ঢাকা,রোববার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪

চকরিয়ায় উপজেলা পরিষদ এলাকায় সরকারি  জায়গা দখল নিয়ে উত্তেজনা, হট্টগোল হাতাহাতি 

কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলা পরিষদ এরিয়ায় সরকারি জায়গা দখলকে কেন্দ্র করে উপজেলা প্রশাসন ও আদালত পক্ষের লোকজনের মধ্যে হট্টগোল ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় দুইপক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়।
ঘটনার সময় পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে মো. নাসির উদ্দিন (৪৬) নামের এক সাংবাদিককে মারধর করেছে মোবাইল ছিনিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় চকরিয়ায় কর্মবত সাংবাদিকদের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে।
আহত সাংবাদিক নাসির উদ্দিন কক্সবাজার থেকে প্রকাশিত দৈনিক বাঁকখালী পত্রিকার চকরিয়া প্রতিনিধি। বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর)  দুপুরে চকরিয়া উপজেলা পরিষদ এরিয়ায় ঘটেছে এ ঘটনা।
স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, বুধবার বেলা ১২টার দিকে চকরিয়া উপজেলা পরিষদের জায়গায় চকরিয়া আদালত ভবনের সম্ভাব্য স্থানের ব্যানার দিয়ে আদালতের আইনজীবী ও মুহুরীরা টিনের ঘেরাবেড়া দিতে যায়। এসময় ছবি তোলায় সাংবাদিক নাসির উদ্দিনকে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করে। এসময় তার মোবাইল ও কেড়ে নেয়া হয়। আহত নাসির উদ্দিন চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন।
এদিকে সাংবাদিকের উপর হামলার ঘটনায় চকরিয়ায় কর্মরত সাংবাদিকরা পেশাগত কাজে বাঁধা দিয়ে হামলার ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছেন। তারা এই হামলাকারীদের বিচার দাবী করেন।
এব্যাপারে চকরিয়া উপজেলা এডভোকেট এসোসিয়েশনের সভাপতি এডভোকেট হাবিব উদ্দিন মিন্টু এ বিষয়ে বক্তব্য দিতে অপারগতা প্রকাশ করেছেন।
তবে চকরিয়াস্থ সিনিয়র সহকারী জজ  আদালতের সেরেস্তাদার পরেশ কান্তি দে জানান, গতকাল দুপুরে  কতিপয় লোকজন আদালত সংলগ্ন আদালতের জায়গা  দখল করতে ইট বালি জড়ো করে আদালত ঘেঁষে খুঁটি পোতা শুরু করলে আদালতে দায়িত্বরত কর্মকর্তা কর্মচারী ও আইনজীবী সমিতির সদস্যগণ আদালতের নিরাপত্তার স্বার্থে তাদের কাজে বাঁধা প্রদান করেন। পরবর্তীতে অরক্ষিত জায়গা সুরক্ষিত করার জন্য আদালত ও আইনজীবী সমিতির সদস্যগণ টিনের বেড়া দিয়ে আদালতের জমি বেদখল হতে রক্ষা করেন।
বিষয়টি প্রসঙ্গে চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ফখরুল ইসলাম বলেন, চকরিয়া আদালত ভবনের নামে আলাদা কোন জমি নেই। উপজেলা পরিষদের নামে ১৯৬৫ সালে অধিগ্রহণ করা ১২ একর জমি রয়েছে। ওইসব জমির মধ্যে সরকারী বিভিন্ন প্রতিষ্টানের ভবন রয়েছে।
তিনি বলেন, আদালত ভবনের জমিটিও উপজেলা পরিষদের সরকারি প্রতিষ্ঠান বিআরডিবির নামে অধিগ্রহণ করা। বিএস জরিপের সময় বিআরডিবি’র নামে ৮২ শতক জমি রেকর্ড হয়। উপজেলা পরিষদ এই ভুল জরিপের বিরুদ্ধে আদালতের শরনাপন্ন হয়।

পাঠকের মতামত: