ঢাকা,বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪

পালিয়ে বেড়াচ্ছে টেকনাফের আহত আ.লীগ নেতা

নিজস্ব প্রতিবেদক:
সন্ত্রাসী হামলায় গুরুতর আহত টেকনাফ উপজেলার সদর ইউনিয়ন ৭ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম (৩৬) প্রভাবশালীদের ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। গত ৮ ডিসেম্বর রাত ১১ টার দিকে কচুবনিয়া এলাকার মৃত ছৈয়দুর রহমানের ছেলে আবদুল আমীন (৪২)সহ সাঙ্গ-পাঙ্গরা তাকে ডেকে নিয়ে বেধড়ক মারধর করে। এলাকাবাসী তাকে উদ্ধার করে ওই দিন প্রথমে টেকনাফ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে রেফার করা হয় কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে। তার ডান হাতের একটি আঙ্গুল ভেঙ্গে গেছে। কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ ডা: এ. হোসাইন সুমন জানান, তার আঙ্গুলের হাড় ভেঙ্গে গেছে। আরো ১ মাস বিশ্রামে থেকে চিকিৎসা নিতে হবে।
এদিকে দুবাই প্রবাসী জনৈক সদর ইউনিয়নের পানছড়ি পাড়ার বাসিন্দা দুবাই প্রবাসী মৃত মোস্তাফিজুর রহমানের ছেলে আবদুচ ছালামের বেশকিছু জমি-জমা রয়েছে কচুবনিয়া এলাকায়। পার্শ্ববর্তী প্রভাবশালীদের নজর পড়ে উক্ত জমির উপর। এই জমির দেখভাল করে আসছিল ৭ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম। তাকে স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী মুঠোফোনে প্রায় সময় প্রবাসীর কাছ থেকে জন্য মোটা অংকের টাকা এনে দেওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করে আসছিল। কিন্তু দাবীকৃত চাঁদার টাকা না পেয়ে তার উপর হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা। এঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে কচুবনিয়া এলাকার মৃত ছৈয়দুর রহমানের ছেলে আবদুল আমীন (৪২), তার ছেলে মো. আলমগীর (২০), মৃত মতিউর রহমানের ছেলে ইমাম হোসেন (৪০), এখলাছ মিয়ার ছেলে মো. হাসিম (৩৬), নুরুল ইসলামের ছেলে মো. রুবেল (২২), এখলাছ মিয়ার ছেলে আবদুল গফুর (২৫), ছোট হাবিরপাড়ার মৃত ইলিয়াছের ছেলে শামসুল আলম (৩০), মৃত দিল মোহাম্মদের ছেলে কাসিম (২০), আবদুল আমীনের স্ত্রী রকম বাহার (৪০), আবদুল আমীনের মেয়ে তৈয়বা খাতুন (২০)সহ আরো কয়েকজনের বিরুদ্ধে। উল্লেখিত ঘটনার ১ সপ্তাহ পরও আক্রান্ত আওয়ামীলীগ নেতা আবুল কালামকে সন্ত্রাসী হুমকী দিয়ে যাচ্ছে প্রভাবশালীরা। তাকে এলাকায় গেলে জানে শেষ করে দেওয়া হবে বলেও হুংকার দেওয়া হচ্ছে। তিনি এ ব্যাপারে তিনি টেকনাফ থানা পুলিশসহ সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

পাঠকের মতামত: