ঢাকা,শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪

পেকুয়ায় চলাচল রাস্তায় সীমানা প্রাচীর, অবরুদ্ধ হাজার মানুষ

পেকুয়া প্রতিনিধি ::pekua,,

পেকুয়ায় চলাচল পথ বন্ধ করে সীমানা প্রাচীর নির্মান নির্মান করেছে একটি প্রভাবশালী মহল। এনিয়ে এলাকাবাসির সাথে তাদের বিরোধ দেখা দিয়েছে। দীর্ঘ শত বছরের চলাচল পথ রুদ্ধ হয়েছে। এতে করে প্রায় শতাধিক পরিবারের অন্তত এক হাজারের অধিক মানুষ অবরুদ্ধ হয়েছে। চলাচল পথে সীমানা প্রাচীর নির্মান নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়েছে। উত্তেজনা প্রশমিত করতে পেকুয়া থানা পুলিশ গতকাল সোমবার দুপুরে ওই স্থান পরিদর্শন করেছেন। সীমানা প্রাচীর নির্মান কাজ চলছে উপজেলার শীলখালী ইউনিয়নের লম্বামুড়া এলাকায়। এ বিষয়ে গ্রামবাসির পক্ষে মৃত.এজাহার মিয়ার ছেলে শামসুল আলম বাদি হয়ে সোমবার পেকুয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। এসআই সরোজ রতন আর্চায্য পরিস্থিতি শান্তিপুর্ন না হওয়া পর্যন্ত নির্মানকাজ না করতে উভয়পক্ষকে নিদের্শনা দেন। জানা গেছে শিলখালী ইউনিয়নের লম্বামুড়া এলাকায় কসাইদের চলাচলের জন্য একটি পথ শত বছর ধরে উন্মুক্ত রয়েছে। কাছারী মুড়া ষ্টেশনের নিকট শতাধিক পরিবার চলাচলের একমাত্র মাধ্যম এ পথ। সম্প্রতি লম্বামুড়া এলাকার মৃত.শহর আলীর ছেলে মাহমুদুল করিম, রেজাউল করিম, আবুল কালামের ছেলে নুরুন্নবী এ পথ রুদ্ধ করার চেষ্টায় মেতেছে। তারা বাড়ির সীমানা পৃথক করতে এ পথে পাকা দেয়াল তৈরির কাজ শুরু করে। জানা গেছে শামসুল আলম, আব্দু মালেক, আব্দু খালেক, মোস্তাক আহমদ, আলী আহমদ, জাফর আলম, নুরুল ইসলাম, ইউনুসসহ শতাধিক পরিবার ওই পথ দিয়ে চলাচল করে থাকে। প্রভাবশালী ওই চক্র এসব পরিবারের চলাচল পথ রুদ্ধ করে নির্মান করছেন পাকা দেয়াল। স্থানীয় নুরুল হোসেন, মহিউদ্দিন, আহমদ কবির, শাকেরা বেগম, সোনা বিবি, মরিয়ম খাতুন জানায় এ পথ বন্ধ হয়ে গেলে আমাদের বসবাস করা যাবেনা। বাপ-দাদারা এ পথ দিয়ে চলাফেরা করছেন। কিন্তু হঠাৎ তারা ইট এনে দেয়াল তৈরির কাজ শুরু করে। চেয়ারম্যানকে জানিয়েছি। তিনি নিষেধ করছিলেন। এরপরেও জোর করে তারা কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। শিক্ষার্থী মিনা আকতার, কলি আকতার, ডেজি, সালমা, নিশু, শাকিল, আরাফাত জানায় দেয়াল নির্মান কাজ চলায় গতকালের বৃষ্টিতে পথে হাটু পরিমান পানি ও কাদা জমেছে। এভাবে কাজ চলতে থাকলে আমরা অবরুদ্ধ হয়ে যাব। এটি আমাদের একমাত্র চলাচল পথ।
………………………………………….

পেকুয়ায় জিএমসি স্কুলে ব্যবস্থাপনা কমিটির নির্বাচন, মিনু সভাপতি

পেকুয়া প্রতিনিধি::

পেকুয়ায় জিএমসি ইনষ্টিটিউশনের ত্রি-বার্ষিক নির্বাচনে গতকাল সোমবার ভোট গ্রহন অনুষ্টিত হয়। নির্বাচনে ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন জেলা আ’লীগের সদস্য উম্মে কুলছুম মিনু। তিনি সর্বাধিক ভোট পেয়ে পেকুয়ার স্বনামধন্য এ শিক্ষা প্রতিষ্টানের একাডেমিক দায়িত্ব পালনের জন্য নিজকে প্রতিষ্টিত করেছেন। গতকাল বিকাল তিনটায় ভোট গ্রহন অনুষ্টিত হয় বিদ্যালয়ে। নির্বাচনে সভাপতি পদে দুই প্রার্থী প্রতিদ্বন্দিতা করেন। এদের মধ্যে বিজয়ী হয়েছেন নারী নেত্রী উম্মে কুলছুম মিনু। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দী ছিলেন সদর ইউপির সদস্য এম, শাহনেওয়াজ আজাদ। উম্মে কুলছুম মিনু পেকুয়া জমিদারবাড়ীর কৃতি সন্তান ও জিএমসির অবসরপ্রাপ্ত মরহুম শিক্ষক আহমদুল হক চৌধুরী সুযোগ্য কন্যা। তিনি চকরিয়া বারের সিনিয়র আইনজীবি এডভোকেট গিয়াস উদ্দিনের সহধর্মিনী। পেকুয়ায় উম্মে কুলছুম মিনু বেশ পরিচিত। সর্বজন গ্রহনযোগ্য নারী নেত্রী হিসেবে উপজেলায় বেশ সমাদৃত। তার এ বিজয়ে অভিনন্দন ও ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ঐতিহ্যবাহী এ প্রতিষ্টানের শিক্ষক –শিক্ষিক্ ানির্বাচিত অভিভাবক প্রতিনিধি ও শিক্ষার্থী অভিভাবকরা।

……………………………..

পেকুয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় হজ¦ কাফেলার পরিচালকসহ হতাহত-২

পেকুয়া প্রতিনিধি

পেকুয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় আল তাক্ববীর হজ¦ কাফেলার পরিচালকসহ হতাহত হয়েছেন দুইজন। গতকাল ১৫ মে বিকাল ৩ টার দিকে চট্রগ্রাম-কক্সবাজার সড়কের চকরিয়া উপজেলার দুলাহাজারা ছগিরশাহ কাটা দরগা গেইট এলাকায় হতাহতের এ ঘটনা ঘটে। এদের মধ্যে ওমর হানিফ চৌধুরী দুর্ঘনাস্থলে প্রাণ হারান। অপর একজন গুরুতর আহত হয়েছেন। তার নাম তানিমা চৌধুরী(১৬)। তাকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে দুলাহাজারা খ্রিস্টান মেমোরিয়াল হাসপাতালে ভর্তি করে। তার অবস্থাও আশংকাজনক। ওমর হানিফ চৌধুরী উপজেলার সদর ইউনিয়নের আন্নরআলী মাতবর বাড়ির শামশুল আলম চৌধুরীর প্রথম পুত্র। তনিমা চৌধুরী একই বাড়ির হেলাল উদ্দিনের মেয়ে। ওমর হানিফ চৌধুরীর ভাগিনী। প্রাপ্ত সুত্রে জানা গেছে, হানিফ চৌধুরী ও তনিমা চৌধুরী মোটর সাইকেল নিয়ে দুলাহাজারা থেকে পেকুয়ায় ফিরছিলেন। দুলাহাজারা হানিফ চৌধুরীর শাশুড় বাড়ি। ভাগিনীকে নিয়ে নিজে মোটর সাইকেল ড্রাইভ করছিলেন। এ সময় সামনের দিক থেকে আসা একটি মাইক্রোবাস সড়কের ওই পয়েন্টে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান ওমর হানিফ চৌধুরী। জানা গেছে, ওমর হানিফ চৌধুরী আল তাকবীর হজ¦ কাফেলার পরিচালক। তার মৃত্যুর সংবাদ বিকালে এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় সর্বত্রে শোকের ছায়া নেমে আসে।

পাঠকের মতামত: