কক্সবাজার শহরের মেরিন সিটি গ্রুপ অব কোম্পানিজের একটি নির্মাণাধীন মসজিদে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করেছে একদল দুর্বৃত্ত। অস্থায়ী ভাবে নির্মিত ওই মসজিদটি তাবলীগ জামাতের লোকজন ধর্মীয় কাজে ব্যবহার করতেন। ব্যক্তি মালিকাধীন জমিতে নির্মাণাধীন মসজিদটির জমি জবরদখলে হামলাকারি চক্রটি মহিলাদের ব্যবহার করেছে।
মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৫টার দিকে কক্সবাজার শহরতলির ঝিলংজা ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের অধীন রাবারড্যাম সড়কের পশ্চিম পাশে এই ঘটনা ঘটে। মেরিন সিটি গ্রুপ অব কোম্পানিজের চেয়ারম্যান এএমজি ফেরদৌসের দুই মেয়ে ও মসজিদটির জমির মালিক ফাহমিদা জান্নাত প্রিয়া ও ইকরা জান্নাতের পক্ষে তাদের ভাই জাহিদুল ইসলাম মাহিম বাদী এই ঘটনায় কক্সবাজার সদর মডেল থানায় এজাহার দিয়েছেন।
ওই এজাহারে ঝিলংজা ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের মুহুরী এলাকার মৃত আফজল আহমদের ছেলে জাফর আলম এবং মৃত আবদুল অদুতের ১১ ছেলে-মেয়ে খুর্শিদা খানম, শরিফা খানম, সেলিনা খানম, জোৎস্না রোজী, রোকসানা বেগম, তসলিমা খানম, শারমিন আকতার, রাশেদা খানম, হোসনে আরা, রেশমি আকতার ও ফাতেমা বেগমকে আসামি করা হয়েছে। এছাড়াও অজ্ঞাত আরও ২/৩ জনকে আসামি করা হয়।
এজাহার মতে, ফাহমিদা জান্নাত প্রিয়া ও ইকরা জান্নাতের নামে ক্রয় করা জমিতে অস্থায়ী মসজিদ নির্মাণ করে দীর্ঘদিন ধরে তারা ভোগদখল করে আসছিলেন। কিন্তু আসামিরা আশপাশের লোকজন হওয়ায় পরস্পর যোগসাজসে অবৈধ ভাবে ওই জমি দখল করার চেষ্টা করে আসছিল। এনিয়ে স্থানীয় ভাবে সালিশ ডাকা হলেও হামলাকারিরা সালিশের তোয়াক্কা না করে উল্টো জমির মালিক, তাদের ভাই ও আত্মীয় স্বজনকে খুন করার হুমকি দেয়।
এজাহারে দাবি করা হয়, ওই ঘটনার রেশ ধরে মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৫টার দিকে লোহার রড, ধারালো দা, লম্বা কিরিচ, কাঠের লাটিসহ নানা ধরণের অস্ত্র নিয়ে অস্থায়ী সেই মসজিদের ঘেরাবেড়া ভাংচুর ও লুটপাট করে। হামলাকারিরা ওই সময় মসজিদের বেড়া ভেঙ্গে ভেতরে ঢুকে যায়। এতে জমির মালিকের আর্থিক ক্ষতি হয়।
দাবি করা হয়, শহরতলীর মুহুরী পাড়া এলাকার ‘ইয়াবা গডমাদার’ খুর্শিদা খানমের নেতৃত্বে ৫০-৬০ জন ভাড়াটে সন্ত্রাসি ও দুর্বৃত্ত এই হামলায় অংশ নেয়।
এই ঘটনা জানতে পেরে জমির মালিকদের ভাই ও এজাহারদাতা জাহিদুল ইসলাম মাহিম লোকজন নিয়ে ঘটনাস্থলে গেলে তাকেও মারধরের চেষ্টা করা হয়। ওই সময় মসজিদ নির্মাণ করতে চাইলে হামলাকারিদের ১০ লাখ টাকা দিতে হবে বলে হুংকার দেয়।
এজাহার মতে, গত ১৮ এপ্রিলও হামলাকারিরা একই ধরণের ঘটনা ঘটিয়েছিল, যা লিখিত ভাবে থানা পুলিশকে অবহিত করা হয়েছিল।
এ ব্যাপারে কক্সবাজার সদর থানা পুলিশের কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
পাঠকের মতামত: