ঢাকা,বৃহস্পতিবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪

যৌতুকের নেশায় কলেজ ছাত্রীর লাশ, হতবাক মানব বিবেক, দাফন সম্পন্ন

FB_IMG_1459356893855_1হেলাল উদ্দিন সাগর, কক্সবাজার বাসটার্মিনাল থেকে ::

কক্সবাজার সরকারী কলেজের ব্যবস্থাপনা বিভাগের ৩য় বর্ষের ছাত্রী হাসিনা আক্তারের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। ৩০ মার্চ দুপুর ২টার দিকে কেন্দীয় বাস-টার্মিনালস্থ বড় কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। হাসিনার নামাজে জানাযায় শোকাহত মানুষের ঢল নেমে আসে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে আগামীকাল ৩১ মার্চ হাসিনার কলেজ সহপাঠিরা প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে স্বারকলিপিসহ মানব বন্ধনের ডাক দিয়েছে। কক্সবাজার সরকারী কলেজের হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র মোঃ আরফান উদ্দিন বলেন, বোনটি আমার পাশের বাড়ির মেয়ে ও আমার কলেজের ছোট বোন হিসেবে পরিচিত। এইতো কদিন আগে ধুমধাম করে বিয়ে হয়ে বধু সেজে শ্বশুর বাড়ি গিয়েছিল আজ সে পরকালের বধু হয়ে ফিরে এসেছে। মানুষ কতটা নিষ্টুর হলে এই জঘন্যতম কাজ করতে পারে। আমরা ঘাতক নরপশু ইয়াসিনের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি দাবি করছি। গতকাল বুধবার রাত ১০টার দিকে নিহত হাসিনার বড়ভাই জাকির হোসেন বাদী হয়ে ঘাতক স্বামী ইয়াসিন আরফাতকে প্রধান আসামী করে ৫জনের বিরুদ্ধে একখানা হত্যা মামলার এজাহার দায়ের করে।
এজাহার সুত্রে জানা যায়, গত ২৫ মার্চ শহরের নাপ্পাজা পাড়ার মৃত. আব্দুল মোনাফের মেয়ে হাসিনা আক্তারের (২২) সাথে চৌফদন্ডী মধ্যম মাইজ পাড়ার মোস্তাক আহমদের ছেলে ইয়াসিন আরফাতের (৩২) সাথে বিবাহ বন্ধানে আবদ্ধ হন। বিবাহের পরে  হাসিনার স্বামী ইয়াসিন তার ব্যবসার জন্য ৫ লাখ টাকা যৌতুক দাবী করে আসছিল। এদিকে হাসিনার পরিবার যৌতুক দিতে না পারায় এবং তার দাবী মেটাতে ব্যর্থ হওয়ায় ২৯ মার্চ সকালে নানা কৌশলে হাসিনাকে হত্যা করে ঘাতক স্বামী ।
নিহত হাসিনার বড়ভাই ও আইন কলেজের ছাত্র দেলেয়ার জানান,ঘাতক ইয়াসিন পরিকল্পিতভাবে অপরাপর পরিবারের সদস্যদের সহযোগিতায় আমার বোন হাসিনাকে  হত্যা করেছে। বর্তমানে ঘাতক ইয়াসিন দালাল চক্রের মাধ্যমে মোটা অংকের মিশনে নেমে মামলাটি ভিন্নখাতে প্রভাবিত করার অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
এব্যাপারে  কক্সবাজার সদর মডেল থানার ওসি আসলাম হোসেন জানান, হত্যা মামলার এজাহার পেয়েছি। তদন্তপূর্বক দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উল্লেখ যে, ২৯ মার্চ দুপুরে কক্সবাজার সদর  উপজেলার চৌফদন্ডী মধ্যম মাইজ পাড়ায় এই জঘন্যতম ন্যাক্কারজনক নাটকীয় ঘটনাটি ঘটে। ঐদিন দুপুরে ঈদগাও পুলিশ ফাঁড়ির আইসি এসআই মিনহাজ উদ্দিন ভূঁইয়া সঙ্গীয় র্ফোস নিয়ে ঘটনাস্থল থেকে হাসিনার লাশ উদ্ধার করে। অন্যদিকে হত্যাকান্ডের পরে জড়িত আসামীরা পলাতক রয়েছে।

পাঠকের মতামত: