ঢাকা,শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪

জাতীয় কনভেনশনের ডাক ফখরুলের

১১নিজস্ব প্রতিবেদক ::

ঢাকা: সরকারকে উদ্দেশ করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, “জঙ্গিবাদ অবিলম্বে দমন করা না গেলে দেশ আরো ভয়াবহ অবস্থার দিকে চলে যাবে। তাই জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস ও  উগ্রবাদ মোকাবেলায় সকল দলকে নিয়ে জাতীয় কনভেনশন করুন। বিরোধী দলকে বাইরে রেখে এই ভয়াবহ সমস্যার সমাধান করা যাবে না।”
পবিত্র মাহে রমজানের ১৫তম দিন মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে এক আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিলে অংশ নিয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
সহাবস্থান, পরমত সহিষ্ণু ইতিবাচক ছাত্র রাজনীতি চর্চার মাধ্যমে আগামী দিনের জাতীয় নেতৃত্ব বিকাশে ডাকসু নির্বাচনের প্রয়োজনীয়তা’-শীর্ষক এ আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিলের আয়োজন করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শাখা ছাত্রদল।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, “দেশে গণতন্ত্র নেই। এই সরকার গণতন্ত্রের গলাটিপে হত্যা করেছে। আজ মানুষের গণতান্ত্রিক ও ভোটের অধিকার নেই। মানুষ কথা বলতে পারে না। বিএনপিকে সভা-সমাবেশ করতে দেয়া হয় না।এক কথায়, বাংলাদেশের অস্তিত্ব আজ বিপন্ন হয়ে পড়েছে।”
সরকার জঙ্গিবাদ নিয়ে মিথ্যাচার করছে এমন দাবি করে তিনি বলেন, “জঙ্গিবাদ দমনের কথা বলে সরকার গণতান্ত্রিক শক্তিসমূহকে ধ্বংস করে দিচ্ছে। তাদের উদ্দেশ্য- জঙ্গিবাদ দমন নয়, জঙ্গিবাদের বিষয়টি ব্যবহার করে বিরোধী দলসমূহকে নিশ্চিহ্ন করে দেয়া। সেজন্য গুপ্তহত্যার ঘটনায় তারা প্রকৃত অপরাধীদের না ধরে এর দায় বিরোধী দলের ওপর চাপাচ্ছে। আর যাদেরকে ধরছে তাদেরকে ক্রসফায়ারে হত্যা করছে। এর মধ্য দিয়ে তারা সত্যকে গোপন করে জনগণকে বিভ্রান্তিতে রেখেছে। বিরোধী দলকে বাইরে রেখে এই ভয়াবহ সমস্যার সমাধান করা যাবে না।”
সরকারের উদ্দেশে মির্জা ফখরুল বলেন, “অনেক হয়েছে। দেশ ধ্বংস করে দিয়েছেন। উগ্রবাদ-জঙ্গিবাদ দমন করা না গেলে দেশ আরো ভয়াবহ অবস্থার দিকে চলে যাবে। তাই এটাকে বন্ধ করার চেষ্টা করুন। জঙ্গিবাদ প্রতিরোধে সব রাজনৈতিক দলগুলোকে ডেকে একটি জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলুন। অন্যথায় এই ভয়াবহ সমস্যা থেকে মুক্ত হওয়ার কোনো উপায় নেই।”
দেশবাসীর সামনে ঘোর অন্ধকার উল্লেখ করে তিনি বলেন, “আমরা ক্রমেই অন্ধকারের দিকে চলে যাচ্ছি। এর থেকে আমাদের বের হয়ে আসতে হবে। আশার কথা, সুড়ঙ্গের অপরপ্রান্তে আমরা আশার আলো দেখতে পাচ্ছি। আর সেই আশার আলো হচ্ছে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া। যিনি সারা জীবন গণতন্ত্রের জন্য কাজ করেছেন, এখনো করছেন। তাই আসুন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও অধিকার আদায়ে আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করি।”

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল সভাপতি আল মেহেদী তালুকদারের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন- বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধূরী এ্যানী, ছাত্রদলের সভাপতি রাজীব আহসান, সাধারণ সস্পাদক মো. আক্রামুল হাসান, সিনিয়র সহসভাপতি মামুনুর রশিদ, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ, ঢাবি ছাত্রদলের সিনিয়র সহসভাপতি তানভীর রেজা রুবেল, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক হাফিজুর রহমান,সাংগঠনিক সম্পাদক আবু তাহের।
এছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি অধ্যাপক এমাজউদ্দিন আহমেদ, ঢাবি শিক্ষক অধ্যাপাক সুকোমল বড়ুয়া, অধ্যাপক সিরাজুল হক বক্তব্য দেন। আলোচনা ও ইফতার মাহফিলে যোগ দেন- ছাত্রদলের সাবেক ও বর্তমান নেতাকর্মীরা। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ সম্পাদক আবুল বাশার সিদ্দিকী।

পাঠকের মতামত: