ঢাকা,মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪

পরিবেশবাদীদের দাবীর মুখে খনন হচ্ছে পেকুয়ার কহলখালী খাল

পেকুয়ার পরিবেশবাদী সংগঠনগুলো দীর্ঘদিনের দাবীর মুখে খালটি খননের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয় বলে নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন বাপার পেকুয়া উপজেলা সাংগঠনিক সম্পাদক এফ এম সুমন।
জানা গেছে, পেকুয়া সদর ইউনিয়নের বাসিন্দাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ কহলখালী খালটি। অত্যন্ত জনগুরুত্বপূর্ণ খালটি দখল করে
গড়ে তোলা হয়েছে অনেক অবৈধ স্থাপনা। খালে নিয়মিত ফেলা হচ্ছে ময়লা-আবর্জনা। এতে খাল ভরাট হয়ে পানিপ্রবাহে ব্যাপক বাধা সৃষ্টি হচ্ছে। আশেপাশের পরিবেশ ধ্বংস হচ্ছে।  যার কারণে ব্যাপক জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে চরম দূর্ভোগ পোহাতে হয় এলাকাবাসীকে।
পেকুয়া উপজেলার সাবেক ইউএনও মারুফুর রশিদ খান খালটি খননের উদ্যোগ নিয়ে কাজ শুরু করলেও দৃশ্যত কাজ শেষ করতে পারেনি তিনি । এরপর বিভিন্ন পরিবেশবাদী সংগঠনসহ স্থানীয় সংবাদকর্মীদের দাবী ছিল খালটি দ্রুত খনন করা। অবেশেষে গতকাল উপজেলা পরিষদ হল রুমে এক গোল টেবিল বৈঠকে খালটি খনন করার জন্য এনজিও সংস্থা রিককে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। দ্রুত খনন কাজ শুরু হবে বলে জানান রিক ইন্জিনিয়ার হোসনে মোবারক আরমান।
বাপা পেকুয়ার সাংগঠনিক সম্পাদক সাংষ্কৃতিক কর্মী এফএম সুমন বলেন, উপজেলা পরিষদ হল রুমে চেয়ারম্যান শাফায়েত আজিজ রাজুর সভাপতিত্বে পরিবেশবাদী সংগঠনগুলো ছাড়াও এনজিও সংস্থা রিকের প্রতিনিধি গোল টেবিল বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
পরিবেশবাদী সংগঠনের পক্ষ থেকে দাবী ছিল খালটি দ্রুত খনন করা হোক। এক পর্যায়ে উপজেলা পরিষদের সামনের অংশ থেকে পেকুয়া বাজার পর্যন্ত এরিয়া খালটি খনন করার জন্য রিক দায়িত্ব গ্রহণ করে।
বাকি অংশ আগামী বুধবার থেকে স্বেচ্ছাশ্রমে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নের কাজ শুরু হবে। উপজেলা পরিষদের সহায়তায় পেকুয়ার সকল সামাজিক সাংষ্কৃতিক ও পরিবেশবাদী সংগঠনের সকল সদস্যরা স্বেচ্ছাশ্রমে খালটি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করার উদ্যোগ নিয়েছে বৈঠকে । তাতে উপকারভোগীদের অনেক উপকার হবে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা । এছাড়াও বৈঠকে খাল দখল উচ্ছেদের জন্য জোর দাবী জানান সবাই।
স্থানীয় লোকজন বলেন, বর্জ্য ফেলার কারণে খালের পানি দূষিত হয়ে পড়েছে। অথচ বোরো মৌসুমে এই খালের পানি দিয়ে অন্তত ১০০ একর জমিতে সেচ দেওয়া হয়। পানি চলাচল করতে না পারায় বর্ষা মৌসুমে ব্যাপক জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়।
এ ছাড়া খালটি দখল ও ভরাট হয়ে যাওয়ার কারণে বর্ষায় বৃষ্টির পানি ঠিকমতো নামতে পারে না। এতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। গত কিছুদিন আগে জলাবদ্ধতা নিরসনে স্থানীয় নুরুল আবছার নামে এক সমবায় সংগঠন বাজার সংলগ্ন এরিয়ায় খালটি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করে। খালটি খনন হলে অনেক উপকার হলে এলাকাবাসীর।
গোল টেবিল বৈঠকে অংশ নেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শাফায়ের আজিজ রাজু,বাপার এফএম সুমন, নব-তরুণ সংঘের এসএম হানিফ, ধরিত্রীর দেলোয়ার হোছাইন, নোঙরের মাস্টার জাহাঙ্গীর আলম, নুর-আয়েশা খান ফাউন্ডেশনের আমজাদ হোসেন, বাপার বাহার উদ্দিনসহ আরো বেশ অনেকে।

পাঠকের মতামত: