গিয়াস উদ্দিন ভুলু , টেকনাফ :::
সীমান্ত এলাকা টেকনাফে দিন দিন বাড়ছে ইয়াবা পাচারের সংখ্যা। তার পাশাপাশি মিয়ানমার থেকে পাচার হয়ে আসছে বিভিন্ন প্রকার বিদেশী মদ, বিয়ারসহ মাদক দ্রব্য। সীমান্ত প্রহরী বিজিবি সদস্যরা মাদক দ্রব্য প্রতিরোধে যতই কঠোর হচ্ছে পাচারকারীরা তাদের নিত্য নতুন কৌশল অবলম্বন করে তাদের অবৈধ কর্মকান্ড অব্যাহত রেখেছে। এদিকে টেকনাফ ২ বিজিবি সদস্যরা টেকনাফ-মিয়ানমার ৫৪ কিলোমিটার অরক্ষিত সীমান্ত এলাকা থেকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মাদক পাচার প্রতিরোধ করতে কঠোর ভুমিকা পালন করে আসছে। প্রতিদিন সীমান্তের বিভিন্ন এলাকা থেকে বিজিবি সৈনিকরা উদ্ধার করছে লক্ষ লক্ষ ইয়াবা ও কোটি কোটি টাকার বিভিন্ন প্রকার মাদক দ্রব্য। সেই ধারাবাহিকতায় টেকনাফ ২ বিজিবি সদস্যরা মাত্র ৬ মাসের ব্যবধানে ১৮৬ কোটি, ১২ লক্ষ, ৩৮ হাজার মুল্যমানের লক্ষ লক্ষ ইয়াবাসহ বিভিন্ন প্রকার মাদক দ্রব্য উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। তবে এই সমস্ত মাদক দ্রব্য গুলোর সাথে জড়িত কাউকে আটক করতে সক্ষম হয়নি বিজিবি। উদ্ধারকৃত মাদক দ্রব্য গুলোর মধ্যে, ৬১ লক্ষ, ৪৪ হাজার, ১২২ পিস ইয়াবা রয়েছে।
বিজিবি সুত্রে আরো জানা যায়, অপরদিকে উক্ত সময়ের ব্যবধানে লক্ষ লক্ষ ইয়াবা ও মদ, বিয়ারসহ বেশ কয়েকজন পাচারকারীকে আটক করতে সক্ষম হয়। আটককৃত মালামালসহ পাচারকারীদের বিরুদ্ধে টেকনাফ থানায় মামলা রুজু করা হয়েছে। গত ৬ মাসের মধ্যে জব্দ করা ১৮৬ কোটি, ১২ লক্ষ, ৩৮ হাজার মুল্যমানের বিভিন্ন প্রকার মালিকবিহীন মাদক দ্রব্য গুলো ধ্বংস করার জন্য বিশাল এক অনুষ্টানের আয়োজন করে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, চট্রগ্রাম রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ আল-মাসুম পিএসসি। প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, মাদক পাচারকারীরা দেশ ও জাতির শক্র। তাদেরকে প্রতিহত করতে সবাইকে সহযোগিতা করতে হবে। প্রতিটি পরিবারকে মাদক মুক্ত রাখতে এলাকায় এলাকায় জনসচেনতা বৃদ্ধি করতে হবে। এক্ষেত্রে জনপ্রতিনিধিসহ সমাজের সচেতন নাগরিকদের এগিয়ে আসা খুবেই জরুরী। আপনার সস্তান মাদকাসক্ত হওয়ার আগেই মাদক গ্রহন ও বিক্রি রোধ করতে হবে। তা না হলে একদিন আপনার সন্তানও মাদকআসক্ত হয়ে পড়বে। মাদক পাচার ও মাদক সেবনরোধে বিজিবি জওয়ানদের পাশাপাশি সর্বস্থরের জনসাধারণকে এগিয়ে আসতে হবে। পরে বিজিবি জওয়ানদের কর্তৃক ১৪ অক্টোবর হতে ৫ এপ্রিল পর্যন্ত আটক ও উদ্ধারকৃত ১৮৬ কোটি ১২ লক্ষ টাকার বিভিন্ন প্রকার মাদক দ্রব্য ধ্বংস করা হয়। উদ্ধরকৃত মাদক দ্রব্য গুলোর মধ্যে রয়েছে ৬১ লক্ষ ৪৪ হাজার, ১২২ পিস ইয়াবা ও বিদেশী মদ, বিয়ার, গাঁজা, পেনসিডিলসহ বিভিন্ন প্রকার মাদক দ্রব্য। উক্ত অনুষ্টান পরিচালনা করেন, টেকনাফ ২ বিজিবি অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল আবু জার আল জাহিদ। মাদক দ্রব্য বিনষ্ঠকরণ অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে আরো বক্তব্য রাখেন, টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) তুষার আহমেদ, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তরের পরিদর্শক লোকাশীষ চাকমা, টকনাফ থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মাঈনউদ্দিন খাঁন, কোস্টগার্ড টেকনাফ স্টেশন কমান্ডার তাসকিন রেজা, টেকনাফ প্রেস ক্লাবের সিনিয়র সাংবাদিক ছৈয়দ হোছনসহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা ও স্থানীয় সংবাদ কর্মীরা।
পাঠকের মতামত: