ঢাকা,মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪

নভেম্বরে শুরু দেশব্যাপী ইউপি নির্বাচন

নিউজ ডেস্ক ::
আবার শুরু হচ্ছে দেশব্যাপী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন। নভেম্বরের শুরুতে ইউপির দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচন অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এক্ষেত্রে ৬/৭ নভেম্বর এ নির্বাচন অনুষ্ঠানের চিন্তা করা হচ্ছে। আগামী বুধবার নির্র্বাচন কমিশনের আনুষ্ঠানিক বৈঠকে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

তবে বৈঠকে নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত দিলে বৈঠক শেষে এ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণাও হতে পারে। সেইসঙ্গে তৃতীয় ও চতুর্থ ধাপের ভোটের তারিখও ঘোষণা করা হতে পারে। এদিকে দেশব্যাপী ইউপি নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সব ধরনের প্রস্তুতি নিতে নির্দেশনা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। প্রত্যেক উপজেলায় ভোট কেন্দ্রের তালিকাও প্রকাশ করা হয়েছে।

সেইসঙ্গে নির্বাচনের অন্যান্য কাজ গুছিয়ে রাখছেন ইসির কর্মকর্তারা। ইসির কর্মকর্তারা বলছেন, বুধবার যদি তৃতীয় ও চতুর্থ ধাপের তারিখ না ঘোষণা হয়, তবে অক্টোবরের মাঝামাঝিতে তৃতীয় ধাপের তফসিল দিয়ে নভেম্বরের শেষ দিকে ভোট করবে কমিশন। আর চতুর্থ ধাপের ভোট ডিসেম্বরে হতে পারে। ইসির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বুধবার ইউনিয়ন পরিষদ ও অন্যান্য নির্বাচন নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে বৈঠকে বসছে নির্বাচন কমিশন।
ওই বৈঠকে সিদ্ধান্ত হবে কয় ধাপে দেশ্যব্যাপী ইউপি ভোট শেষ করা যাবে। বৈঠকের আলোচ্যসূচিতে, সিরাজগঞ্জ-৬ আসনের উপনির্বাচন, একটি সংরক্ষিত আসনের উপনির্বাচন, সপ্তম ধাপের পৌরসভা নির্বাচন এবং দ্বিতীয় ধাপের ইউপি নির্বাচনের বিষয়ে রাখা হয়েছে। আগামী ২৯ সেপ্টেম্বর বেলা সাড়ে ১১টায় নির্বাচন ভবনে ইসির ৮৬তম সভা অনুষ্ঠিত হবে। সভায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা সভাপতিত্ব করবেন। জানা গেছে, আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি বিদায়ের আগে দেশব্যাপী বাকি প্রায় ৪ হাজার ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন, জেলা পরিষদ, সপ্তম ধাপে ২০ পৌরসভায় ও নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনে ভোট করতে হবে বর্তমান নির্বাচন কমিশনকে।
ইসির কর্মকর্তারা বলছেন, বিদায়ের আগে আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে সব ধরনের নির্বাচন শেষ করার পরিকল্পনা নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এক্ষেত্রে সংসদের দুটি উপনির্বাচন, দেশব্যাপী ৪ হাজারের বেশি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন উপযোগী রয়েছে। জেলা পরিষদ, নারায়ণগঞ্জ সিটিতে বিদায়ের আগে ভোট করতে হবে বর্তমান কমিশনকে। এর আগে ইউপি নির্বাচনের প্রথম ধাপে ২১ জুন ২০৪টি এবং ১৬০ দিতে ভোট হয় ২০ সেপ্টেম্বর। এই ভোটে অন্তত ছয়জনের প্রাণহানি ঘটেছে। এ ছাড়া আগামী ৭ অক্টোবর ১৫ উপজেলা, ১ পৌরসভা, সিটি করপোরেশনের ৫ কাউন্সিলর ও পৌরসভার ৫ কাউন্সিলর পদে উপনির্বাচনের ভোট গ্রহণ হবে। বিভিন্ন স্থানীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে ইসি সচিব হুমায়ুন কবীর খোন্দকার বলেছেন, অক্টোবর থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে প্রায় ৪ হাজার ইউপিতে ভোট আয়োজনের পরিকল্পনা রয়েছে। তবে এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেবে কমিশন। এই মাসের শেষে কমিশন সভা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। ওই বৈঠকে কয় ধাপে ইউপি ভোট হবে বা কখন হবে এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত আসতে পারে। নায়ায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এই নির্বাচনের জন্য সময় আছে। ডিসেম্বরের মধ্যে হয়তো নির্বাচন আয়োজন করা হতে পারে। জেলা পরিষদ নির্বাচনের বিষয়ে তিনি বলেন, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে তালিকা দেওয়ার পর এই বিষয়ে পরবর্তী কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে।
ইসির নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, করোনা মহামারীর কারণে স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন নির্বাচন দীর্ঘ দিন থেকে আটকা রয়েছে। নির্বাচন উপযোগী প্রায় ৪ হাজার ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন আটকা রয়েছে। ইসির কর্মকর্তাদের ভাষায় নির্বাচনের জটে লেগেছে নির্বাচন কমিশনে। আগামী তিন মাসের মধ্যে দেশব্যাপী ইউপি নির্বাচন অনুষ্ঠান করতে হলে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি কি হবে? তা নিয়েও ভাবছে কমিশন। কেননা বিগত ২০১৬ সালে দলীয় প্রতীকে প্রথম ইউপি নির্বাচন হয়। ওই সময়ে ছয় ধাপে এই ভোট শেষ করেছিল ইসি। তবুও নির্বাচন নিয়ে সহিংসতা থামাতে পারেনি কমিশন। এবারে স্বল্প সময়ে দেশব্যাপী তৃণমূলের প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক এ নির্বাচন অনুষ্ঠান নিয়ে অনেকটা টেনশন করতে হচ্ছে কমিশনকে। কে এম নূরুল হুদার নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন ২০১৭ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি শপথ নেয়। আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি বিদায় নেবেন বর্তমান নির্বাচন কমিশনের সদস্যরা। সেই হিসাবে পাঁচ মাসের কম সময় তারা নির্বাচন কমিশনের সদস্য হিসেবে থাকছেন। তারপরই সাংবিধানিক সংস্থাটিতে দায়িত্ব নেবেন নতুন ব্যক্তিরা, যাদের অধীনে হবে পরবর্তী সংসদ নির্বাচন

পাঠকের মতামত: