এম.এ আজিজ রাসেল, কক্সবাজার :::
‘টুরিজ্যম ফর অল-প্রোমোটিং ইউনির্ভাসেল এক্সেসসিবিলিটি’ এ প্রতিপাদ্যে কক্সবাজারে বর্ণাঢ্য আয়োজনে পালিত হয়েছে বিশ্ব পর্যটন দিবস। এ উপলক্ষে মঙ্গলবার সকাল থেকে সন্ধ্যা অবদি র্যালী, আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। সকাল ৯টায় জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয়। সৈকতের সুগন্ধ্যা পয়েন্ট থেকে শোভাযাত্রাটি শুরু হয়ে শেষ হয় লাবণী পয়েন্টে এসে। জেলা প্রশাসক মো. আলী হোসেনের নেতৃত্বে এ বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা সরকারি কর্মকর্তা, ট্যুরিস্ট পুলিশ, হোটেল-মোটেলের কর্মকর্তা-কর্মচারী থেকে শুরু করে সৈকতের পর্যটন ব্যবসায়ীরা স্বতঃস্ফুর্তভাবে অংশগ্রহণ করেন। শোভাযাত্রা শেষে সৈকতের উন্মুক্ত মঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় বিশ্ব পর্যটন দিবসের আলোচনা সভা। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) কাজী আবদুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসন মোঃ আলী হোসেন। প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক বলেন, “বাস্তবে পর্যটন বলতেই কক্সবাজারের বিশাল ভূমিকা রয়েছে। মানুষ কক্সবাজারে যেহেতু ভ্রমণে আসতে চান, সেহেতু এখানে পর্যটকদের নিরাপত্তার বিষয়টিকেই সবচেয়ে প্রাধান্য দেওয়া হয়। বর্তমানে কক্সবাজার সৈকতে পর্যটকদের নিরাপত্তায় নিয়োজিত রয়েছেন ১৩৭ জন ট্যুরিস্ট পুলিশের সদস্য। তদুপরি জেলা প্রশাসনের একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে একটি মোবাইল টিম সার্বক্ষণিক সৈকতে রয়েছে। এ ছাড়া পর্যটকদের যে কোনো বিষয়ে প্রশাসনিক সহযোগিতার জন্য কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের পক্ষে একটি ফেইসবুক ওয়েব ‘ম্যাজিষ্ট্রেটস ডট কক্সবাজার সী বীচ’ খোলা হয়েছে।” জেলা প্রশাসক এ ফেসবুকের মাধ্যমে কক্সবাজার সৈকতে সহযোগিতা নেওয়ার জন্য দেশি-বিদেশি পর্যটকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। সহকারি কমিশনার ফারজানা প্রিয়ংকার সঞ্চালনায় সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা, সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ এ কে এম ফজলুল করিম চৌধুরী, কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খন্দকার ফজলে রাব্বী ও কেন্দ্রীয় কৃষক লীগ নেতা রেজাউল করিম।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, পদস্থ কর্মকর্তা, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, হোটেল-মালিক ব্যবসায়ী সমিতির নেতৃবৃন্দ, শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ অসংখ্য পর্যটক। আমন্ত্রিত অতিথিরা পিঠা উৎসব ও বীচ-ক্লিনিং-এ অংশ গ্রহণ করেন। সকাল ১১টায় জেলা শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে সৈকতের কিটকটের (পর্যটন ছাতা-চেয়ার) উপর শিশু শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে চিত্রাংকন প্রতিযোগিতারও আয়োজন করা হয়। পরে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। বিকেলে সৈকতের লাবণী পয়েন্টের উন্মুক্ত মঞ্চে আঞ্চলিক গানের সম্রাট সিরাজুল ইসলাম আজাদ ও বুলবুল আকতারসহ স্থানীয় শিল্পীদের পরিবেশনায় গান, নৃত্য, রাখাইন নৃত্য এবং কৌতুক দৃষ্টি কাড়ে দর্শকদের।
পাঠকের মতামত: