ঢাকা,শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪

৯২ শতাংশ মুসলমানের দেশে সুপ্রিমকোর্টের সামনে মূর্তি থাকতে পারেনা

প্রেস বিজ্ঞপ্তি :::14

৯২ শতাংশ মুসলমানের দেশে সুপ্রিমকোর্টের সামনে কোরআনের প্রতিকৃতি থাকতে পারে, মূর্তি থাকতে পারেনা। মূর্তি স্থাপনের প্রচেষ্টা রুঁখে দিতে দ্বীনদার ঈমানদার সকলকে মাঠে ঝাপিয়ে পড়তে হবে। শনিবার (১৮ ফেব্রুয়ারী) কক্সবাজার কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়াদানে দু’দিন ব্যাপী আন্তর্জাতিক ইসলামী মহাসম্মেলনের প্রথম দিনে বক্তারা এসব কথা বলেন।

দুই দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক এই সম্মেলনে প্রথম দিনে প্রধান আলোচক ছিলেন- ভারতের দেওবন্দ দারুল উলুম যাকারিয়া মাদ্রাসার শায়খুল হাদীস, বহু কিতাব রচয়িতা আল্লামা মুফতি শাকিল আহমদ।

ইসলামী সম্মেলন সংস্থার আয়োজনে কক্সবাজার কেন্দ্রীয় ঈদগাহ্ ময়দানে বেলা ২টা থেকে শুরু হওয়া এই মাহফিলে আরো আলোচনা করেন- ইসলামী সম্মেলন সংস্থা বাংলাদেশ’র সেক্রেটারী জেনারেল আল্লামা মুফতি আরশাদ রহমানী, আল্লামা জুনাইদ আল হাবীব, আল্লামা আব্দুল বাসেত খাঁন সিরাজী, আল্লামা খোরশেদ আলম কাসেমী, আল্লামা ছৈয়দ আলম আরমানী।

সম্মেলনে বক্তারা বলেন, পরকালে মুক্তির জন্য পরিশুদ্ধ ইসলামী জ্ঞান চর্চার বিকল্প নেই। নবী-রাসুলের সীরাত জানতে পবিত্র কোরআনের সাথে সংস্পর্শ আরো বাড়াতে হবে। দ্বীনি জ্ঞান চর্চা করতে হবে। নামাজ বান্দা ও আল্লাহর মধ্যে ‘সেতুবন্ধন।’ আল্লাহ তায়ালার পবিত্র বিধান বাস্তবায়নের ম্যাধমে সামগ্রিক জীবনে শান্তি শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। তাই দেশ ও সমাজে শান্তি ফেরাতে নামাজ ভিত্তিক সমাজ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করা মু’মিনদের কর্তব্য।

বক্তারা আরো বলেন, যাদের মাধ্যমে বিশ্বের আনাচে কানাচে ইসলামের দাওয়াত ছড়িয়ে পড়ছে, ইলমে নববীর প্রকৃত চর্চা হয়; মহানবী (স.) এর জীবনাদর্শ বাস্তবায়ন হয়- তাদের প্রকৃত পরিচয় হলো ‘আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াত, হানাফি, দেওবন্দি।’ আমাদের পরিচয় ‘আহলে হাদিস’ নয়। যারা ‘আহলে হাদিস’ পরিচয় দেয়, তারা ইসলামে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে।

প্রথম দিনের সভায় পৃথক অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন- ইসলামী সম্মেলন সংস্থার কক্সবাজার জেলা শাখার নির্বাহী সভাপতি ও ধাউনখালী মাদরাসার পরিচালক মাওলানা মুহাম্মদ মুসলিম, জোয়ারিয়ানালা এমদাদুল উলুম মাদরাসার পরিচালক মাওলানা আবুল হাসান, কক্সবাজার রহমানিয়া মাদরাসার বড় হুজুর মাওলানা নাজের হোসাইন, চাকমারকূল মাদরাসার নির্বাহী পরিচালক মাওলানা সিরাজুল ইসলাম সিকদার। সম্মেলনে ইসলামী সম্মেলন সংস্থার কক্সবাজার জেলা শাখার সভাপতি ও জামেয়া এমদাদিয়া পোকখালীর সদরে মোহতামিম মাওলানা মোখতার আহমদ, নির্বাহী সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মোহছেন শরীফসহ বরেণ্য উলামায়ে মাশায়েখ উপস্থিত ছিলেন  ।

আলোচনায় ঢাকার আল্লামা জুনাইদ আল হাবীব বলেন, মসজিদ আল্লাহর ঘর। মসজিদের মিম্বর থেকে আল্লাহর ঘোষনাই দেয়া হবে। কোন সরকারের নিয়ন্ত্রিত খুতবা আল্লাহর ঘরের মিম্বরে দাঁড়িয়ে প্রচার করা যাবেনা। যারা এসব করছে তারা ইসলামী বিধানের সাথে সাংঘর্ষিক আচরণ করছে।

তিনি বলেন, দেশে অন্যায়-অপরাধ দমনে যেমন আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দরকার- তেমনি দ্বীনকে রক্ষায় দ্বীনের বর্ডারগার্ড দরকার। বাংলাদেশের বর্ডারগার্ডকে ‘বিজিবি’ বলে। আর দ্বীনের বর্ডারগার্ড হচ্ছে আলেম সমাজ। দ্বীনের মধ্যে যাতে কেউ ফিতনা ঢুকাতে না পারে সে বিষয়ে সবাইকে সতর্ক হতে হবে। এই পর্যন্ত দ্বীনের বিরুদ্ধে যত ফিতনা সৃষ্টি হয়েছে সকল ফিতনার মোকাবেলায় ওলামায়ে দেওবন্দ এর ভূমিকা অগ্রগণ্য।

আলোচনা করেন- মাওলানা মুফতি সাঈদুল ইসলাম, মাওলানা নজিরুল ইসলাম, মাওলানা হাফেজ মুফতি রিদওয়ানুল কাদের প্রমুখ। পৃথক অধিবেশনে মাহফিল সঞ্চালনা করেন মাওলানা ক্বাজী এরশাদ উল্লাহ, ক্বারী আতাউল্লাহ গনি ও হাফেজ মুহাম্মদ আবুল মঞ্জুর।

পাঠকের মতামত: