মো: সাইফুল ইসলাম খোকন ::
ঘুর্ণিঝড় মোরার রেশ কাটতে না কাটতে টানা বৃষ্টিপাতে চকরিয়া উপজেলার বেশ কটি ইউনিয়নের অনেক নিন্ম অঞ্চল প্লাবিত হয়ে চিংড়িঘের ও সবজি ক্ষেতের ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়েছে। বাতাসে উপড়ে গেছে বেশ কিছু বসতবাড়ি ও দোকান ঘরের ছালা। মাতামুহুরী নদীতে বেড়ে গেছে বনের পানি। নেমে এসেছে সাধারণ মানুষের দূর্ভোগ।
খোজ নিয়ে জানা গেছে, গত কয়েকদিন ধরে টানা বৃষ্টি ও সৃষ্ট ঘুর্নিঝড় অক্ষির কারণে উপজেলার হারবাং, রবইতলী, ফাঁসিয়াখালী, চিরিঙ্গা, খুটাখালী, বদরখালী, ডেমুশিয়া, পূর্ব বড়ভেওলা, পশ্চিম বড়ভেওলা, কৈয়ারবিল, কাকারা, ডুলাহাজারা, সাহারবিল ও চকরিয়া পৌর সভার কিছু অংশ বৃষ্টিপানিতে ডুবে গেছে। এসব এলাকায় পানি বন্দি থাকার কারণে সবজি ক্ষেতের ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়েছে। এ ছাড়া উপকূলীয় বদরখালী, চিরিঙ্গা, ডুলাহাজারা, খুটাখালী, সাহারবিল ও পশ্চিম বড়ভেওলা ইউনিয়নের কয়েশ চিংড়িঘেরে প্রয়োজনীয়ের তুলনায় অধিক পানি ঢুকে গেছে।
চিংড়ি চাষী বশির আহমদ জানিয়েছে, সাগরের এলাকার পাশে তার ২০ একর চিংড়ি ঘের রয়েছে। এ ছাড়া আশ পাশ আরো ৫০টির মত ঘেরে জোয়ারের পানি ঢুকে বেশ কিছু মাছ ভেসে গেছে।
ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের দক্ষিণ ঘুনিয়ার সবজি চাষী মাহফুজুর রহমান জানিয়েছে, টানা কয়েকদিনের বৃষ্টিতে শশা, বেগুন, ঢেরশ ক্ষেতের ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়েছে। তার মত অসংখ্য চাষীদের ক্ষেতের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে।
এদিকে মানিকপুর এলাকার সাইফুল এহেচান জানায়, বৃষ্টিতে মাতামুহুরী নদীর পানি ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। তিনি ধারণা করছে কয়েকদিন এ ভাবে ভারী বৃষ্টি থাকলে তা হলে বন্যা অনিবার্য। বন্যা হলে ব্যাপক ক্ষতি হতে পারে সাধারণ কৃষকসহ সাধারণ লোকদের।
এদিকে ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের উত্তর ঘুনিয়া ৪ নং ওয়ার্ডের এম,ইউ,পি অনিমেষ দাশ জানিয়েছে, আজ (১২ জুন) সকালে ভারী বাতাসে হিন্দু পাড়া এলাকার ৪টি দোকান ঘরের ছালা উপড়ে নিয়ে গেছে। এতে দোকানের মালামাল পানিতে ভিজে নষ্ট হয়ে ব্যবসায়ীদের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এছাড়া ডুলাহাজারার ছড়া, খুটাখালীর ছড়া, ফঁসিয়াখালীর ছড়া, মরাকুমারির ছড়া, মাতামুহুরী নদী, বরইতলীর ছড়া, হারবাং ছড়াসহ বেশ কটি ছড়া খাল দিয়ে ব্যাপক পানি বেড়ে গেছে নিন্ম অঞ্চলে ঢুকে পড়ার কারণে প্রায় ৩০ হাজার মানুষ এখন পানি বন্দি হয়ে পড়ছে।
পাঠকের মতামত: