মাহমুদুল হক বাবুল, উখিয়া:
উখিয়ার সর্বত্রে পাহাড় কেটে ওই মাটি ইট ভাটা ও বিভিন্ন সরকারী বেসরকারী স্থাপনা নির্মান কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে। পাহাড় কাটা নিষিদ্ধ থাকলেও এ উপজেলার রাজাপালং, রত্নাপালং, জালিয়াপালং,হলদিয়াপালং ও পালংখালীতে চলছে পাহাড় কাটার বানিজ্য।
উপজেলার হলদিয়াপালং ও রত্নাপালং ইউনিয়নের ভালুকিয়াপালং, সাবেক রুমখা, ভালুকিয়া আমতলী, মরিচ্যা পাতাবাড়ীতে রয়েছে বেশ কয়েকটি অবৈধ ইট ভাটা। এ সব অবৈধ ইট ভাটা গুলোতে সরকারী বন ভুমির পাহাড় কেটে হাজার হাজার ঘনফুট মাটি বিক্রি করা হচ্ছে। এ ছাড়াও এ উপজেলার ৫ টি ইউনিয়নের থাইংখালী কেজি স্কুল সংলগ্নের পার্শ্বে আমির হোছন মিস্ত্রির ছেলে সোনালী মিস্ত্রি সহ ২ ডজন খানিক লোকজন বিভিন্ন জায়গায় সরকারী বেসরকারী স্থাপনা নির্মান কাজে মাটি বানিজ্য চলছে। এ ভাবে ওই পাহাড় কাটার মাটি দিয়ে বিভিন্ন জায়গায় জলসায় ভরাট কাজেও পাহাড়ের মাটি বিক্রি করা হচ্ছে। এক শ্রেনীর বন বিভাগের কর্মকর্তা কর্মচারীদের যোগ সাজসে মাটি পাচারকারী সিন্ডিকেট পুরুদমে পাহাড় কেটে মাটি নিয়ে গেলেও দেখার কেউ নেই।
জানা গেছে, প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় এ উপজেলার জালিয়াপালং ইউনিয়নের মনখালী, চেপটখালী, ছোয়াংখালী, মাদারবনিয়া, ইমামের ডেইল, নিদানিয়া, ইনানী, সোনাইছড়ী, জুম্মাপাড়া, রাজাপালং ইউনিয়নের হরিণমারা, তুতুরবিল, টিএন্ডটি, গুচ্ছগ্রাম, হাজম্মার রাস্তার মাথা, কুতুপালং, বালুখালী, থাইংখালী জামতলী, থাইংখালী বাঘঘোনা, হলদিয়াপালং ইউনিয়নের মরিচ্যা বউ বাজার, মরিচ্যা পাতাবাড়ী, উখিয়ার জামতলীতে পাহাড় কাটা মহোৎসব চলছে। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে উখিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা মোঃ মনিরুল ইসলাম জানান, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, স্থানীয় লোকজন সচেতন না হলে পাহাড় কাটা বন্ধ করা কখনো সম্ভব নয়। তিনি আরো বলেন, লোকবল সংকটের কারনে সঠিক সময়ে পাহাড় কাটার বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করা যাচ্ছেনা।
পাঠকের মতামত: