কুতুবদিয়ায় পরিবেশবাদী সংগঠন ” ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা)”, এশিয়ান পিপলস মুভমেন্ট অন ডেট অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (এপিএমডিডি), ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ এবং কুতুবদিয়া দ্বীপ সুরক্ষা আন্দোলনের যৌথ উদ্যােগে জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে জীবাশ্ম জ্বালানি গ্যাস ও এলএনজি সম্প্রসারণের বিরুদ্ধে নৌ-মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টার দিকে কুতুবদিয়ার পাইলটকাটার খালের মোহনায় নৌ-মানববন্ধন করা হয়।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা মেরিন ফিশারিজ কর্মকর্তা নাজমুস সাকিব, সংগঠনের আহবায়ক এম. শহীদুল ইসলাম, কৈয়ারবিল ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য কপিল উদ্দিন, নুরুল কাদের, মৎস্যজীবি সুমন দাশ, জেলে সংগঠক শওকত আলম, রাইতুল ইসলাম রাহাত, মোরশেদ, আমিন, মেহেদী, তাইমুল, পারভেজসহ বিভিন্ন শ্রেনীর পেশা মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
উপজেলা মেরিন ফিশারিজ কর্মকর্তা নাজমুস সাকিব বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সাগরে প্রায় তিন’শোর চেয়ে কম বিভিন্ন প্রজাতির মাছের দেখা যাচ্ছে। আরও দেড়শো প্রজাতির মাছ সাগরে নেই। এগুলো বিলুপ্তি অথবা গভীর বঙ্গোপসাগরে চলে গেছে। জলবায়ু পরিবর্তনের সাথে পরিবেশের সম্পর্ক রয়েছে। তাই জনসচেতনতা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। তার পাশাপাশি উন্নত বিশ্বকে জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে সরে আসার জন্য আহবান করেন তিনি।
সংগঠনের আহবায়ক এম. শহীদুল ইসলাম বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব এবং কুতুবদিয়া দ্বীপের দুই পাশে তথা বাঁশখাালী ও মাতারবাড়ী কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যাপক কার্বন ডাই অক্সাইড নির্গমনের ফলে দ্বীপে নানাবিধ অনুজীব রোগের প্রাদুর্ভাব ঘটেছে। সবুজায়ন ধ্বংস হচ্ছে। ওই দুই কয়লা বিদ্যুতের রাসায়নিক বর্জ্য সাগরে পড়ে সাগরের মৎস্য ধ্বংস হচ্ছে। সাগরের জীববৈচিত্র্যে ধ্বংস হচ্ছে। বিভিন্ন প্রজাতীর মাছ এবং জজীববৈচিত্র্য হারিয়ে যাচ্ছে। সমুদ্রপৃষ্টের উচ্চতা বেড়ে যাচ্ছে। সাগরে, নদী খালে লবনাক্ততা বৃদ্ধির ফলে জেলিফিশের আধিক্য দেখা যাচ্ছে। ফলে সাগরে মাছের প্রজনন কমে আসছে। বৈশ্বিক জলবায়ু ঝুঁকি মোকাবেলায় জীবাশ্ম জ্বালানি গ্যাস এবং এলএনজি সম্প্রসারণ বন্ধ করে সহজ এবং ন্যায্যতার ভিত্তিতে জ্বীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। সেই সাথেনায়নযগ্য জ্বালানিতে উদ্বদ্ধ হতে নীতি-নির্ধারকদের কাছে দাবী জানান। পরে, বিভিন্ন দাবী সম্বলিত প্লেকার্ড প্রদর্শন করা হয়।
পাঠকের মতামত: