কক্সবাজারের পেকুয়ায় অগ্নিকান্ডে বসতবাড়ি ভস্মিভুত হয়েছে। ভোর রাতে কুঁেড়ঘরে আগুন দেখতে পায় স্থানীয়রা। এসময় দ্রুত আগুন নিয়ন্ত্রনে আনতে সক্ষম হন প্রতিবেশিরা। তবে আগুনের লেলিহান শিখায় বসতবাড়ির আংশিক পুঁেড় ছাই হয়ে যায়। গতকাল ১০ ডিসেম্বর ভোর ৫টার দিকে উপজেলার সদর ইউনিয়নের সাবেকগুলদি টেকপাড়া এলাকায় অগ্নিকান্ডে এ ঘটনাটি ঘটে। আগুন নিয়ে পরস্পর বিরোধী বক্তব্য পাওয়া গেছে। বাড়ির মালিক ওই এলাকার ফরুখ আহমদের ছেলে রেজাউল করিম জানিয়েছেন, জায়গা নিয়ে তার সাথে প্রতিবেশি কালু মিয়ার ছেলে নুরুল হোছেন গংদের বিরোধ চলছিল। তারা পুর্ব শত্রুতার জের ধরে বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। বসতভিটা থেকে উচ্ছেদ করতে মুলত এ আগুন প্রতিপক্ষরা ধরিয়ে দেয়। আমি বাড়িতে ছিলাম না। বারবাকিয়াবাজারে একটি গ্যারেজের দোকানে কাজ করি। ওইদিন রাতে আমি সেখানে ছিলাম। আমার স্ত্রী হামিদা বেগম গত ৪দিন আগে বাঁশখালী পুঁইছড়িতে বাপের বাড়িতে বেড়াতে যায়। বাড়িতে কেউ না থাকায় এসুবাধে তারা আগুন দিয়েছে। তবে প্রতিবেশি নুরুল হোছাইন ওই অভিযোগ অস্বীকার করে জানিয়েছেন, আমরা সকালে আগুন দেখতে পাই। দ্রুত গিয়ে আগুন নিভিয়ে ফেলি। না হয় বাড়িটি সম্পূর্ণ পুড়ে যেত। আগুন সুত্রপাত নিয়ে কিছুই বলতে পারেননি তারা ।
#####################
পেকুয়ায় হামলায় পিতা-পুত্র আহত
পেকুয়া প্রতিনিধি.:::
কক্সবাজারের পেকুয়ায় সদর ইউনিয়নের কলেজ গেইট চৌমুহনীতে দূবৃর্ত্তের হামলায় পিতা ও পুত্র গুরুতর আহত হয়েছেন। বাড়ি থেকে চৌমুহনী ষ্টেশনে আসার সময় ওই দূবৃর্ত্তরা পথরোধ করে তাদেরকে এলোপাতাড়ি মারধর করে জখম করে। এসময় নগদ টাকা ও মুঠোফোন ছিনিয়ে নেয় ওই দূবৃর্ত্তরা। আহতদের স্থানীয়রা উদ্ধার করে পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। এদের মধ্যে একজনের অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় তাকে সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করা হয়েছে। ১০ডিসেম্বর শনিবার দুপুর দেড়টার দিকে উপজেলার সদর ইউনিয়নের কলেজ গেইট চৌমুহনী পেট্রোল পাম্প সংলগ্ন স্থানে এ ঘটনাটি ঘটেছে। খবর পেয়ে পেকুয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। আহতরা হলেন, পেকুয়া সদর ইউনিয়নের আন্নর আলী মাতব্বরপাড়া এলাকার জসিম উদ্দিনের পুত্র আলমগীর (২৮) ও তার পিতা মৃত. গুনু মিয়ার পুত্র জসিম উদ্দিন (৫৮)। ওই ঘটনার জের ধরে দু’পক্ষের মধ্যে চরম উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়রা জানায়, ওইদিন দুপুরে জসিম উদ্দিনের ছেলে আলমগীর চৌমুহনী থেকে আন্নরআলী মাতব্বরপাড়ার নিজ বাড়ি ফিরছিলেন। পথিমধ্যে চৌমুহনী পেট্রোল পাম্পের নিকট পুর্ব থেকে উৎপেতে থাকা একদল দূর্বৃত্তরা তাকে ঘিরে ফেলে। এসময় উপুর্যপুরি হামলা চালিয়ে তাকে আহত করে। খবর পেয়ে তার পিতা জসিম উদ্দিন ছেলেকে উদ্ধার করতে যায়। এসময় ক্ষিপ্ত হয়ে ওই দূবৃর্ত্তরা পিতা পুত্র দু’জনকে লোহার রড় ও ইট দিয়ে পিঠিয়ে মারাত্মক জখম করে। আহত জসিম উদ্দিন জানায়, আমি আন্নরআলী পাড়ার জনৈক নাজেম উদ্দিনের কাছ থেকে তিন বছর পুর্বে ৬০ শতক জমি বন্ধক নিই। দখল দেয় ৩০ শতক। ওই সময় থেকে বাকি ৩০ শতক জমির লাগিয়ত দিতেন নাজেম উদ্দিন। সম্প্রতি তিনি মারা গেলে তার পরিবার ওয়াশিলা বন্ধ করে দেয়। জমি আমি চাষাকে লাগিয়ত করি। চাষা ধান কাটতে গেলে নাজেম উদ্দিনের ছেলেরা বাধা দেয়। এর জের ধরে তারা সংঘবদ্ধ হয়ে আমাদের উপর হামলা চালায়। পেকুয়া থানার ওসি (তদন্ত) মো.মনজুর কাদের মজুমদার জানিয়েছেন, খবর পেয়ে তাৎক্ষনিক পুলিশ পাঠিয়েছি। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পাঠকের মতামত: