রিয়াজ উদ্দিন, পেকুয়া:
পেকুয়ায় ভোলা নদী পারাপার হচ্ছে বাঁশের সাঁকো দিয়ে।যাতায়তের একমাত্র ভরসা ওই বাশেঁর সাঁেকা। পেকুয়া উপজেলার বারবাকিয়া ও মগনামা ইউনিয়নের ১০ গ্রামবাসীর। বিশেষ করে বর্ষা মৌসুমে এসব এলাকার অধিবাসীদের চরম দূর্ভোগ পোহাতে হয়। সরেজমিনে পরির্দশনে গিয়ে দেখা যায়, পেকুয়া উপজেলার মগনামা ও বারবাকিয়া ইউনিয়নের সংযোগ ভোলা খালের উপর বুধামাঝির ঘোনা থেকে মগনামা বাজার পাড়ায় একটি বাঁশের সাঁকো রয়েছে। গত তিনটি সংসদ নির্বাচনে প্রার্থীরা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন এই বাঁশের সাঁকোটি পাল্টিয়ে পিলারের সেতু স্থাপনের। কিন্তু সরকার যায় আর আসে এই এলাকার মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটে না। এলাকাবাসী জানায়, গত কয়েক বছর আগে এ বাঁশের সাঁকো থেকে পড়ে এক স্কুল ছাত্রের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছিল। এরপরও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের ঘুম ভাঙ্গেনি। এলাকাবাসী আরো জানায়, বারবাকিয়া ইউনিয়নের বুধামাঝির ঘোনা, মৌলভী পাড়া, জলিয়া বর পাড়া ও জালিয়াখালী এলাকায় কোন প্রাথমিক বিদ্যালয় না থাকায় নদীর ওপারে পূর্ব মগনামা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যেতে হয় এসব এলাকার কোমল মতি ছাত্র-ছাত্রীদের। পূর্ব মগনামা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ডা: আব্দুল মজিদ জানান, তার স্কুলে প্রায় শতাধিক ছাত্র-ছাত্রী ওপার থেকে আসে। বিশেষ করে বর্ষা মৌসুমে এসব শিশুদের চরম ঝুঁকি নিয়ে বাঁশের সাঁকো পাড়ি দিতে হয়। পেকুয়া জি.এমসি ইনষ্টিটিউশনের দশম শ্রেনীর ছাত্রী হুমাইরা ও আলমগীর জানান, এই সাঁকোটি আমাদের স্কুলে যাওয়ার একমাত্র মাধ্যম। বর্ষাকালে নদীর পানি বৃদ্ধি পেলে সাঁকোটির অবস্থা নড়বড়ে হয়ে যায়। অনেক সময় সাঁকোটি ভেঙ্গে গেলে আমাদের স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে দিতে হয়। স্থানীয় প্রবাসী বেলাল উদ্দিন, নাছির উদ্দিন, মাষ্টার শফি আলম জানান, এ এলাকায় কোন দোকান-পাট না থাকায় নদীর উপারে নড়বড়ে সাঁকোটি পার হয়ে মগনামা বাজার পাড়ায় গিয়ে সওদা করতে হয়। এই সাঁকোটির স্থলে পিলারের সেঁতু নির্মাণ করা হলে ১০ গ্রামের জনগনের দূর্ভোগ লাঘব হবে। স্থানীয় এলাকাবাসী আরো জানায়, সাঁকোটির স্থলে পাকা ব্রীজ না থাকায় জরুরি অবস্থায় কোন রোগীকে হাসপাতালে নেওয়া সম্ভব হয় না। গত ১৭অক্টোবর সাঁকোটির কারনে হাসপাতালে নিতে দেরী হওয়ায় পানিতে পড়ে হাফছা নামের ৭বছরের এক শিশু মারা গেছে। বারবাকিয়া ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড বুধামাঝির ঘোনা এলাকার ইউপি সদস্য ছরওয়ার আলম জানান, তার এলাকার মানুষের যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম এই বাঁশের সাঁকোটি। বিভিন্ন সরকার এই সাঁকোটি পাকাকরনের প্রতিশ্র“তি দিলেও এখনো পর্যন্ত তা বঞ্চিত রয়েছে। শীঘ্রই এলাকাবাসী এ এলাকায় একটি সেতু নির্মানের দাবি জানিয়েছেন। এ বিষয়ে পেকুয়া উপজেলা চেয়ারম্যান শাফায়েত আজিজ রাজু জানান, বুধামাঝির ঘোনা ও মগনামার বাজার পাড়া মধ্যে সংযোগ সাঁকোটি নিয়ে বেশ কয়েকবার উপজেলা উন্নয়ন ও সমন্বয় সভায় আলোচনা হয়েছে। এই সাঁকোটির স্থলে একটি পাকা ব্রীজ নির্মানের জন্য প্রস্তাব পাঠাতে চেষ্টা করা হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।
পেকুয়া উপজেলা আইন শৃংখলা কমিটির সভা সম্পন্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক, পেকুয়া: পেকুয়া উপজেলা আইন শৃংখলা কমিটির এক সভা ১৭ আগষ্ট উপজেলা পরিষদ হলরুমে অনুষ্টিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন পেকুয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহাববু উল করিম। প্রধান অতিথি ছিলেন পেকুয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাফায়াত আজিজ রাজু। বিশেষ অতিথি ছিলেন পেকুয়া উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান লুৎফা হায়দার রনি, পেকুয়া উপজেলা আ’লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শাহনেওয়াজ চৌধুরী বিটু, সাবেক সভাপতি এটিএম বখতেয়ার উদ্দিন চৌধুরী, সেক্রেটারী আবুল কাসেম, উজানটিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এম,শহিদুল ইসলাম চৌধুরী, রাজাখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ছৈয়দ নুর, টইটং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাহেদুল ইসলাম চৌধুরী, জাতীয় পার্টির পেকুয়া উপজেলা সভাপতি মাহাবুব ছিদ্দিকী, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ছাবের আহমদ, পেকুয়া সদর ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান মাহাবুল করিম প্রমুখ। সভায় পেকুয়ায় ইয়াবার বিস্তার, ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে সার্বিক আইন শৃংখলা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করা হয়।
#############
পেকুয়ায় ৭ লিটার মদসহ গ্রেফতার-২
নিজস্ব প্রতিবেদক,পেকুয়া:
পেকুয়ায় ৭ লিটার মদসহ ২ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ১৫ আগষ্ট বিকাল ৩ টার দিকে পেকুয়া-বরইতলী সড়কের হারবাং এর ছড়া নতুন ব্রীজের পাশর্^ থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতদের নাম হল: পশ্চিম গোঁয়াখালী এলাকার আলী আকবরের পুত্র এনামুল হক(২৭), টইটং ইউনিয়নের সোনাইছড়ি এলাকার ছোটন আলীর পুত্র নুরুল আজিজ(৩৫)। হারবাং পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ তোফাজ্জল হোসেন জানান, পেকুয়া থেকে রিজার্ভ সিএনজি গাড়ী নিয়ে ওই দুইজন হারবাং রাখাইন পাড়া আসছিল। তারা ৭ লিটার মদসহ নিয়ে যাওয়ার সময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ওই দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়। পরে ওই দিন চকরিয়া থানায় তাদের নামে ১৯৯০ সালের মাদক দ্রব্য আইন ২২(গ) ধারায় মামলা রেকর্ড করা হয়। যার মামলা নং ২২। ওই মামলার তদন্তের দায়িত্বভার অর্পন করা হয় চকরিয়া থানার এস,আই আতিককে। এ দিকে পেকুয়ার স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, নুরুল আলম নামের একজন ব্যক্তিকে গ্রফতার করার কথা শুনা গেলেও পুলিশ এ ব্যাপারে অস্বীকার করেন। হারবাং পুলিশ ফাঁড়ির আইসি তোফাজ্জল হোসেন জানান,ওই দিন আসামীদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়।
#################
পেকুয়ায় যৌতুকের জন্য গৃহবধূকে নির্যাতন
নিজস্ব প্রতিবেদক, পেকুয়া:
পেকুয়ায় যৌতুকলোভী স্বামীর নির্যাতনে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে স্ত্রী। ২০ হাজার টাকা যৌতুক এনে দেয় স্ত্রী। দ্বিতীয় দফা ৫০ হাজার টাকা যৌতুক দাবী করে স্বামী। এ নিয়ে স্বামী স্ত্রী দম্পতির মধ্যে কলহ দেখা দেয়। এর জের ধরে পাষন্ড স্বামী,দেবর, শাশুড়ী মিলে ওই গৃহবধূকে মারধর ও শারীরিক নির্যাতন করে। এক পর্যায়ে দা দিয়ে কুপিয়ে জখম করে হতভাগা স্ত্রীকে। স্থানীয়রা উদ্ধার করে তাকে পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। মঙ্গলবার সকাল ৭ টার দিকে উপজেলার বারবাকিয়া ইউনিয়নের পাহাড়িয়াখালী ছনখোলারজুম এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহত গৃহবধূর নাম রুজিনা বেগম(২২)। তিনি ওই এলাকার ওয়াহিদ মিয়ার স্ত্রী বলে জানা গেছে। প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সত্রে জানা যায়, গত দুই বছর আগে রুজিনা বেগমের সাথে ওয়াহিদ মিয়ার বিবাহ হয়। তারা এক সন্তানের দম্পত্তি। স্থানীয়রা জানায়, যৌতুক নিয়ে ওয়াহিদ মিয়ার সাথে তার স্ত্রী রুজিনা বেগমের বাকবিতন্ডা হয়। এর সুত্র ধরে ঘটনার দিন সকালে পাষন্ড স্বামী তাকে কুপিয়ে জখম করে। তারা আরো জানায়, স্বামী যৌতুক লোভী। আগেও পিতার বাড়ি থেকে স্বামীকে বিশ হাজার টাকা যৌতুক এনে দেয় ওই মহিলা। বর্তমানে ৫০ হাজার টাকার জন্য একইভাবে চাপ প্রয়োগ করছিল। এ নিয়ে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে সম্প্রতি সম্পর্কের অবনতি হয়। ওই দিন স্বামী ও শাশুর বাড়ির লোকজন তাকে শারীরিক লাঞ্চিত ও কুপিয়ে জখম করে। এ ব্যাপারে ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর আলম জানান, তিনি উক্ত বিষয়ে কয়েক বার বিচার করেছেন বলে জানান। কিন্তু তার বিচার মানছে না বলে স্বামীর পরিবার।
পাঠকের মতামত: