ভ্রাম্যমান প্রতিনিধি ঃ
মালুমঘাট মিঠাছড়ি গ্রামের লম্বা বেলালের সেকেন্ড ইন্ড কমান্ড জাফর আহমদের পুত্র হেলাল ও অন্যান্য সহযোগী আব্দুল জব্বারের পুত্র বারেক , ছগির আহমদের পুত্র আব্দুল করিম, সাহেদ মিয়ার পুত্র আক্তার , নুর মোহাম্মদ এর পুত্র আবু বক্কর , আজু হাইয়া, জাফর আহমদের পুত্র মো: রমিজ সহ একাধিক বাঘা বাঘা ডাকাতি ও হত্যা মামলায় জড়িত আসামীরা বীরদর্পে ঘুরে বেড়াচ্ছে। পুলিশ তাদের দেখেও না দেখার ভান করে থাকায় এ এলাকায় রিজার্ভ পাড়া ( পুরাতন ক্যান্টনমেন্ট) চলছে রাতের আঁধারে অস্ত্রের প্রশিক্ষণ সহ নির্যাতন করে চাঁদা আদায়।
বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, চায়ের দোকানে টেবিল বয়ের কাজ করত মিঠাছড়ি গ্রামের লম্বা বেলাল । সে বিভিন্ন অপরাধ কর্মে জড়িত পড়ে ২০০০ সালে । তার সহযোগী হেলাল, বারেক করিম, আক্তার, আবু বক্কার, আজু হাইয়া ও রমিজ সহ এলাকার উঠতি বয়সের ১০-১২জন যুবক ডুলাহাজারা ও খুটাখালী এবং রামপুর মৌজা সহ বিভিন্ন চিংড়ী ঘের ও নদীর পথে চলাচল রত নৌযান থেকে মাসোহারা আদায় করত। মাঝেমধ্যে বিভিন্ন চিংড়ীঘের ও কার্গো ট্রলারে ডাকাতি সর্বস্ব লুট করে নিয়ে যেত। তাদের অত্যাচারে চিংড়ী জোন এলাকার চিংড়ী ঘেরের মালিকরা অতিষ্ট হয়ে উঠেছে। সর্বশেষ এ বাহিনীর সাথে জিয়াবুল বাহিনীর সাথে গেল ১১ জুলাই বাকবিতন্ডতা ঘটনা ঘটে। এরই সূত্র ধরে জিয়াবুল বাহিনীর সাথে লম্বা বেলালের অন্যান্য সহযোগীদের সাথে আঁতাত হওয়ার পর গত ১২ জুলাই বিকালে কৌশলে রিজার্ভ পাড়াস্থ বেদুইল্ল্যা মঝির পরিত্যক্ত একটি বাড়িতে নিয়ে ছুরিকাঘাত করে বেলালকে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। পরদিন ১৩ জুলাই ভোরে বেলালকে মৃত অবস্থায় লামা সড়কের কুমারী ব্রিজ সংলগ্ন জঙ্গলে পাওয়া যায়। এ ঘটনার পর থেকে পুরো ডুমখালী.কাটাখালী ও মিঠাছড়ি এবং রিজার্ভ পাড়ার নিরহ মানুষের আরামের ঘুম হারাম হয়ে গেছে । হেলালের নেতৃত্বে বিভিন্ন ব্যবসায়ী থেকে মোটা টাকা চাঁদা দাবী করছে বলে বিভিন্ন সূত্রে প্রকাশ । কয়েক দিনের মধ্যে এ বাহিনীর সদস্যরা অন্তত পক্ষে ৫-৬ লাখ টাকা চাঁদা আদায় করেছে। কেউ এ টাকা দিতে অস্বীকার করলে তাদেরকে রিজার্ভপাড়াস্থ সামাজিক বনায়নে নিয়ে গাছের সাথে বেঁধে নির্যাতন করে থাকে। এতে অনেকে ভয়ে সহায় সম্বল বিক্রি করে তাদেরকে টাকা দিচ্ছে বলে কয়েকজন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ব্যক্তিরা জানিয়েছেন।
পাঠকের মতামত: