ঢাকা,শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪

হারবাং ফাঁড়ি পুলিশের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তার বাণিজ্য ও চাঁদাবাজির অভিযোগ

police হারবাং প্রতিনিধি, চকরিয়া :

চকরিয়ার হারবাং পুলিশ ফাঁড়িতে গ্রেপ্তার বাণিজ্য চলছে বলে অভিযোগ উঠেছে। জাল টাকার নাটক সাজিয়ে ২০ হাজার টাকা উৎকোচ আদায়ের পর এবার ২’শ গ্রাম গাঁজাসহ আটক মাদক ব্যবসায়ীকে ৫ হাজার টাকা নিয়ে ছেড়ে দিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তবে, এসব অভিযোগ বরাবরের মতোই অস্বীকার করেছেন ফাঁড়ির আইসি।

স্থানীয় সুত্র জানায়, গত শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে হারবাং স্টেশন থেকে ২’শ গ্রাম গাঁজাসহ আটক করা হয় বাজার পাড়ার মৃত এহেছান মেস্ত্রীর ছেলে মো.রুবেল (২১) কে। দীর্ঘক্ষণ দেনদরবার করে চাচা আইয়ুব পুলিশকে ৫ হাজার টাকা দিয়ে ভাতিজা রুবেলকে ছাড়িয়ে নিয়ে যায় ওই দিন রাত ১টায়। এর আগেও ফল ব্যবসায়ীর ইন্ধনে হাজার টাকা মূল্যের দুটি জাল টাকা ধরিয়ে দিয়ে পেকুয়ার এক ব্যবসায়ীকে ফাঁড়িতে আটকে রেখে ২০ হাজার টাকার আদায় করে পুলিশ।ওই ঘটনা বিভিন্ন সংবাদপত্রে প্রকাশের পর তোড়পাড় চললেও রহস্যজনক কারণে আইসি’র বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। ফলে, গ্রেপ্তার বাণিজ্য এখন ওপেন সিক্রেট হয়ে উঠেছে।

এছাড়াও হারবাং পুলিশ ফাঁড়ির গাড়ির চালক কনস্টেবল মংশুকে ক্যাশিয়ার বা মেস ম্যানেজারের দায়িত্ব দিয়ে ফাঁড়ির জন্য লাগামহীন চাঁদাবাজী করাচ্ছে আইসি তোফাজ্জল হোসেন। অভিযোগ মতে পুলিশের এই ক্যাশিয়ার মদ ক্রেতা-বিক্রেতা-সেবক, ফার্নিচার ও গাছ বোঝাই গাড়ি, স-মিল, বিভিন্ন চোরাই মটর সাইকেলসহ বিভিন্ন অবৈধ খাত থেকে ৫ লক্ষাধিক টাকা চাঁদাবাজি করে।

এব্যাপারে জানতে চাইলে হারবাং পুলিশ ফাঁড়ির আইসি মো.তোফাজ্জল হোসেন মুঠোফোনে বলেন, গাঁজাসহ রুবেল নামের কোন ব্যক্তিকে আটক করা হয়নি। শুক্রবার রাত ১০টায় ৫০ পিস ইয়াবাসহ হারবাং এর শান্তিনগর পাড়ার শাহাদাৎ হোসেনের ছেলে রাকিবুল সাইফুল (২৫) গ্রেপ্তার করে তার বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। যারা সাংবাদিকদের তথ্য দিচ্ছে তারা পুলিশের ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন করার অপপ্রয়াস চালাচ্ছে। আইসি আরো বলেন, ফাঁড়ির কোন পুলিশ চাঁদাবাজি করছেনা।কেউ করলে আমাকে প্রমাণ দেন।

এসব বিষয়ে জানতে চাইলে চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী বলেন, আমি কোন অন্যায়কে প্রশ্রয় দিইনা। সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক অভিযুক্তের বিরুদ্ধে প্রমাণ সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

 

 

পাঠকের মতামত: