কক্সবাজার সদর প্রতিনিধি ::
বকেয়া টাকা না দেওয়ায় দেনাদারের আত্মীয়ের গরু চুরি করে আটক হয়েছে পাওনাদার। পুলিশ ও জনপ্রতিনিধিদের রূদ্ধশ^াস অভিযানে বাছুরসহ শখের ৪টি গরু উদ্ধার করে গৃহস্থের কাছে হস্তান্তর করেছে। এ ঘটনাটি ঘটেছে ঈদগাঁওতে।
প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, পাশর্^বর্তী উপজেলা রামুর ঈদগড়ের ছগিরাকাটার মহিলা মেম্বার শাহেনা আক্তারের স্বামী মোস্তাক আহমদের সাথে ঈদগাঁও মাইজ পাড়ার জুলুর পুত্র ইসহাক প্রকাশ টুলুর দীর্ঘদিন কাঠ ব্যবসা ছিল। এ সুবাদে মোস্তাক আহমদ থেকে ১২ হাজার টাকা পাওনা ছিল। বিভিন্ন জনকে অভিযোগ করার পরও তার শ্রমের টাকা না পেয়ে প্রতিশোধ হিসাবে ক্ষিপ্ত হয়ে গত জুমাবার তার এক নিকটাত্মীয় আবুল কাশেমের স্ত্রী ফাতেমা খাতুনের ৪টি গরু বাছুরসহ নিয়ে আসে। ঐদিন মহিলা মেম্বার শাহেনা আক্তারসহ তার স্বামী মোস্তাক গরুর সন্ধানে পাহাড়ী অঞ্চলে খোঁজাখুজি করে। এক পর্যায়ে তারা ঈদগাঁও ভাদিতলায় পৌছলে প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন গরুগুলো মাইজ পাড়ার জুলুর পুত্র ইসহাক প্রকাশ টুলু নিয়ে গেছে বলে জানালে তাৎক্ষনিক তারা বিষয়টি স্থানীয় চেয়ারম্যান ছৈয়দ আলমকে জানালে তিনি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে অভিযোগ দায়েরের পরামর্শ দেন। এর প্রেক্ষিতে তদন্ত কেন্দ্রের এসআই দেবাশীষ সরকার তার বাড়ীতে অভিযানে গেলে কৌশলে টুলু গরুগুলো খুরুশকুল তার অপর আত্মীয়ের বাড়ীতে রাখা অবস্থায় ব্রীজের উপর এনে বেঁধে রাখতে বলে। এসময় পুলিশ ও স্থানীয় চেয়ারম্যান ছৈয়দ আলম এমইউপি মমতাজুল হক ও বজলুর রশিদ টুলুকে একাধিকবার কল করলেও সে গরু নেয়নি বলে জানায়। পরবর্তীতে টুলু পুনরায় মেম্বারকে ফোন দিয়ে গরুগুলো খুরুশকুল ব্রীজের উপর রয়েছে বলে জানায়। তাৎক্ষনিক চেয়ারম্যান, মেম্বার, চৌকিদার গিয়ে গরুগুলো উদ্ধার করে পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে নিয়ে আসে। পরে অপর এক অভিযানে জড়িত থাকার অভিযোগে টুলুকেও আটক করা হয়। এ রিপোর্ট লিখা পর্যন্ত উভয়পক্ষ নিয়ে পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে সমঝোতা বৈঠক চলছে বলে জানা গেছে। তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মোঃ খায়রুজ্জামান ও চেয়ারম্যান ছৈয়দ আলম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন। উল্লেখ্য, একই পন্থায় গত বছর মোস্তাক আহমদের আরো একটি গরু নিয়ে আসছিল উক্ত টুলু।
পাঠকের মতামত: