ফরিদুল মোস্তফা খান, কক্সবাজার :::
বর্বর ও নিষ্টুরতায় সিনেমার কাহিনীকে হার মানালেও প্রতিকার পাচ্ছেন না কক্সবাজারের পিতৃহীন এক অবলা নারী। স্বামী সংসার ও সুখ কি জিনিস তা বুঝে ওটার আগেই অন্তসত্তা অবস্থায় শহরের একটি ভাড়াবাসায় তাকে রেখে অপরএক নারী নিয়ে চট্টগ্রামে পালিয়ে গেছেন তার স্বামী। শুধুই তাই নয়, পালানোর আগেই মেয়েটির স্বামী নামক ওই পাষন্ডটি তার কাছ থেকে যৌতুক দাবী করে চালিয়েছেন অমানষিক নির্যাতন ও ।
এব্যাপারে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় এক মাস আগে জড়িত অপরাধীর বিরুদ্ধে একটি এজাহার জমা দিয়েও কোন প্রতিকার পাই নি বলে অভিযোগ করেছেন শহরের বৈদ্যঘোনার এলাকার মৃত হত দরিদ্র আলী আহম্মদের কণ্যা রেহেনা আক্তার। তিনি অভিযোগ করেন, শহর তলীর পূর্ব লার পাড়া ১নং ওয়ার্ডের জনৈক আব্দুর করিম নামক এক ব্যক্তির সাথে ২০১৫সালের ৩০ আগস্ট রেজিঃযুক্ত কাবিন নামা মূলে তার বিয়ে হয়। এর পর স্বামী আবদুর করিম আলীর জাহালস্থ একটি ভাড়া বাসায় তাকে নিয়ে সংসার করে। এক পর্যায়ে চার মাসের অন্তসত্তা হয়ে পড়ে রেহেনা আক্তার। যৌতুকের জন্য আবদুল করিমের অত্যাচারে মাত্রা বাড়তে থাকে তার উপর। বিয়ের কয়েক মাস যেতে না যেতেই স্ত্রী রেহেনা আক্তারকে ওই ভাড়াবাসায় রেখে অপর এক নারীকে নিয়ে চট্টগ্রামে পালিয়ে যায় করিম। এ অবস্থায় গত ছয় মাস আগে রেহেনা প্রসব করে ফুটফুটে এক পুত্র সন্তান। বর্তমানে সন্তানটির বয়স ৬ মাস। জানা গেছে, পুত্র সন্তান প্রসবের পর স্বামী হারা অসহায় ওই মহিলাটি শহর তলীর বাসটার্মিনালে অবস্থানরত আবদুল করিমে পিতা সাবের ও মা জাবেদার কাছে গেলে তারা সকলেই রেহেনাকে তাড়িয়ে দেন। ফলে বর্তমানে বুকের অবুঝ সন্তানকে নিয়ে একদিকে স্বামী ফিরে আসার প্রত্যাশা অপরদিকে ন্যায় বিচারের আশায় মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরছে অসহায় রেহেনা আক্তার। এব্যাপরে তিনি প্রয়োজনীয় সহযোগীতার জন্য কক্সবাজার প্রশাসনের তড়িৎ হস্তক্ষেপ কামনা করে বলছেন, আইনগত সহযোগীতা না পেলে আতœহত্যা ছাড়া তার আর কোন উপায় থাকবে না।
পাঠকের মতামত: