চকরিয়া উপজেলা সদরের বাবুল শপিং সেন্টারের দ্বিতীয় তলায় সোনালী ব্যাংকের পাশে চালু করা একটি অফিসে এলএমএএফ র্কোসে কিছুদিন ধরে প্রশিক্ষন নিচ্ছেন আবদুল্লাহ মোহাম্মদ রুবেল নামের একব্যক্তি। কিন্তু এই ব্যক্তি প্রশিক্ষনের আগেই গত এবছর ধরে পেকুয়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের মেহেরনামা বলিরপাড়া স্টেশনে চেম্বার খুলে রীতিমত রোগীদের মাঝে চিকিৎসা সেবা দিচ্ছেন। স্থানীয় সুত্রে অভিযোগ উঠেছে, প্রশিক্ষন না নিয়েই ওই ব্যক্তি সাধারণ জনগনের মাঝে চিকিৎসা সেবা দেয়ার কারনে রোগীদের জীবন বিপন্নের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। অনেকটা গোপনে এ ধরণের অপ-চিকিৎসা অব্যাহত থাকলেও অভিযুক্ত চিকিৎসকের বিরুদ্ধে কক্সবাজার জেলা সিভিল সার্জন বা পেকুয়া উপজেলা ভ্রাম্যমান আদালত কোন ধরণের ব্যবস্থা নেয়নি। এতেকরে জনমনে নানা প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, একবছর আগেও আবদুল্লাহ মোহাম্মদ রুবেল নামের ওই ব্যক্তি পেকুয়া বাজারের এন হোসেইন ফার্মেসীতে চাকুরী করতেন। কিন্তু তিনি হঠাৎ করে চাকুরী ছেঁেড় দিয়ে পকুয়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের মেহেরনামা বলিরপাড়া স্টেশন ও টৈইটং মধুখালী ইসলামিয়া মাদরাসা এলাকায় দুটি আলাদা চেম্বার খুলে রীতিমত রোগীদের মাঝে চিকিৎসা সেবা দিচ্ছেন। সুত্রে অভিযোগ উঠেছে, ওই ব্যক্তি প্রাথমিকের গন্ডি না পেরুলেও কিছুদিন আগে অন্য জনের এসএসসি সনদ ব্যবহার করে চকরিয়া উপজেলা সদরের বাবুল শপিং সেন্টারের দ্বিতীয় তলায় সোনালী ব্যাংকের পাশে (জি.মা.উ.ফা. পল্লী চিকিৎসক প্রশিক্ষন কর্মসুচী কেন্দ্র) চকরিয়া শাখা অফিসে এলএমএএফ র্কোসের প্রশিক্ষনে অংশ নিয়েছেন। এই শাখাটির পরিচালক পদে আছেন আলীকদম স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক মো.মোখলেছুর রহমান, লোহাগাড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক অশিন বড়–য়া ও ডা: সমীর চন্দ্র সুশীল (রাজ)।
স্থানীয় সচেতন মহল প্রশ্ন তুলেছেন, আবদুল্লাহ মোহাম্মদ রুবেল নামের ওই ব্যক্তি এখন এলএমএএফ র্কোসের প্রশিক্ষনে অংশ নিলে কিভাবে একবছর আগে থেকে চেম্বার খুলে রোগীদের মাঝে চিকিৎসা সেবা দিচ্ছেন। অনুসন্ধানে পাওয়া গেছে, আবদুল্লাহ মোহাম্মদ রুবেল এর নামে ব্যবহৃত চিকিৎসাপত্রের প্যাড। তাতে লেখা আছে, ডা: আবদুল্লাহ মোহাম্মদ রুবেল, এলএমএএফ (ঢাকা)। রোগী দেখার সময় সকাল ৮টা থেকে রাত ১০টা। স্থানীয় সুত্রে অভিযোগ উঠেছে, প্রশিক্ষন না নিয়েই একবছর আগে থেকে চিকিৎসা সেবা দেয়ার কারনে এলাকার রোগীদের জীবন বিপন্নের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এব্যাপারে সচেতন এলাকাবাসি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনে প্রশাসনের সংশ্লিষ্টদের নজরদারি কামনা করেছেন। অভিযোগের ব্যাপারে জানতে পল্লী ডাক্তার আবদুল্লাহ মোহাম্মদ রুবেলের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। কিন্তু তার ব্যবহৃত মুঠোফোনের সংযোগ বন্ধ থাকায় বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি। #
পাঠকের মতামত: