ঢাকা,শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪

৫ ডিসেম্বর কাল শহীদ দৌলত দিবস: খুনি পুলিশ কর্মকর্তা সহ জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি শহীদ পরিবারের

mail-google-com_16সংবাদ বিজ্ঞপ্তি :

 কাল ৫ ডিসেম্বর শহীদ দৌলত দিবস। শহীদ দৌলত খানের ২৯তম মৃত্যু বার্ষিকী। ১৯৮৭ সালের এই দিনে তৎকালীন সৈরাচার এরশাদ সরকার বিরোধী আন্দোলনের তৎকালিন ৮ দলীয় জোট ৫ দলীয় বামজোট্ এবং ৭ দলীয় জোটের কেন্দ্রিয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে ৮ দলীয় জোটের আওয়ামী লীগ নেতা এমভোকেট এমজাদ হোসেনের নেতৃত্বে চিরিঙ্গা ফাতেমা স্টোরের সম্মুখে জমায়েত হয়। বিক্ষোভ সমাবেশ পরবর্তী মিছিল সহকারে উপজেলা ঘেরাও চলাকালে পুলিশের মুখোমুখি সংঘর্ষে জাতীয় ছাত্রলীগের চকরিয়া কলেজ শাখার যুগ্ন আহ্বায়ক ও উপজেলা জাতীয় ছাত্রলীগের সহ সভাপতি দৌলত খান উপজেলা কৃষি কার্যালয়ের পেছনে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার মথ্যে পুলিশ অতির্কিত গুলি করলে দৌলত খান শহীদ হন।

 ওই জমায়তে উপস্থিত ছিলেন বাকশালের মাস্টার আবুল হাশেম জাতীয় ছাত্রলীগে নেতা সরওয়ার অলাম বিএ.অনার্স.এমএ, চকরিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি জাফর আলম. কমরেড নুরুল আবছার, ওয়াকার্স পার্টির জাহাঙ্গীর আলম বুলবুল, জাতীয় ছাত্রলীগের মহসিন বাবুল, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের এডভোকেট লুৎফুল কবির, জামাল উদ্দিন জয়নাল, এম আর চৌধুরী, ৫ম শ্রেণীর ছাত্র রেজাউল করিম সেলিম। ঐ দিন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ নেতা ইয়াহিয়া খান কুতুবী, তৎকালীন উপজেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক বর্তমান জেলা আ.লীগের যুগ্ম সম্পাদক এড. আমজাদ হোসেন, সাবেক সহ-সভাপতি মাষ্টার আবুল হাসেম বি.কম, ছাত্রনেতা আমিনুর রশিদ দুলাল, জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের জকরিয়া, শাহ আলম, সেলিম রেজা, খালেদু ও জিল্লুর রহমান গ্রেপ্তার হন।

 কক্সবাজার সদরে পাবলিক লাইব্রেরীর হল সংলগ্ন মাঠ ‘শহীদ দৌলত ময়দান’ তার স্মৃতি বহন করছে।

 এদিকে কাল ৫ ডিসেম্বর কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি তৎকালীন ছাত্রনেতা রেজাউল করিমের নেতৃত্বে চকরিয়াস্থ জেলা আওয়ামী লীগের সকল নেতৃবৃন্দকে নিয়ে শহীদ দৌলতের গ্রামের বাড়ী কোনাখালী পারিবারিক কবরস্থানে পুস্পমাল্য অর্পণ, মিলাদ ও দোয়া মাহফিলে অংশ গ্রহণ। সন্ধ্যা ৬টায় কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে আলোচনা সভা। উক্ত কর্মসূচি সফল করার জন্য কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এড. সিরাজুল মোস্তফা, সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান চেয়ারম্যান অনুরোধ জানিয়েছেন।

 অপরদিকে শহীদ দৌলতের ছোট ভাই আমানত খান জানান, গতবারের মতো এবারও দিবসটি পালনে সার্বিক সহযোগীতা করছেন চকরিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি জাফর আলম বিএ.অনার্স.এমএ। তাই খুবই গুরুত্ব সহকারে দিবসটি পালনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

 উক্ত কর্মসূচীতে অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন, চকরিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি জাফর আলম বি.এ অনার্স এমএ। এছাড়াও জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন নেতৃবৃন্দদের এবং সাবেক ছাত্রনেতাদের উপস্থিত থাকাবেন বলেও জানিয়েছেন আমানত খান। তিনি দিবসটি জাতীয় ভাবে পালনের লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানান।

 শহীদ দৌলতের ভাগিনা সাংবাদিক মহসীন শেখ দিবসটি জাতীয় ভাবে পালনে দাবি জানিয়ে বলেন, তৎকালীন সৈরাচার এরশাদ বিরোধী আন্দোলনের নেত্রী জননেত্রী বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে সেই আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়ে শহীদ হন দৌলত খান। তিনি অভিযোগ করে বলেন। দৌলত খাঁন নিহতের ঘটনার আজ ২৯বছর অতিক্রম হলেও বিভিন্ন সময় তার মৃত্যু বার্ষিকী পালনে দেওয়া প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করননি দলীয় নেতারা। তিনি আরো বলেন, এমনকি দলীয় নেতাকর্মীরা শহীদ দৌলত খানকে খুনের ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধেও আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের তেমন কোন উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। তার পরিবারের সদস্যদের তেমন তাই জাতীয়ভাবে পালনের পাশাপাশি জেলা আওয়ামীলীগের উদ্যোগেও দিবসটি পালনের দাবি জানান তিনি।

পাঠকের মতামত: