ঢাকা,মঙ্গলবার, ১২ নভেম্বর ২০২৪

৫০ হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয় মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুমের আওতায় আনা হবে -প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী

02এম.এ আজিজ রাসেল ::::

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী এ্যাডভোকেট মোস্তাফিজুর রহমান এমপি বলেছেন, সারা দেশে প্রথম পর্যায়ে ৫০ হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয়কে মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুমের আওতায় আনা হবে। এ লক্ষে কাজ করছে সরকার। তিনি বলেন, সমাজ পরিবর্তনের প্রধান উপকরণ শিক্ষক। যে ছাত্র শৈশবে শিক্ষকের কাছ থেকে আন্তরিকতার সাথে নৈতিক শিক্ষা পাবে না, সে বড় হয়ে জঙ্গিবাদসহ নানা দেশদ্রোহী কাজে জড়িয়ে পড়বে। ৬ অক্টোবর বৃহস্পতিবার দুপুরে বিয়াম মিলনায়তনে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এটুআই প্রোগ্রাম ও প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে আয়োজিত তিন দিনব্যাপী শিক্ষক সম্মেলনের সমাপনী ও সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এসব কথা বলেন। তিনি আরো মন্ত্রী বলেন, দেশকে পশ্চাতে রেখে দিতে স্বাধীনতা বিরোধীরা এখন ডিজিটাল বাংলাদেশের অপব্যাখা দিয়ে বেড়াচ্ছে। কারণ তিনি শিক্ষকের মর্যাদা বুঝেন। শেখ হাসিনা যেমন আপনাদের দিচ্ছে তেমনিভাবে আপনারাও দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে দক্ষ জনশক্তি উপহার দিন। প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের মহাপরিচালক ও এটুআই প্রকল্প পরিচালক কবির বিন আনোয়ার বলেন, মাত্র ৭ জন শিক্ষক দিয়ে এটুআই কার্যক্রম শুরু হয়েছিল। অল্প সময়ের ব্যবধানে শিক্ষক বাতায়নে এখন অংশগ্রহণকারী শিক্ষক ১ লাখ ৫৭ হাজার জন। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আলমগীর, চট্টগ্রামের উপ-পরিচালক মাহবুবুর রহমান বিল্লাহ, প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের ই-লার্নিং বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ফারুক আহমদ, কক্সবাজার শিক্ষক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের সুপার কামরুন্নাহার প্রমুখ। অনুষ্ঠানে মন্ত্রী সেরা দশ কনটেন্ট নির্মাণকারী শিক্ষকদের হাতে ল্যাপটপ ও স্মার্টফোন তুলে দেন। এছাড়াও বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে সম্মেলনে আরও ২৯০ জনকে সম্মাননা ও পুরস্কার দেওয়া হয়। শিক্ষকরা এসব পুরস্কারকে শিক্ষাক্ষেত্রের ‘নোবেল’ বলে মন্তব্য করেন। পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানের আগে ‘শিক্ষার আধুনিকায়নে আইসিটি ও কার্যকর নেতৃত্ব’ বিষয়ে একটি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।  এতে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মাউশি কর্মকর্তা রাকিবুল ইসলাম। প্রবন্ধের উপর আলোচনায় অংশ নেন কক্সবাজার জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) রামমোহন সেন, গাইবান্ধা সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বেগম সাহেনা বানু, ফরিদপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বেলা রাণী সরকার ও ধানমন্ডি নিউ মডেল বহুমুখি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আ স ফিরোজ।

পাঠকের মতামত: