ঢাকা,শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪

শীত শুরু নিত্য নতুন তোষক বানাতে ব্যস্ত কারিগররা

lop-tমো: সাইফুল ইসলাম খোকন::

কক্সবাজারের শীতের আগমনে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন লেপ-তোষক তৈরির কারিগর ধুনকেরা। প্রতিদিন গড়ে ১০-১২টি লেপ-তোষক তৈরির অর্ডার পাচ্ছেন তারা। এ বিষয়ে কথা হয় চকরিয়ার লেপ-তোষক কারিগর ধুনক নুরুল ইসলামের সঙ্গে।

নুরুল ইসলাম জানান, গত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টির পর থেকে কিছুটা শীত পড়তে শুরু করেছে। রাতে এখানে শীত বেশি পড়ায় লোকজন শীতবস্ত্রের প্রতি ঝুঁকছে। আমাদের কাছে অনেকেই আসছেন লেপ-তোষক তৈরি করতে। নুরুল আরো জানান, তুলা ও কাপড়ের মূল্যবৃদ্ধি পাওয়ায় গত বছরের চেয়ে এ বছর খরচও বেশি হচ্ছে। শিমুল তুলা প্রতি কেজি ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা, কার্পাস তুলা প্রতি কেজি ২০০ থেকে ২৫০ টাকা, গার্মেন্টসে তৈরি তুলা প্রতি কেজি কালো হুল ৫০-৬০ টাকা, কালো পচা তুলা ২৫-৩০ টাকা, সাদা তুলা ৭০-৮০ টাকা দরে ক্রয় করি আমরা।

এ ছাড়া তৈরি কাপড়ের গজ মান অনুযায়ী ৪০ থেকে ৬০ টাকা। আকার ভেদে মজুরিও ২০০ থেকে ৬০০ টাকা পর্যন্ত রাখা হয়। সব মিলিয়ে মোটামুটি ভালো মানের একটি লেপ তৈরিতে দেড় হাজার টাকা খরচ হয়। একইভাবে একটি তোষক তৈরিতে খরচ পড়ে আড়াই হাজার থেকে তিন হাজার টাকা। তবে গত বছরের থাকা মালপত্র দিয়ে এ বছরের কাজ এখন পর্যন্ত চলছে। নতুন মাল এলে তার দাম এর চেয়ে অনেক বাড়তি হবে। তখন একটি লেপ তৈরিতে খরচ পড়বে দুই হাজার টাকা এবং তোষক তৈরিতে খরচ পড়বে সাড়ে তিন হাজার টাকা। অভিযোগ করে নুরুল ইসলাম বলেন, আমরা খুচরা বিক্রেতা। পাইকারদের থেকে মাল কিনে এনে তৈরি করে ক্রেতাকে দেই। অনেক সময় দাম বৃদ্ধির বিষয়টা তারা বুঝতে পারেন না। এজন্য অনেক সময় ক্রেতাদের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। মূলধন স্বল্পতার কথা জানিয়ে নুরুল ইসলাম বলেন, আমরা নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান। প্রথমে দোকানের কর্মচারী থেকে কাজ শিখে এখন নিজেই দোকান দিয়েছি। একটি এনজিও থেকে ১৫ শতাংশ সুদে ঋণ নিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করছি। সরকার মৌসুমভিত্তিক ঋণের ব্যবস্থা করলে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের স্বাবলম্বী হতে সুযোগ পেতো।

পাঠকের মতামত: