ঢাকা,রোববার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪

মিয়ানমার থেকে চোরাইপথে প্রবেশ করছে চিংড়ী

chingri20150909002249অনলাইন ডেস্ক :::

পার্শ্ববর্তী দেশ মিয়ানমার থেকে আবারও চোরাইপথে টেকনাফের বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে আসছে চিংড়ী মাছ। আর কতিপয় অসাধু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট করে রাজস্ব ফাঁকি দিতে চোরাইপথে মিয়ানমারের এসব চিংড়ী নিয়ে আসছে। চোরাইপথে চিংড়ী নিয়ে আসায় একদিকে সরকার যেমন রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। অন্যদিকে অসাধু মহল অবৈধ ব্যবসার পথ উন্মুক্ত করছে। বিষয়টি সীমান্তের চিংড়ী আমদানীকারকদের মাঝে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, টেকনাফের শাহপরীরদ্বীপ, নয়াপাড়া, সাবরাং, নাজিরপাড়া, জালিয়াপাড়া, নাইট্যংপাড়া, কায়ুকখালী, কেরুনতলী, দমদমিয়া, জাদীমুরা, মুচনী, পূর্ব লেদা, চৌধুরীপাড়া, নাটমুরাপাড়া, ফুলেরডেইল, কাষ্টমস ঘাট, ওয়াব্রাং, মৌলভীবাজার, খারাংখালী, নয়াবাজার, ঝিমংখালী, নয়াপাড়া, কাঞ্জরপাড়া, উনছিপ্রাং, লম্বাবিল, হোয়াইক্যং, উলুবনিয়া ও কাটাখালী সীমান্ত দিয়ে চোরাইপথে অবাধে মিয়ানমারের চিংড়ী মাছ আসছে। ২৪এপ্রিল বিজিবি এবং কাষ্টমস কর্তৃপক্ষ টেকনাফ সীমান্তে অভিযান চালিয়ে মিয়ানমার থেকে চোরাইপথে আসা ৫২২কেজি অবৈধ চিংড়ী জব্দ করে। পরে টেকনাফ এবং হ্নীলা কাষ্টমসে মিয়ানমারের এসব চোরাই চিংড়ী নিলামে বিক্রি করা হয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, টেকনাফের চিংড়ী ব্যবসায়ীরা বছরের পর বছর ধরে মিয়ানমার থেকে চিংড়ী মাছ আমদানী করে। এক সময় অবৈধ পথে রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে চিংড়ী আমদানী করা হলেও কয়েক বছর ধরে সম্পূর্ণ বৈধ পথে টেকনাফ স্থলবন্দর হয়ে ব্যবসায়ীরা মিয়ানমারের চিংড়ী বাংলাদেশে নিয়ে আসছে। এরপর থেকে স্থলবন্দর ছাড়া অন্য পথ ব্যবহার করে চিংড়ী আমদানী করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। এই খাত থেকে সরকার প্রতি বছর কোটি কোটি টাকার রাজস্ব পাচ্ছেন। বৈধ পথে চিংড়ী আমদানীকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে অসাধু চক্র বৈধ ব্যবসার আড়ালে অবৈধ ব্যবসা চালানোর পায়তারা চালাচ্ছে। চিংড়ী ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, টেকনাফের বিভিন্ন সীমান্ত পয়েন্ট দিয়ে চোরাইপথে চিংড়ী সাথে ইয়াবার চালানও নিয়ে আসছে।

চিংড়ী আমদানীকারক হ্নীলার ব্যবসায়ী শেখ মোহাম্মদ রফিক জানান, আমরা রাজস্ব দিয়ে টেকনাফ স্থলবন্দর পথ ব্যবহার করেই চিংড়ী আমদানী করছি। আবার কেউ কেউ অবৈধপথে চোরাইপথ ব্যবহার করে চিংড়ী নিয়ে আসবে তাতো বড়ই দু:খজনক। তিনি চোরাইপথে চিংড়ী আমদানী বন্ধ করতে সীমান্তরক্ষী বাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃঢ় হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। ২বিজিবির অধিনায়ক লে: কর্ণেল মো: আবুজার আল জাহিদ জানান, চোরাইপথে চিংড়ী আনার কোন সুযোগ নেই। স্থলবন্দর দিয়েই বৈধ ভাবে চিংড়ী মাছসহ যাবতীয় কিছু আমদানী করতে হবে। এক্ষেত্রে কেউ ব্যতিক্রম কিছু করতে চাইলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

পাঠকের মতামত: