ঢাকা,বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪

পেকুয়ায় সড়ক থেকে শতাধিক গাছ লুট

নাজিম উদ্দিন,পেকুয়া ::
pekua,,
পেকুয়ায় সড়ক থেকে কর্তন করা হয়েছে বিপুল পরিমান গাছ। গভীর রাতে উপজেলার টইটং ইউনিয়নের হাজি¦ বাজারের দক্ষিন পাশে^ আঞ্চলিক মহাসড়ক (এবিসি সড়ক) থেকে এসব বৃক্ষ নিধন করা হয়েছে। টইটং ইউনিয়ন যুবদলের আহবায়ক ও হাজি¦বাজারের অবৈধ স’মিলের মালিক খোকনের নেতৃত্বে একটি গাছ চোর সিন্ডিকেট সড়কে সৃজিত উপকুলীয় বনবিভাগের মালিকানাধিন এসব গাছ লুট করে। এদিকে এবিসি সড়কে সৃজিত হাজার হাজার বৃক্ষ নিধনের মহোৎসব চলছে পেকুয়ায়। গত এক মাসের ব্যবধানে ধনিয়াকাটা বাজারের উত্তর পাশে মৌলভীপাড়া রাস্তার মাথা থেকে হাজিরবাজার হয়ে টইটং বাজারের দক্ষিন পাশ পর্যন্ত প্রায় আড়াই কিলোমিটারে এবিসি সড়কে হাজার সৃজিত গাছ উজাড় হচ্ছে। গাছ চোর সিন্ডিকেট উপকুলীয় বনবিভাগের মালিকানাধিন গাছগুলি কর্তনে মেতেছেন। গত রবিবার গভীর রাতে এবিসি সড়কের শাহাব উদ্দিনের ইটভাটা সংলগ্ন স্থান থেকে প্রায় অর্ধ শতাধিক বৃক্ষ লুট করে। স্থানীয়রা জানায় হাজিবাজার এলাকার মৃত.রাজামিয়ার ছেলে ও ব্র্যাক ব্যাংক চট্টগ্রাম আগ্রাবাদ শাখার কর্মকর্তা আমির হোসেন সড়কের এসব গাছ তার নিজ মালিকানাধিন দাবি করে বিক্রি করেছেন। টইটং ইউনিয়ন যুবদল আহবায়ক খোকন সড়ক থেকে রাতে গাছগুলি কর্তন করে। পরে তার স’মিলে মজুদ করে। খোকন যুবদলের রাজনীতি করেন। কিন্তু হাজি¦ বাজারে একটি অবৈধ স’মিলের মালিক। সংরক্ষিত বনাঞ্চলের তিন কিলোমিটারের মধ্যে কোন ধরনের করাতকল স্থাপনের নিষেধাজ্ঞা বলবৎ রয়েছে। ওই যুবদর নেতা গত এক যুগ ধরে চট্টগ্রাম দক্ষিন বনবিভাগের টইটং পাহাড়ি বঞ্চালের নিকটতম স্থানে বসিয়েছেন স’মিল। প্রতিদিন হাজার হাজার ফুট চিরাই কাঠ পাচার হচ্ছে ওই স’মিল থেকে। কক্সবাজার জেলায় করাতকল বন্ধের নিষেধাজ্ঞা এসেছে উচ্চ আদালত থেকে। কিন্তু এরপরেও পেকুয়ায় অসংখ্য স’মিলে গাছ চিরাই অব্যহত রয়েছে। এবিসি সড়কের হাজার হাজার বৃক্ষ নিধন করছে যুবদল নেতা খোকন। তার নেতৃত্বে গড়ে উঠেছে বিশাল গাছ চোর সিন্ডিকেট। ওইদিন রাতে ব্যাংক কর্মকর্তা আমির হোসেন ও যুবদল নেতা খোকন শতাধিক বৃক্ষ কর্তন করে মহা সড়ক থেকে। উপকুলীয় বনবিভাগের নজরদারি ও দায়িত্ব অবহেলার কারনে সড়কে সবুজ বেষ্টনী উজাড়ের হিড়িক চলছে পেকুয়ায়। অভিযোগ উঠেছে গাছ চোর সিন্ডিকেটের সাথে বনবিভাগের গভীর সষ্যতা গড়ে উঠেছে। উপকুলীয় বনবিভাগ মগনামার বনবিট কর্মকর্তা নিজাম উদ্দিন সবুজ বেষ্টনি রক্ষায় সম্পুর্ন ব্যর্থ হয়েছে। টাকা নিয়ে সড়কের গাছ চোর সিন্ডিকেটকে কর্তন করতে সহায়তা করছে খোদ বিট কর্মকর্তা। এ ব্যাপারে ব্যাংক কর্মকর্তা আমির হোসেনের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। তার কোন সন্ধ্যান পাওয়া যায়নি। তাই বক্তব্য নেয়া হয়নি। তবে তার ভাতিজা মো.পারভেজ জানায় গাছগুলি আমার চাচা রোপন করেছে। পরিচর্যা ও রক্ষানাবেক্ষন আমার চাচাই করে। এগুলো সবুজ বেষ্টনির গাছ নয়। তবে বিটকর্মকর্তা, প্রশাসনকে ম্যানেজ করে চাচা গাছগুলি বিক্রি করা হয়েছে। টইটং ইউপির চেয়ারম্যান জাহেদুল ইসলাম চৌধুরী জানায় শুনেছি গাছগুলি আমির হোসেন রোপন করেছে। বিক্রির কথা শুনেনি। উপকুলীয় মগনামার বনবিট কর্মকর্তা নিজাম উদ্দিনের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হয়। তিনি ফোন ধরেননি। পরে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়।

পাঠকের মতামত: