ঢাকা,মঙ্গলবার, ১২ নভেম্বর ২০২৪

ঢেমুশিয়া ও চোয়ারফাঁড়ি স্লইচগেইট বন্ধ থাকায় নিম্নাঞ্চল প্লাবিত, বাড়ছে মানুষের দুর্ভোগ

zzzzমিজবাউল হক:

সাহারবিল ইউনিয়নের চোয়ারফাঁড়ি ও ঢেমুশিয়ার বদ্ধ জলমহালের স্লইচ গেইটটি বন্ধ থাকায় সহজে নামতে পারছে না বন্যার পানি। এখন উপকূলীয় এলাকার সাতটি ইউনিয়নের খাল বিলে বন্যার পানি ঢেউ খেলছে। অনেক পুকুর ডুবে চাষের মাছ ভেসে যাচ্ছে। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে অন্তত অর্ধ লক্ষাধিক মানুষ।

জানা যায়, গত দুদিনের ভারিবর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলের তিব্রতায় উপজেলার ১৮টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডে বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়েছে। মাতামুহুরী নদীতে বিপদ সীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে পানি। পানির তোড়ে বেশির ভাগ রাস্তা ধসে যাওয়ায় এলাকার মানুষ যাতায়াতে চরম ভোগান্তির মধ্যে পড়েছে। কৃষি ক্ষেত সম্পূর্ণ ভাবে নষ্ট হয়ে যাওয়ায় তাদের আয় রোজগারের পথ বন্ধ হয়ে গেছে। শতশত পুকুর ডুবে ভেসে গেছে লাখ লাখ টাকার মাছ। সাহারবিল ইউনিয়নের চোয়ারফাঁড়ি ও ঢেমুশিয়া বদ্ধ জলমহাল খালের মুখে স্থাপন করা স্লুইট গেইটের বন্ধ থাকায় খাল ও জমি থেকে পানি নামতে পারছে না। গত কয়েকদিন ধরে উপকূলীয় সাতটি ইউনিয়নের অন্তত অর্ধ লক্ষ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।

এলাকার লোকজন জানান, স্থানীয় প্রভাবশালীমহল ঢেমুশিয়া জলমহালে মৎস্য চাষ করেছে। তাদের চাষকৃত মাছ গুলো গেইট দিয়ে যেতে না পারে সেজন্য বন্ধ করে রেখেছে। ফলে ভারিবর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানিতে সাতটি ইউনিয়ন থেকে বন্যার পানি নামতে পারছে না। বসতবাড়ির পাশাপাশি বর্তমানে কোমড় সমান পানিতে তলিয়ে রয়েছে ফসলি জমি ও বিপুল পরিমাণ চিংড়ি ঘের এবং ব্যক্তি মালিকানাধীন মৎস্য প্রকল্প।

পানি বন্দি হয়ে থাকা এলাকার লোকজন বলেছেন অতিদ্রুত গেইট খুলে না দিলে এই বর্ষায় উপকূলীয় সাতটি ইউনিয়নের মানুষকে চরম ভোগান্তির মধ্যে পড়তে হবে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হবে কৃষকরা।

চিংড়ি চাষি আবদুর রহিম জানান, ভয়াবহ বন্যায় সাহারবিলের কোরালখালী এলাকায় তার মৎস্যঘের বন্যার পানি ডুকে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ ভেসে গেছে। এতে করে তার অন্তত কয়েক লাখ টাকা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। উপকূলীয় ইউনিয়নকে বন্যা থেকে রক্ষা করতে হলে চোয়ারফাঁড়ি গেইটি খোলা রাখতে হবে। তাহলে এই অঞ্চলের সাধারণ জনগোষ্টি ও মৎস্য চাষিরা পরিত্রান পাবে বলে জানান।

সাহারবিল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মহসিন বাবুল বলেন, চোয়ারফাঁড়ি এলাকায় স্লুুইচগেইটের কয়েকটি পাতাটন নষ্ট হওয়ার কারণে গেইটের সম্পূর্ণ দরজা খোলা সম্ভব হচ্ছে না। এব্যাপারে স্থায়ীভাবে সমাধানের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।

পাঠকের মতামত: