টেকনাফ প্রতিনিধি :: টেকনাফে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে অবস্থান নিয়েছেন প্রেমিকা। গত সোমবার টেকনাফ সদর ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ড নতুন পল্লান পাড়া এলাকার প্রেমিক আনসারুল আহমদের বাড়িতে অবস্থান নেন পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা ওই তরুণী। আনসারুল পল্লান পাড়ার আব্দুস সালামের ছেলে।
ওই তরুণী সংবাদকর্মীদের বলেন, দীর্ঘ ৬ বছর ধরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক। বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে আনসারুল বিভিন্ন সময় তাকে নানা হোটেলে নিয়ে সময় কাটায়। পরে বিয়ের কথা বললে তিনি নানা ছলাকলা শুরু করে। তরুণী জানান, সৌদি প্রবাসীসহ বেশ কয়েকটি ভালো সম্বন্ধ এসেছিল আমার জন্য। পারিবারিকভাবে একটার সঙ্গে বিয়ের কথা অনেকটা পাকাপাকিও হয়েছিল। কিন্তু আনসারুলের আশ্বাসে সেই বিয়ে ভেঙে দেয়া হয়। বছর দেড়েক আগে তাদের বাড়িতে গিয়ে পরিবারকে বিষয়টি অবগত করলে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে তারা আমাকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। এখন আনসারুল সেই সম্পর্ক অস্বীকার করছে। তার পরিবারও এই সম্পর্ক মানতে নারাজ। অন্যত্র আনসারুলের বিয়ের কথা চলছে বলে শুনেছি। তাই বাধ্য হয়েই এখানে এসে অবস্থান নিয়েছি। ঘরে কেউ নেই। সবাই গা ঢাকা দিয়েছে। তাই আইনি পদক্ষেপ নেব।
পরে ওই দিনই তরুণী নিজ ঘরে ফিরে গেছেন বলে নিশ্চিত করেছেন স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মো. আবদুল ফারুক। বাড়ি থেকে অন্যত্র আড়ালে থাকা আনসারুল আহমদের সঙ্গে বারবার মোবাইলে যোগাযোগ করা হলেও বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তাদের বাড়িতে গিয়েও কাউকে পাওয়া যায়নি এবং বাড়িটির বাইরের দরজায় তালা ঝুলানো দেখা গেছে।
টেকনাফ সদর ইউনিয়নের সংরক্ষিত আসনের মহিলা সদস্য লাইলা বেগম বলেন, দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্কের জের ধরে বিয়ের দাবিতে এক তরুণী আমাদের এলাকার আব্দুল সালামের বাড়িতে অবস্থান নেয়। পরে বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুল ফারুকসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিরা বসে সমাধানের চেষ্টা করেছিলাম। সালিশে আনসারুলের পিতা আব্দুস সালাম তরুণীকে তার ছেলের বউ হিসেবে মেনে নেবে না বলে জানিয়েছেন। তবে ২ লাখ টাকার বিনিময়ে মেয়েকে চলে যেতে বলেন। এতে মেয়ের পরিবার রাজি হয়নি। ওই তরুণীকে আদালতের স্মরণাপন্ন হওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ জোবাইর সৈয়দ জানান, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
পাঠকের মতামত: