কক্সবাজার জেলার পেকুয়া থানার ম্যাচ ম্যানেজার কাম ক্যাশিয়ার কাসেম এর বেপরোয়া চাদাঁবাজীতে ক্ষুব্দ হয়ে উঠেছে পেকুয়ার ছোট বড় ব্যবসায়ী ও সাধারন জনগন। পুলিশের দাপট দেখিয়ে সে মাসিক ৩০লক্ষ টাকার বেশী চাঁদাবাজী করছে বলে জানা গেছে। অতিষ্ঠ অনেকে চাদাঁবাজির স্থল থেকে বেধেঁ রেখে উত্তম-মধ্যম দিয়ে প্রশাসনের কাছে দেয়ার প্রস্তুতি নিয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যবসায়ী জানান, ক্যাশিয়ার কাসেম পেকুয়া থানা পুলিশের ম্যাচের একজন কুকার। সেই সুবাদে তাকে ম্যাচের বাজারের দ্বায়ীত্ব ও দে পুলিশ। পেকুয়া থানা পুলিশের আসকারায় এখন থানার পুলিশের ম্যাচের বাজারের কথা বলে সর্বত্র চাঁদাবাজি করছে। জানাযায়, ইটভাটায় পাহাড়কাটা মাটি সরবরাহ দিয়ে, ভেজাল মসল্লা ভ্যবসায়ী, সিলিন্ডার ভর্তি অবৈধ সিএনজি গ্যাস ব্যবসার গাড়ী, ভ্যানগাড়ী, ট্রলি, টমটম, অটো রিক্সা,টেক্সি,জীপ,বাস,ট্রাক সহ সমস্তগাড়ী পেকুয়ায় ভিতর চললে মাসিক ৩ শত থেকে এক হাজার, চিংড়ী পোনা, গাছ লাকড়ী ভর্তি গাড়ী ও মালবাহী গাড়ী রাস্তার উপর থামিয়ে তার দাবীকৃত চাদাঁ আদায় করে যাচ্ছে।এ ছাড়া পাহাড় কাটার জন্য আগ্রহী ব্যক্তিদের সাথে আতাত করে থানা প্রশাসন ম্যানেজ করার কথা বলে পাহাড় কাটায় সম্পৃক্ত মাটি বহন কারী ট্রাক/ডাম্পার থেকে ৩শ-থেকে ৫শত টাকা করে আদায় করছে।এভাবে সে এবং প্রতিটি সেক্টরে তার নিয়োজিত লোক দিয়ে প্রতিমাসে আদায় করছে ৩০ থেকে ৪০লক্ষ টাকা।
প্রতি মাসে নির্ধারিত মাসোহারা দেবার পর বাজারে ব্যবসায়ীরা গাছ-বাঁশ ও লাকড়ী বিক্রি করে তবুও কারনে-অকারনে লাকড়ী বিক্রেতা, স’মিল ও ক্ষুদে কাঠ ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে টাকা দাবী করে।টাকা দিতে রাজী না হলে ব্যবসা বন্ধ করে দেয়ার হুমকি দেয়। তাদের চাদাঁবাজীর ফলে পেকুয়ার আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবণতি ঘঠছে। অভিযোগ রয়েছে, সড়কের বিভিন্ন মোড়ে দাড়িয়ে পুলিশী ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে বৈধ-অবৈধ পরিবহনকৃত লাকড়ী ও কাঠের গাড়ী থেকে ৩শ থেকে ১০০০টাকা, এ ছাড়া অবৈধ চোরাই কাঠের গাড়ী পার করে দিতে ১০ থেকে ১৫হাজার টাকা আদায় করে থাকে ক্যাশিয়ার কাসেম। উল্লেখ রয়েছে চকরিয়ার কাটচোর সিন্ডিকেটের সাথে রয়েছে তার বুঝাপড়া। রাতের আধাঁরে কোন সময় কিভাবে কোন পথে চোরাই মালামাল পরিবহন হবে তার টাইম ঠিক করে ও ক্যাশিয়ার। মাসিক আদায় ছাড়া ও ইয়াবা টেবলেট বিক্রেতা, মদ, হেরোইন বিক্রেতা, ফুটপাতের হকার,মোটর সাইকেল চোর সিন্ডিকেট, লাইসেন্স বিহীন অবৈধ টেক্সী,জীপ থেকে অন্তত ২লক্ষাধীক টাকা চাদাঁ আদায় করে থাকে এই ক্যাশিয়ার। টাকা না পেলে বিভিন্ অজুহাতে থানায় ডেকে এনে মিথ্যা মামলায় ঢুকানোর হুমকি ১০/১৫হাজার টাকা নিয়ে ছেড়ে দেয়। আলাপকালে ক্যাশিয়ার কাসেম জানায়, ক্যাশিয়ারের অবৈধ আয়ের টাকা থেকে চলে ওসি’র পারিবারিক খরচ সহ থানার অর্ধশতাধিক পুলিশের ম্যাচের বাজার খরচ। খরচ বাদে ওসিকে দিতে হয় মাসিক ৫০হাজার টাকা । তারপর যা চুরি করে রাখতে পারবে তা ক্যাশিয়ারের লাভ। যোগ্য ক্যাশিয়ার প্রমান করতে তাই বেপরোয়া চাদাঁবাজী করে তারা।অন্যথায় পরবর্তি মাসে নতুন ক্যাশিয়ার নিয়োগ হয়। অবশ্য তাদের একাজে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার আন্তরিক সহযোগিতা থাকে তাই নির্ভয়ে এ অপকর্ম করতে পারে বলে ও জনৈক পুলিশ জানায়।
পেকুয়া থানার যোগ্য ক্যাশিয়ার,আবুল কাসেমের বেপরোয়া চাদাঁবাজীকে কেন্দ্র করে স্থানীয় জনসাধারনের মাঝে চাপাঁ ক্ষোভ বিরাজ করছে। অতিষ্ঠ অনেকে চাদাঁবাজির স্থল থেকে বেধেঁ উত্তম-মধ্যম দিয়ে প্রশাসনের কাছে দেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে।এ ব্যাপারে উর্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ জরুরী হয়ে পড়েছে।
পাঠকের মতামত: