নিহত রাশেদের ছোট ভাই সাইফুর রহমান সুজন ও কামরুল জানিয়েছেন, শনিবার দুপুরে তার ভাই দুই নুরুল আমিন ছিদ্দিকী রাশেদ ও কামরুল বাগান দেখাশোনা করতে গিয়েছিলেন। ফেরার সময় পথিমধ্যে স্থানীয় চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা তাদের ধাওয়া করে এবং দুইজনকে উপূর্যপুরি ছুরিকাকাঘাত করে। মূমূর্ষূ অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নেয়ার হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক নুরুল আমিন ছিদ্দিকী রাশেদকে মৃত ঘোষনা করে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন রাশেদের ছোট ভাই কামরুল।
তারা আরও জানান, মুক্তিযোদ্ধা মোজাফফর আহমদের ছেলে আশিক, মাসুম, নুরুল আলমের ছেলে তুষার, আবদুল হালিমের ছেলে মিজান, নুরুল কবিরের ছেলে মুমিন, কায়েস মেম্বারের ছোট ভাই আলম, স্থানীয় আরাফাত, গোলাম কাদের, শিশির, মাসুম সহ ১৫ জনের সংজ্ঞবদ্ধ একটি সন্ত্রাসী দল পরিকল্পিতভাবে হামলা চালিয়ে তার ভাইকে হত্যা করেছে।
এদিকে স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন, থানা থেকে মাত্র এক কিলোমিটার দূরত্বে এ ঘটনা সংগঠিত হলেও পুলিশ ঘটনাস্থলে আসেনি। কেবল পুলিশ নয়, প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের কেউ ঘটনাস্থলে আসেনি। এ কারণে পুরো এলাকাজুড়ে চরম উৎকন্ঠা বিরাজ করছে।
রামু থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবু তাহের দেওয়ান ছুরিকাঘাতে ব্যবসায়ি রাশেদকে হত্যার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, জমি নিয়ে বিরোধের জেরে এ হত্যাকান্ড সংগঠিত হয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ না যাওয়ার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, হত্যার বিষয়টি তিনি সন্ধ্যায় জেনেছেন। তাছাড়া মৃতদেহ হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। এসব কারনে যাওয়া হয়নি।
পাঠকের মতামত: