ঢাকা,শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪

প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে ৩যুগ পর চিংড়ি জমি ফিরে পেলো চকরিয়ার ৭শত জলদাশ পরিবার

মহসীন শেখ, কক্সবাজার ॥  দীর্ঘ তিনযুগ পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আন্তরিকতায় কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার রামপুরা এলাকায় জলদাশ সম্প্রদায়ের প্রায় ৭’শ পরিবার ফিরে পেয়েছে তাদের চিংড়ি চাষের জমি। শুক্রবার ( ১৪ ফেব্রুয়ারী) স্থানীয় প্রশাসন ও জেলা চিংড়ি মহাল কমিটির সদস্যরা তাদের নিজ প্রচেষ্টায় সমঝোতার মাধ্যমে তাদেরকে এ জমি বুঝিয়ে দেন।

জানাযায়, চকরিয়া উপজেলার রামপুরা মৌজায় স্থানীয় জলদাশ সম্প্রদায়কে ১৪০ একর চিংড়ি চাষের জমি দেয় তৎকালীন সরকার। বেশ কয়েক বছর ভোগ করারপর বিভিন্ন কারণে পরবর্তীতে জমিগুলো তাদের কাছ থেকে বেহাত হয়ে যায়। দীর্ঘদিন অনেক চেষ্টা করেও তারা জমিগুলো ফিরে পায়নি। এরই মধ্যে সম্প্রতি ওই জলদাশ সম্প্রদায়ের লোকজন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে সাক্ষাত করে তাদের বেহাত হওয়া সাতশত পরিবারের চিংড়ি চাষের জমিগুলো ফিরে পাওয়ার আবেদন জানান।

বিষয়টি শুনার পরপরই প্রধানমন্ত্রী বেহাত হওয়া চিংড়ি চাষের জমিগুলো দখল বুঝিয়ে দিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশদেন। এর পরই ভুমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদের প্রচেষ্টায় বিষয়টি জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে সিদ্ধান্ত আকারে গৃহিত হয়। তারই ধারাবাহিকতায় গতকাল শুক্রবার ( ১৪ ফেব্রুয়ারী) স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষে প্রথম ধাপে স্থানীয় তহসিলদার আবুল মনছুর ও জেলা চিংড়ি মহাল কমিটির সদস্য মিজানুর রহমান স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তির উপস্থিতিতে ১৪০ একর চিংড়ি চাষের জমির মধ্যে প্রাথমিক ভাবে ৭০ একর জমি বুঝিয়ে দেন। পর্যায়ক্রমে বাকী জমিগুলোও বুঝিয়ে দেয়া হবে বলেও জানান তারা।

বিষয়টি নিশ্চিত করে কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ( রাজস্ব) আশরাফুল আফসার চকরিয়া নিউজকে বলেন, মাননীয় প্রধান মন্ত্রী, ভুমি মন্ত্রণালয় ও জেলা প্রশাসকের আন্তরিক সহযোগীতায় উভয়পক্ষেও সমজোতার ভিত্তিতে জলদাশ সম্প্রদায় তাদের জমি ফিরে পেয়েছে।

জলদাশ সম্প্রদায়ের নেতা রবি ও পুনরজন চকরিয়া নিউজকে বলেন, দীর্ঘ ৩০ বছর পর মাননীয় প্রধান মন্ত্রী, সেতু মন্ত্রী, ভুমি মন্ত্রী ও জেলা প্রশাসক মহোদয়ের আন্তরিকতায় জমিগুলো ফিরে পেয়েছি।

পাঠকের মতামত: