ঢাকা,রোববার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪

ত্রাণ চাই না, টেকসই বেড়িবাঁধ চাই

Upokul-News-Pic-4_1ইমাম খাইর ::
সেই ১৯৯১ সালের ২৯ এপ্রিল শোকাতুর ও হাহাকারের দিন। ২৬টির বছর পার হলো। সেই দিনের প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড়ের ভয়াল থাবা আমাদের এখনো তাড়া করে। স্বজনদের কথা মনে হলে বুক ফাঁটা কান্না চলে আসে। ধরে রাখা যায়না অশ্রুজল। উপকূলবাসী এখনো অবহেলিত। দ্বীপের বেড়িবাঁধ সমূহ এখনো অরক্ষিত। ঝড়-তুফান ও ঘূর্নিঝড়ের প্লাবন এখনো উপকূলবাসীকে তাড়া করে। প্রতিরক্ষামূলক বেড়িবাঁধ এখনো নির্মিত হয়নি। বেড়িবাঁধের জন্য সরকারের বরাদ্দের কাজও যথা নিয়মে হয়না। আমরা ত্রাণ চাই না টেকসই বেড়িবাঁধ চাই।
শনিবার সকালে কক্সবাজার আদালত সড়কে ‘ভয়াল ২৯ এপ্রিল ১৯৯১’ -স্মরণে মানববন্ধন ও সমাবেশে বক্তারা এসব অনুভূতির কথা প্রকাশ করেন।
এতে প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন উপকূলীয় (মহেশখালী-কুতুবদিয়া আসন) এলাকার এমপি আশেক উল্লাহ রফিক।
তিনি বলেন, এক সময় ত্রাণের জন্য পাগল ছিল উপকূলের মানুষ। ঝড়-বাতাস বইলে খুশি হতো। এখন টেকসই বেড়িবাঁধ চায় উপকূলের বাসিন্দারা।
উপকূলীয় এনজিও জোটের ব্যানারে আয়োজিত ‘উপকূলের জমি ও মানুষের সুরক্ষায় পানি উন্নয়নবোর্ডের সংস্কার জরুরী’ শ্লোগান সম্বলিত মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন কোস্ট ট্রাস্টের প্রকল্প সমন্বয়কারী মকবুল আহমেদ।
সংহতি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন- কুতুবজুম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন খোকা, মাতারবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাস্টার মোহাম্মদ উল্লাহ, সাংবাদিক ইউনিয়ন কক্সবাজার এর সভাপতি প্রবীন সাংবাদিক মুহম্মদ নুরুল ইসলাম, কালারমারছড়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান কবি রুহুল কাদের বাবুল, এক্সপাউরুলের প্রধান নির্বাহী ইঞ্জিনিয়ার কানন পাল।
কোস্টের প্রকল্প ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলমের পরিচালনায় সভায় সংহতি জানান কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সদস্য ইঞ্জিনিয়ার বদিউল আলম, এনজিও সংগঠক সাইফুল ইসলাম কলিম, হেলপ কক্সবাজারের নির্বাহী পরিচালক আবুল কাশেম, কুতুবদিয়া ছাত্র পরিষদের সাধারন সম্পাদক হুমায়ুন কবির সিকদার, সাংগঠনিক সম্পাদক ওমর ফারুখ দিনার, এনটিভি কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধি ইকরাম চৌধুরী টিপু, এটিএন বাংলার জেলা প্রতিনিধি মোয়াজ্জেম হোসেন শাকিল, দৈনিক রূপালী সৈকত ও কক্সবাজার নিউজ ডট কম (সিবিএন) এর বার্তা সম্পাদক ইমাম খাইর।
এছাড়া উপকূলীয় এনজিও জোটের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এতে আয়োজকদের পক্ষ থেকে পানি উন্নয়নবোর্ডের সংস্কারসহ দ্বীপ ভাঙন ও প্লাবনরোধে স্থায়ী সমাধানে ৮টি দাবী পেশ করা হয়।

দাবীসমূহ হলো- ১) নদীর তলদেশ থেকে তীরের উচ্চতা পর্যন্ত ব্লক স্থাপন ২) টেন্ডারিং প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা প্রতিষ্টা ৩) সেনাবাহিনীকে কাজে যুক্তকরণ ৪) জনঅংশগ্রহনের সুযোগ রাখা ৫) চলামান কর্মকান্ড বিষয়ে সকল তথ্য জনগণের সম্মুখে প্রকাশ ও প্রচার করার ব্যবস্থা করা এবং অভিযোগ ব্যবস্থাপনার সুযোগ নিশ্চিত করা ৬) পানি উন্নয়নবোর্ডে দায়িত্বপ্রাপ্তদের জনমুখি মনোভাব গড়ে তোলা এবং জেলা পরিষদ ও স্থানীয় সরকারের নিকট জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা ৭) পানি উন্নয়নবোর্ডের চলমান কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ ও নিরীক্ষা ৮) ম্যানগ্রোভ বন সৃষ্টি।

পাঠকের মতামত: