ রুবেল সন্ধ্যা ৭টার দিকে ব্যবহৃত কাগজ হিসেবে কেজির ওজনে বিক্রির জন্য তার দোকানে বইগুলো আনে। বইগুলো মজুদ করে রুবেল দোকান থেকে সরে যায়।

মহেশখালী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের একাডেমিক সুপারভাইজার ফজলুল করিম জানান, রুবেল নামে এক ভাঙারিওয়ালা বইগুলো কেজি দরে ভাঙারির দোকানে দেওয়ার খবর পেয়েছি। আমি রাতে এই বইয়ের গুদাম পরিদর্শন করে দেখেছি সেখানে সমস্যা নেই। এখনও বলা যাচ্ছে না ঠিক কোথা থেকে বইগুলো এসেছে। এসব বিষয় খতিয়ে দেখে জড়িতদের বিরুদ্ধে প্রাতিষ্ঠানিক ও আইনী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

পাঠকের মতামত: