কক্সবাজার উপকুলীয় প্রতিনিধি :::
উপকূলীয় বন বিভাগের সংরক্ষিত বনভূমির জমি ভূমিদস্যুদের দখলে চলে যাওয়ায় অসহায় হয়ে পড়েছে বন বিভাগ কর্তৃপক্ষ। জনবল সংকট থাকায় বন বিভাগের জমি দখলে রাখা কঠিন হয়ে পড়েছে। সংশ্লিষ্ট বন বিভাগের অফিস সূত্রে জানা গেছে, কুতুবদিয়া রেঞ্জ অফিসে মোট ৩৩টি পদ রয়েছে। বর্তমানে ১০টি পদে কর্মকর্তা,কর্মচারী কর্মরত আছে । আরো বিভিন্ন পদে ২৩টি পদ শুন্য থাকায় সংরক্ষিত বনভূমি ও বাগান রক্ষা করা কঠিন হয়ে পড়েছে।
উপকূলীয় বন বিভাগ কুতুবদিয়া রেঞ্জ অফিসে সৃষ্ট পদের মধ্যে একজন রেঞ্জ অফিসার, একজন সহকারি রেঞ্জ অফিসার, দুইজন বিট কর্মকর্তা, দুইজন সহকারি রেঞ্জ কর্মকর্তা, ৮জন বন প্রহরী, ১০জন নৌকা চালক, ৬জন বাগানমালী, দুইজন নাইট গার্ড, একজন বার্তা অপারেটরসহ মোট ৩৩টি পদ রয়েছে। বর্তমানে কুতুবদিয়া রেঞ্জ অফিসে কর্মরত আছে, একজন রেঞ্জ অফিসার , একজন বন প্রহরী, নৌকা চালক ৫ জন, বাগান মালি ৩ জনসহ মোট ১০ জন। কুতুবদিয়া রেঞ্জ অফিসের অধীনে ২টি বিট অফিস আছে। সদর বিট অফিস ও আলী আকবর ডেইল বিট অফিস।
কুতুবদিয়া উপজেলায় ৮টি মৌজার মধ্যে ৫টি মৌজায় বন বিভাগের জমি আছে। বিএস জরীপে বন বিভাগের নামে ৫টি খতিয়ানে ৮৬৭.১৯ একর বন ভূমি লিপিবব্ধ আছে। বর্তমানে ৬৫০একর বন ভূমিতে বাইন ও ঝাউবাগান রয়েছে। বন বিভাগের ২১৭,১৯ একর বনভূমিতে বনায়ন নেই। বন বিভাগের অধীনে সরকারি খাস জমিতে দ্বীপের পশ্চিমে বালু চরে ২২২ একর ঝাউবাগান করা হয়েছে। লেমশীখালী মৌজার বিএস ৪ নং খতিয়ানের ৬০ একর বনভূমি ভূমিদস্যুরা দখল করে নেয়ায় তাদের বিরুদ্ধে থানায় ৫টি মামলা রুজু করা হয়েছে।
কুতুবদিয়া উপকেূলে বিভিন্ন সময়ে বন বিভাগের ভূমি নিয়ে দখল বেদখল কথা উঠায় গত ২০১৫ সনের ২৫ মার্চ বন মন্ত্রণালয় কুতুবদিয়া উপকূলে ৫১১ একর বন ভূমি সংরক্ষিত বনভূমি হিসেবে গ্যাজেট প্রকাশ করে সরকার। কুতুবদিয়া রেঞ্জ অফিসার অশিক কুমার রায়ের সাথে কথা হলে তিনি জানান, দীর্ঘদিন ধরে কুতুবদিয়া রেঞ্জ অফিসে জনবল সংকট রয়েছে। তিনি বিগত ২০১০ সন হতে এ পর্যন্ত একটানা ৮ বছর ধরে একই কর্মস্থলে আছেন। জনবল ৩৩ জনের মধ্যে ১০ জন দিয়ে ২টি বিট অফিস ও একটি রেঞ্জ অফিস চলছে।
জনবল সংকটের কারণে বন রক্ষা করা এবং বনভূমি রক্ষা করা কঠিন হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে কর্মকর্তাদের পদগুলো শুন্য থাকায় চরমভাবে দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। কুতুবদিয়া রেঞ্জ অফিসটি রাজস্ব আদায়ের অফিস হলেও নিরাপত্তার অভাব রয়েছে। রেঞ্জ অফিসের পিলার ভেঙে পড়েছে এবং টিনের চাউনি ফুটু হয়ে পড়ায় বৃষ্টি এলেই অফিসে কাজ করা যায় না। রেঞ্জ অফিসের ভবনটি ভেঙে পড়ে যে কোন সময়ে দূর্ঘটনা ঘটতে পারে। অফিসে জনবলের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট একাধিকবার চাহিদাপত্রও প্রেরণ করা হয়েছে।
পাঠকের মতামত: